সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
তথ্যপ্রযুক্তি খাতের দেশীয় উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে সহায়তা দেবে বিশ্বখ্যাত প্রভাবশালী প্রযুক্তি কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস কর্পোরেশন বা আইবিএম।
মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে আইবিএম। তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের উপস্থিতিতে স্বাক্ষরিত এ স্মারক অনুয়ায়ী দেশীয় উদ্যোক্তাদের জন্য আইবিএম গ্লোবাল এন্টারপ্রেনিওর প্রোগ্রাম চালু করল তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ।
এতে উদ্যোক্তারা পরামর্শ, ১২ হাজার ডলার মূল্যের আইবিএম ক্লাউড ক্রেডিট, আইবিএম কগনিটিভ ব্যবহারের সুযোগসহ ব্যবসায়িক উন্নয়নে আইবিএম ক্লাউড ব্যবহার করতে পারবে ।
তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ জানায়, এখন দেশীয় উদ্যোক্তারা আইবিএমের নানা সহায়তা ও সহযোগিতার পাবে। সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তগুলো আগামী এক বছরের জন্য প্রতি মাসে এক হাজার ডলার সমমূল্যের আইবিএম ক্লাউড ব্যবহারের সুযোগ পাবে। আইবিএম ক্লাউড প্লাটফর্ম ব্লুমিক্সের ওয়াটসন অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ইন্টারফেস ব্যবহার করতে পারবে।
‘এছাড়াও ব্যবসা চালু করতে তাৎক্ষণিকভাবে অবকাঠামো ব্যবহারের সুবিধাসহ উদ্যোগগুলোর কোডিং, বিল্ডিং, স্কেলিং এবং বাজারে উপস্থাপন করতে সহায়তা করবে আইবিএম। এতে উদ্যোক্তাদের আইবিএমের এন্টারপ্রাইজ গ্রাহকদের সাথে সংযোগ করিয়ে দেয়া হবে। এতে আইবিএমের সুবিশাল বৈশ্বিক নেটওয়ার্কের বড় বড় গ্রাহক, পরামর্শক এবং উদ্ভাবন কেন্দ্রগুলোর সাথে দেশীয় ঊদ্ভাবনগুলো দ্রুত সংযোগ স্থাপন, উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি করতে পারবে।’
এর আগে জুনাইদ আহমেদ পলকের নেতৃত্বে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে এবং আইবিএমের প্রতিনিধি দল বৈঠক করেন। বৈঠকে আইবিএম প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন কোম্পানিটির এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের চেয়ারম্যান ও সিইও র্যান্ডি ওয়াকার।
বৈঠকে আইবিএম প্রতিনিধি দল তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করার আগ্রহের কথা জানায়।
দলটি উল্লেখ করে, বাংলাদেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিস্ময়কর প্রবৃদ্ধি এবং সরকারের প্রচেষ্টার ফলে বিগত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশে উদ্যোক্তা ইকোসিস্টেম সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং উদ্যোক্তারা এখন উদ্ভাবন প্রদর্শনে অনেক প্লাটফর্ম পাচ্ছে।
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার কার্যকর পরামর্শ ও নির্দেশনায় দেশে উদ্ভাবনকে অনুপ্রেরণা যোগাতে ও উদ্যোক্তা কালচার প্রতিষ্ঠা করতে অনেক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় এগিয়ে থাকতে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ এখন কগনেটিভ টেকনোলজিতে মনোযোগ দিয়েছে। এর অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে আইওটি(ইন্টারনেট অব থিংস) ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। বিগ ডেটা, এআই(আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স), অ্যাডভান্সড রোবোটিকস, ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবসহ আরও প্রায় ডজন খানেক ল্যাব করা হয়েছে। এছাড়াও মেশিন লার্নিং, বায়োটেক, ফিনটেক ও এডুটেক খাতেও কাজ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
আইবিএমের দক্ষিণ এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক করন বাজওয়া বলেন, বিস্তৃত ও শক্তিশালী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনে উদ্যোম যোগাতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আইবিএম গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনিওর প্রোগ্রামের সহযোগিতা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
তিনি জানান, এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে আইবিএম ভারতের বাজারে অর্থপূর্ণ সাফল্য পেয়েছে এবং হেলথটেক, ফিনটেক, এডুটেক ও স্মার্টসিটির মত প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। হাজারো উদ্যোগে পরবর্তী প্রজন্মের ক্লাউড ও কগনিটিভ প্রযুক্তিকে সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছে। এই সমঝোতায় বাংলাদেশের উদ্যোগগুলো বৈশ্বিক পন্থায় দ্রুত গতিতে বাজারে স্থান করে নেবে ও সে সকল উদ্যোগের অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখবে। এখানে ব্লুমিক্স প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ওয়াটসন, ক্লাউডান্ট ও কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনাসহ ১৫০ ধরণের সেবা নেওয়ার সুযোগ থাকছে।
উদ্যোক্তারা এই ঠিকানায় গিয়ে নিজেদের উদ্যোগ সম্পর্কে জানাতে ও সহায়তার আবেদন করতে পারবেন।
সূত্র : টেকশহর