আর এই আয়োজনের মধ্যে দিয়ে দীর্ঘ ১২ বছর পর রাজশাহীতে অন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ হতে যাচ্ছে। এতে রাজশাহীর ক্রিকেটপ্রেমী ও ক্রীড়ামোদীদের মধ্য উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ করছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আসর আয়োজনের প্রতিবন্ধকতা কাটায় ক্রিকেট খেলোয়াড়রদের মধ্যে নতুন আশা-আকাঙ্ক্ষা দেখা দিয়েছে। ফের উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে রাজশাহীর ঝিমিয়ে পড়া ক্রীড়াঙ্গন।
রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়াম উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বড় ক্রিকেট ভেন্যু হলেও এতদিন ছিল অবহেলিত। এখানে বিভিন্ন সময় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকারা বিভিন্ন দল ও ক্লাবের হয়ে খেলে গেলেও আন্তর্জাতিক কোনো ক্রিকেট প্রতিযোগিতা হয়নি বহু বছর। ২০০৪ সালে নির্মিত হয় শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ১৫ হাজার। এই স্টেডিয়ামে ২০০৪ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের তিনটি গ্রুপ পর্বের ম্যাচ এবং সর্বশেষ ২০১০ সালের দক্ষিণ এশীয় গেমসের চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর রাজশাহীতে কেবলমাত্র থ্রি-স্টার বা ফাইভ স্টার হোটেল না থাকায় বন্ধ হয়ে যায় আন্তর্জাতিক ম্যাচ। সেই সঙ্গে হারায় টেস্ট ভেন্যুর মর্যাদাও। এরপর দীর্ঘ এক যুগ পর রাজশাহীর মাঠে আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ গড়ায়নি। হালে আবাসন ব্যবস্থার উন্নয়ন হওয়ায় জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের নামকরণে থাকা বিভাগীয় স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হতে যাচ্ছে।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, এই সফরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে একটি আন-অফিসিয়াল টেস্ট, পাঁচটি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলটি সরাসরি ঢাকায় এসে পরে চট্টগ্রামে যাবে। সফরের একমাত্র টেস্ট ও প্রথম দুটি ওয়ানডে ম্যাচ হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। বাকি তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ ও একমাত্র টি-টোয়েন্টির জন্য ভেন্যু নির্বাচন করা হয়েছে রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়াম।
বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, রাজশাহীতে বহু বছর অন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচ হয়নি। অনূর্ধ্ব-১৮, ১৯ দলের খেলাগুলো হলে অন্তত একটা নতুন অধ্যায় শুরু হবে। এটি রাজশাহীর ক্রিকেট অঙ্গনের জন্য খুবই ভালো হবে। রাজশাহী ও রাজশাহীর খেলোয়াড়রা আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রমোট হবে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) রাজশাহী ভেন্যু ম্যানেজার আরেফিন ইসলাম বলেন, চট্টগ্রামে গিয়ে চারদিন অনুশীলনের সুযোগ পাবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। এরপর ৩০ এপ্রিল চার দিনের ম্যাচে খেলবে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। একই ভেন্যুতে ৬ ও ৮ মে প্রথম দুটি ওয়ানডে হবে। রাজশাহীতে শেষ তিনটি ওয়ানডে হবে ১১, ১৩ ও ১৫ মে। আর একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ১৭ মে অনুষ্ঠিত হবে রাজশাহীতে।