বৃহস্পতিবার , ২৪ জানুয়ারি ২০১৯ | ১৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

এক বছরেও সংশোধন হলো না পিএসসি!

Paris
জানুয়ারি ২৪, ২০১৯ ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: বছর পেরিয়ে গেলেও চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি পেট্রোবাংলার সংশোধিত উৎপাদন বণ্টন চুক্তি (পিএসসি)। স্থলভাগ এবং সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে গত বছর শুরুর দিকে পিএসসি সংশোধন করতে পেট্রোবাংলাকে নির্দেশ দেওয়া হয়। বছরের মাঝামাঝি সংশোধিত পিএসসি জ্বালানি বিভাগে পাঠিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করে পেট্রোবাংলা। তবে এখনও অনুমোদন পাওয়া যায়নি। এজন্য সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে নতুন করে দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া ঝুলে গেছে।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রুহল আমিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পিএসসি চূড়ান্ত করার দায়িত্ব আমাদের নয়। আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সংশোধনের সুপারিশ করে জ্বালানি বিভাগের কাছে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদনের পর আমরা নতুন পিএসসি হাতে পেলে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করবো।’

পেট্রোবাংলার একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘পিএসসির কারণে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের নতুন কাজের কোনও অগ্রগতি নেই। পিএসসি সংশোধন না করা পযন্ত দরপত্র আহ্বান করা যাচ্ছে না। ফলে নতুন কাজও শুরু করা যাচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে নতুন পিএসসি সংশোধন করে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এরপর গত কয়েক মাসে কয়েকবার মন্ত্রণালয় থেকে নানা বিষয়ে তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে, তথ্য সংশোধন করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি।’

এদিকে জ্বালানি বিভাগের যুগ্মসচিব নাজমুল আহসান বলেন, ‘চলতি বছর জ্বালানি বিভাগের কাজের গতি বাড়ানোর লক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনার উদ্যোগ নিয়েছি। এর মধ্যে পিএসসি সংশোধন একটি বড় বিষয়।’ পিএসসি এখন আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ে আছে বলে তিনি জানান।

পেট্রোবাংলার আরেক কর্মকর্তা জানান, ‘পিএসসির দুটি জায়গায় পরিবর্তন আনার কথা বলেছেন পরামর্শকরা। একটি হচ্ছে, গ্যাসের দাম; অন্যটি হচ্ছে কস্ট রিকভারির হার। বিদেশি কোম্পানিগুলো শুরু থেকেই ১০০ ভাগ কস্ট রিকভারি দাবি করছে। অর্থাৎ তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে তারা যে অর্থ ব্যয় করবে তার পুরোটাই তারা তুলে নেবে। কিন্তু এমন হলে পেট্রোবাংলা কোনও গ্যাস পাবে না।’

ওই কর্মকর্তা জানান, সর্বোচ্চ কস্ট রিকভারির পরিমাণ ৬৫ থেকে ৮০ শতাংশের মধ্যে রাখার পক্ষে পেট্রোবাংলা। এখন গভীর সমুদ্রে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম সাড়ে ৬ ডলার। বাংলাদেশে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে আগ্রহী কোম্পানিগুলো চাইছে, এই দাম বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক বাজারের এলএনজির সমান করতে। একবারে দাম বাড়িয়ে ৮ থেকে ৯ ডলার করার দাবি করেছে তারা। কিন্তু পেট্রোবাংলা এই দাম এতো বেশি বাড়াতে চাচ্ছে না।’

সবমিলিয়ে দেশে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য ব্লক আছে ৪৮টি। এরমধ্যে স্থলভাগে ২২টি এবং সাগরে রয়েছে ২৬টি ব্লক। সাগরের ব্লকগুলোর মধ্যে আবার অগভীর সাগরে ১১টি এবং গভীর সাগরে ১৫টি। স্থলভাগে শেভরন বাংলাদেশ ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বর ব্লক থেকে গ্যাস উত্তোলন করছে। ক্রিস এনার্জি ৯ নম্বর ব্লক অর্থাৎ বাঙ্গুরা থেকে গ্যাস তুলছে।

অন্যদিকে সাগরের ৪টি ব্লকে কাজ করছে সান্তোস-ক্রিশ এনার্জি, ওএনজিসি এবং পেসকো দাইয়ু।

পেট্রোবাংলা জানায়, সাগরে মোট ৪টি কূপ খনন করার পরিকল্পনা এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ভারতীয় কোম্পানি ওএনজিসি এসএস-৪ এবং এসএস-৯ নম্বর ব্লকে তিনটি কূপ খনন করবে। এজন্য এরই মধ্যে তারা অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। অন্যদিকে সান্তোস এসএস-১১ নম্বর ব্লকে একটি কূপ খননের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সবমিলিয়ে ৪৮টি ব্লকের মধ্যে মাত্র ৮টি ব্লকে কাজের প্রক্রিয়া চলছে এখন।

সর্বশেষ - জাতীয়