মোহাম্মদ আমিরকে সামলাতে গিয়ে ঘাম ছুটে যেতে পারে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মার্কাস ট্রেসকোথিক তাই মনে করেন। ছয় বছর পর ইংল্যান্ডে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে আমির তার প্রথম শিকার বানিয়েছেন ট্রেসকোথিককেই। এই ওপেনার আমিরের মধ্যে আগের চেয়ে আগুনটা এখন আরো বেশি দেখছেন।
পাকিস্তানের বাঁ হাতি ফাস্ট বোলার আমির ২০১০ সালে ইংল্যান্ডে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়ান। তারপর ৫ বছর নিষিদ্ধ হন। গত বছর নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরেছেন। ছয় বছর পর পাকিস্তান দলের সাথে আবার তিনি গেছেন পাকিস্তানে। সেখানে সমারসেটের বিপক্ষে ৩ দিনের ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছে তার সফর। আর ফেরার প্রথম ইনিংসে ১১ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন আমির।
সোমবার টনটনে দেখার মতো ছিল তার বোলিং। পাকিস্তান ৮ উইকেটে ৩৫৯ রান তুল প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে। সমারসেট এরপর ১২৮ রানে অল আউট হয়। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ১৪০ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করে পাকিস্তান। ৩৭১ রানে এগিয়ে তারা।
পাকিস্তানের ইনিংস ঘোষণার পর আমির নতুন বল হাতে নেন। ৪০ বছরের ট্রেসকোথিক প্রথম ওভারেই আমিরকে দুটি বাউন্ডারি মারেন। কিন্তু আমিরের আউট সুইঙ্গারে ব্যাটের কানা লাগিয়ে উইকেট কিপারকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ট্রেসকোথিক। ৮ রানে আউট তিনি। এরপর অ্যাডাম হোসে (১০) ও পিটার ট্রেগোকে (২৩) শিকার করেন আমির। দুজনই ইন সুইঙ্গারের শিকার।
“সে দারুণ বল করেছে।” ২৪ বছরের আমির সম্পর্কে ট্রেসকোথিক বলেছেন, “চমৎকার লেট সুইং দেখা গেছে। এই পারফরম্যান্স দেখে মনে হচ্ছে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের ভোগাবে সে। অনেক বছর হলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে না সে। এই কারণে হয়তো বেশি পরিশ্রম করছে।” ২০০০-২০০৬ পর্যন্ত ৭৬ টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা ট্রেসকোথিকের। ১৪ সেঞ্চুরিতে প্রায় ৪৪ গড়ে ৫,৮২৫ রান করেছিলেন। ফার্স্ট ক্লাসে ৬০ সেঞ্চুরিতে ২৪ হাজার রান তার। ট্রেসকোথিকের কথা নিশ্চয়ই একটু বেশি সতর্ক করবে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের। ১৪ জুলাই লর্ডস টেস্ট দিয়ে ইংল্যান্ড-পাকিস্তান সিরিজ শুরু হচ্ছে।
সূত্র: কালের কন্ঠ