গত ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে এসএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২ মার্চ পর্যন্ত। এছাড়া ব্যবহারিক পরীক্ষা ৪ মার্চ শুরু হয়ে শেষ হয় ১১ মার্চ। এ বছর ১০টি শিক্ষা বোর্ডের ৩ হাজার ২৩৬টি কেন্দ্রে ২৮ হাজার ৩৪৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯ লাখ ১০ হাজার ৫০১ জন ছাত্র ও ৮ লাখ ৭৬ হাজার ১১২ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
এবার গত বছরের চেয়ে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯০ জন পরীক্ষার্থী বেশি হওয়ায় ৯৩টি কেন্দ্র বাড়ানো হয়। এর মধ্যে দেশের বাইরে বিদেশের ৪৪৬ জন পরীক্ষার্থীর জন্য ছিল ৮টি পরীক্ষা কেন্দ্র। এগুলো হলো: জেদ্দা, রিয়াদ, ত্রিপোলি, দোহা, আবুধাবী, দুবাই, বাহরাইন এবং ওমানের সাহামে।
এ বছর নিয়মিত পরীক্ষার্থী ছিল ১৬ লাখ ৭ হাজার ১২৪ জন। এছাড়া অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৭৬ হাজার ১৯৮ জন এবং বিশেষ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ২৯৮ জন।
এসএসসিতে ৭ লাখ ২ হাজার ২৯৯ জন ছাত্র ও ৭ লাখ ২৩ হাজার ৬০১জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেয়। ছাত্রের তুলনায় ছাত্রী ২১ হাজার ৩০২ জন বেশি। দাখিলে ছাত্র ১ লাখ ৩০ হাজার ৫৮৫ জন ও ছাত্রী ১ লাখ ২৫ হাজার ৯১৬ জন এবং এসএসসি ভোকেশনালে ছাত্র ৭৭ হাজার ৬১৭ জন ও ছাত্রী ২৬ হাজার ৫৯৫ জন।
এ বছর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং কারিগরি শিক্ষা নামে দুটি নতুন বিষয় যুক্ত হয়। বাংলা দ্বিতীয়পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র ছাড়া সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হয়। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রালপালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পেরেছে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ করা হয়।
সূত্র: বাংলাট্রিবিউন