শনিবার , ১৩ জুলাই ২০২৪ | ৮ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

আদালতের মাধ্যমেই কোটার সমাধান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Paris
জুলাই ১৩, ২০২৪ ১০:৪০ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার শিক্ষার্থীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়েই কোটা বাতিল করেছিল, আদালত সেটি পুনর্বহাল করেছিল। সুতরাং কোটা সমাধান আদালতের মাধ্যমেই হতে হবে।

শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করে। তখন থেকে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা নেই। কিন্তু একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট কোটা পুনর্বহাল করে, যা আবার সুপ্রিম কোর্ট স্থগিত করেছেন। অর্থ্যাৎ বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। আদালতকে উপেক্ষা করে, আদালতের বাইরে গিয়ে বিচারাধীন কোনো বিষয় নিয়ে সরকার সিদ্ধান্ত দিতে পারে না।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়টি যারা বোঝেন না বা বুঝেও বুঝতে চান না বা যাদের বিএনপিসহ অন্যরা ইন্ধন দিচ্ছে, তাদের বলবো, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করবেন না।

শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় বগুড়া শহরে পৌর অ্যাডওয়ার্ড পার্কের শহীদ টিটু মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী প্লাটিনাম রজতজয়ন্তী উদযাপন ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতাদের সংবর্ধনা ও প্রয়াতদের মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি সংস্কার নিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিশদ ব্যাখ্যা করে বলেন, কোটা সরকার পুনর্বহাল করেনি। সরকার বরং শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করেছিল। বাতিলের পর কোটাহীনভাবে সরকারি ও অন্যান্য চাকরিতে নিয়োগ হচ্ছে। হাইকোর্ট রায় দিয়েছে কোটা পুনর্বহালের জন্য। সুপ্রিম কোর্ট সেটি স্থগিত করেছেন। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে বা বিচারাধীন বিষয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। তাহলে আদালত অবমাননা হবে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মনে রাখতে হবে, সরকার শিক্ষার্থীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়েই কোটা বাতিল করেছিল, আদালত পুনর্বহাল করেছিল। সুতরাং কোটা সমাধান আদালতের মাধ্যমেই হতে হবে। সরকার আদালতকে উপেক্ষা করে কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে না, যেহেতু বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। এসব বুঝেও যারা জনভোগান্তি ঘটাচ্ছেন, জনগণের ভোগান্তি যাতে না ঘটে, সেজন্য সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর এবং আশা করবো শিক্ষার্থীরা সুপ্রিম কোর্টের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন।

আওয়ামী লীগকে একটি পরিবার উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পাঁচবার রাষ্ট্র ক্ষমতায়। এর প্রথম কারণ হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনা। দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে এ দলের কর্মীরা। কর্মীরাই এ দলের প্রাণ। শেখ হাসিনার ওপরে যখন বারবার হামলা হয়েছে তখন কর্মীরাই মানববর্ম সৃষ্টি করে গ্রেনেড-গুলি থেকে শেখ হাসিনাকে রক্ষা করেছেন। দলের দুঃসময়ে অনেক নেতাই দলকে ছেড়ে চলে গেছেন, বেসুরে কথা বলেছেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধাচারণ করেছেন, দলের সঙ্গে শেখ হাসিনার সঙ্গে বেইমানি করেছেন। কিন্তু কর্মীরা কখনোই শেখ হাসিনার সঙ্গে, দলের সঙ্গে বেইমানি করেননি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির তোষণ না করলে আওয়ামী লীগের ৭৫ বছরের দীপ্ত পথচলায় দেশ আরও এগিয়ে যেতো। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবে, প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এখন কেবলমাত্র বাংলাদেশেরই নয়, তিনি এখন বিশ্বনেতা হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত। তার নেতৃত্ব সমগ্র বিশ্বে সমাদৃত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার প্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যখন প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত হয়ে গাড়ি থেকে নামলেন তখন মঞ্চ থেকে ঘোষণা হয়েছিল, ‘দ্য লংগেস্ট সার্ভিং উইমেন লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড শেখ হাসিনা’। মিউনিখ সিকিউরিটি সম্মেলনে শেখ হাসিনা ছিলেন ‘আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে’।

বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সংসদ সদস্য (এমপি) মজিবর রহমান মজনুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপুর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন। এছাড়া সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন এমপি সাহাদারা মান্নান ও ডা. মোস্তফা আলম নান্নু।

সর্বশেষ - রাজনীতি