সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
বাফুফে একাডেমির নিলাম থেকে সর্বোচ্চ দাম দিয়ে গোলরক্ষক মোহাম্মদ আসিফকে কিনে নিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। কেন তার পেছনে বাড়তি অর্থ ঢালতে দ্বিধা করেনি চ্যাম্পিয়ন ক্লাবটি, গত অনূর্ধ্ব-২০ সাফে আসিফ তা দেখিয়েছেন। নেপালে ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালে এক নম্বর গোলরক্ষক মেহেদী হাসান চোট পেয়ে উঠে গেলে আসিফ বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নেমে সেই ম্যাচ জেতান টাইব্রেকার-বীরত্বে। নেপালের বিপক্ষে ৪-১ গোলে জেতা ফাইনালেও পুরো সময় ছিলেন পোস্টের নিচে।
সেই গোলরক্ষকই কিনা জায়গা পাননি অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ বাছাই টুর্নামেন্টে! ‘ম্যাচ ফিট’ নন বলে তাকে দলে জায়গা দেননি কোচ মারুফুল হক। সেটিই বিস্ময় জাগিয়েছে। কারণ আসিফ অনূর্ধ্ব-২০ সাফ খেলে এসে মাত্র তিন দিন ছুটি কাটিয়েই যোগ দিয়েছিলেন তার ক্লাব বসুন্ধরা কিংসের অনুশীলনে। সেখানে টানা ১২ দিন অনুশীলন করে যোগ দেন অনূর্ধ্ব-২০ দলের ক্যাম্পে।
কিন্তু মারুফ জানিয়ে দেন, তাকে দলে রাখা হচ্ছে না! ম্যাচ ফিটনেসই এখানে ইস্যু, নাকি অন্য কিছু? জানা গেছে, অনূর্ধ্ব-২০ দলের কোচ কিংসের যে ছয় খেলোয়াড়কে চেয়েছিলেন, তাদের মধ্যে চারজনকে (মজিবুর রহমান, রিমন হোসেন, রাব্বি হোসেন ও চন্দন রায়) কিংস পরে পাঠাতে চেয়েছিল চোট এবং ক্লাবের প্রয়োজনীয়তার কথা বলে। নতুন কোচ রোমানিয়ার ভ্যালেরিও তিতার অধীনে ঘরোয়া নতুন মৌসুম ও এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের জন্য তৈরি হচ্ছে দলটি। কিংস এর মধ্যে আসিফ ও মিডফিল্ডার মহসিনকে পাঠায় ক্যাম্পে। কিন্তু মারুফ জানিয়ে দেন, কিংসের ওই চার খেলোয়াড় তো বটেই, আসিফ, মহসিনকেও রাখছেন না তিনি দলে।
এমন আচরণে ক্ষুব্ধ হয়েছে বসুন্ধরা কিংসও। তারা এর মধ্যে বাফুফেকে চিঠিও দিয়েছে কোচের এমন ‘অপেশাদার’ আচরণের কথা উল্লেখ করে। স্পষ্টই যে কিংস চাহিদামতো সময়ে খেলোয়াড় না ছাড়াতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন মারুফ। তাতে রাব্বি, চন্দনের মতো সাফের অন্যতম সেরা পারফরমারের পাশাপাশি ‘ত্রাতা’ গোলরক্ষক আসিফকেও বিসর্জন দিতে তিনি দ্বিধা করেননি। আসিফ ক্যাম্পে যোগ দিয়েও ভাঙা মন নিয়ে ফিরেছেন ম্যাচ ফিট না হওয়ার তকমা পেয়ে।
দলে যে তিন গোলরক্ষক, এখন তাদের কেউ-ই গত সাফে কোনো ম্যাচ খেলেননি, একজনকে তো নেওয়া হয়েছে আসিফ ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার দিন কয়েক আগে।
সূত্র: কালের কণ্ঠ