শনিবার , ২০ জানুয়ারি ২০১৮ | ৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

এপ্রিলের মধ্যেই এলএনজি আমদানির প্রস্তুতি শেষ করতে চায় জিটিসিএল

Paris
জানুয়ারি ২০, ২০১৮ ২:৫৪ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

এলএনজি আমদানির জন্য সময়ের আগেই আনোয়ারা-ফৌজদারহাট গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শেষ করতে চায় গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল)। এজন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে জ্বালানি বিভাগ।

জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হওয়ার ছিল। তবে অর্থায়ন ও জমির সমস্যা কারণে এ বছরের এপ্রিলের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিকে, এ বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যে দেশে প্রথমবারের মতো এলএনজি আমদানি করা হবে। তাই এর আগেই পাইপলাইনের কাজ শেষ করতে চায় জিটিসিএল।

জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নির্মিতব্য মহেশখালী-আনোয়ারা ও বিদ্যমান বাখরাবাদ-চট্টগ্রাম পাইপলাইনের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে আনোয়ারা থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত একটি উচ্চচাপ পাইপলাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। এই পাইপলাইন যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে। প্রকল্পটি শুরু হয় ২০১৬ সালের এপ্রিলে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে এর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে সময় বাড়ানোর আবেদন করে জিটিসিএল। বৈঠকে ছয় মাস অর্থাৎ জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানো এবং ভূমি অধিগ্রহণের কাজ দ্রুত শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে জ্বালানি সচিব নাজিম উদ্দিন চৌধুরীসহ সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, পাইপলাইন নির্মাণের জন্য মালামালগুলো তিনটি লটে কেনা হবে। এ যন্ত্রাংশ কেনার প্রস্তাবটি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের পর গত বছরের ৩০ আগস্ট ঠিকাদারি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী, মালামালগুলো চলতি বছরের মার্চে সাইটে পৌঁছানোর কথা। কিন্তু এর মধ্যে মালামাল পৌঁছে গেছে। এরপর পাইপলাইন নির্মাণ কাজ শেষ করার পর গ্যাস কমিশনিং করতে এপ্রিল পর্যন্ত সময় প্রয়োজন হবে। পাইপলাইন নির্মাণ কাজ শেষ করার পর অন্য কাজগুলো করতে মে মাস থেকে আগস্ট পর্যন্ত সময় লাগবে।

এদিকে ভূমি অধিগ্রহণ দেরি হওয়ার কারণে প্রকল্পের জন্য ভবন ও অন্যান্য নির্মাণ কাজ করতে ফেব্রুয়ারি থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত সময় লাগবে। রেগুলেটিং অ্যান্ড মিটারিং সিস্টেম (আরএমএস) স্থাপন কাজ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাদের সব কাজের জন্য অর্থায়ন করতে কমপক্ষে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সময় লাগবে বলে ধারণা করছে সংশ্লিষ্টরা। এ কারণেই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জিটিসিএল জানায়, প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রাথমিকভাবে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ করা হচ্ছে। সীতাকুণ্ড উপজেলার ৮ হাজার ২৯৪ একর ভূমি অধিগ্রহণ এবং ৩ হাজার ৮১৯ একর ভূমি হুকুমদখল, আনোয়ারা ও বন্দর থানার ১০ হাজার ২৩৪ একর ভূমি অধিগ্রহণ এবং ১৮ হাজার ৯২৮ একর ভূমি হুকুমদখল করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এজন্য ফিল্ড বুক তৈরি করে মূল্যহার সংগ্রহের কাজ চলছে। খুব শিগগিরই এই কাজ শেষ হবে এবং অধিগ্রহণের কাজ শুরু করা হবে।

এ বিষয়ে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতিকুজ্জামান বলেন, ‘এরই মধ্যে পাইপলাইন স্থাপনের মালামাল সাইটে চলে গেছে। পাইপলাইন স্থাপনের জন্য স্থানীয় ঠিকাদার নিয়োগের কাজ শেষ। রিভার ক্রসিংয়ের কাজ করার জন্য ভারতীয় ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারাও সাইটে পৌঁছে গেছে।’

আতিকুজ্জামান আরও বলেন, ‘জমি পাওয়া গেলে এপ্রিলের মধ্যেই পাইপলাইন নির্মাণ কাজ শেষ করা যাবে। তবে রেগুলেটর ও মিটারিং করতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। সব মিলিয়ে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটির সব কাজ শেষ হবে। তবে এপ্রিলের মধ্যে মূল পাইপলাইনের কাজ শেষ হবে।’ এতে করে এলএনজি এলে গ্যাস সরবরাহে কোনও সমস্যা হবে না বলে তিনি জানান।

 

বাংলা ট্রিবিউন

 

সর্বশেষ - জাতীয়