নিজস্ব প্রতিবেদক:
সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের আয়ের উৎস খতিয়ে দেখার দাবি তুলেছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ভীড় দেখে চরম চটেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে তিনি তাদের আয়ের উৎস নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, যারা সংসদ সদস্য নির্বাচন করতে মনোনয়নপত্র কিনেছেন, তাদের মধ্যে কতজন ইনকাম ট্যাক্স দেন, এটি খতিয়ে দেখতে কর বিভাগের কর্মকর্তাদের অনুরোধ করছি। আওয়ামী লীগের ৪ হাজারেরও বেশি মনোনয়ন ফরম্ তুলেছেন, বিএনপি থেকে কত হাজার তুলবে, আজকে জানা যাবে। দয়া করে যদি একটু খোঁজ নিয়ে দেখেন, তাহলে দেখবেন আমার বিশ্বাস মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ৫০ শতাংশেরও বেশি এক টাকাও ট্যাক্স দেয় না। এদের ধরা দরকার। এখন সময় এসেছে এই সমস্ত দুরাচার অন্যাচার, জনবিশৃঙ্খলা, অনিয়ম, দুর্নীতি বন্ধ করা দরকার। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে সবদিকে, নৈতিকতা হারিয়ে যাবে? দেশের উন্নয়ন হলেও আজকে তো নৈতিকতার দিকে উন্নয়ন হচ্ছে না।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজশাহীতে আয়কর মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন এসব মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, তিনশ’ আসনের জন্য আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চেয়ে চার হাজার নেতা মনোনয়ন কিনেছেন। কিন্তু তাদের কয়জন আয়কর দেন-তা দেখতে আয়কর বিভাগের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে মেয়র লিটন গণমাধ্যমের কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, মাদক ব্যবসায়ী ও দুর্নীতিবাজরাই এখন বড় বড় ইন্ডাস্ট্রি ও মিডিয়ার মালিক।
মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, সমাজের পচন হয় উপর থেকে, নিচ থেকে নয়। একজন কৃষক, শ্রমজীবী, রিকশা চালক, ক্ষুদ্র দোকানদার, ব্যবসায়ী সে সমাজকে নষ্ট করতে পারে না। নষ্ট করার মতো তার সক্ষমতাও নেই। নষ্ট করে রাষ্ট্রের যারা শীর্ষ পর্যায়ে আছেন, যারা জনগণের তথাকথিত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, অথবা অবৈধভাবে ক্ষমতাদখলকারীরা। বাংলাদেশের সমাজের তথাকথিত শিল্পপতি, সমাজসেবী বা আইন প্রণেতা নামে যারা ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় স্বগর্বে বিচরণ করছেন, তাদের এক পুরুষ, দুই পুরুষ আগে বাব-দাদার ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যায় না। তারা হয়েছেন কথাকথিত জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবী। এভাবে আমাদের সমাজের পচন ধরেছে।
মেলায় গিয়ে তাৎক্ষনিকভাবে আয়কর দেয়া যাবে। এজন্য দুটি ব্যাংকের বুথসহ ১২টি স্টল রয়েছে মেলায়।
স/আ