সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
গত অক্টোবরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২৪০ কোটি ডলার। গত সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৪০ কোটি ডলার। গত দুই মাসে রেমিট্যান্স এসেছে সমান সমান। তবে গত বছরের অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৭ কোটি ডলার। গত বছরের অক্টোবরের তুলনায় গত অক্টোবরে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১৬ শতাংশ। এদিকে চলতি অর্থবছরের জুলাই অক্টোবর এই চার মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৮৯৪ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ৬৮৮ কোটি ডলার।
গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে দেশে রেমিট্যান্স বেড়েছে ২৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ বা ২৪ শতাংশ। রোববার প্রকাশিত রেমিট্যান্স নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে রেমিট্যান্স প্রবাহ বা প্রবাসী আয়। প্রথম মাস জুলাইয়ে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স আসে, পরের মাসগুলোতে তা আরও কিছুটা বেড়েছে। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বেড়ে যায়। গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বরের ধারাবাহিকতায় অক্টোবর মাসেও প্রবাসী আয়ের গতি ছিল ঊর্ধ্বমুখী। অক্টোবরে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ২৪০ কোটি ডলার। অক্টোবরে প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাত কোটি ৭৩ লাখ ডলার করে রেমিট্যান্স এসেছে। আলোচিত সময়ে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৭২ কোটি ৬১ লাখ ৬০ হাজার ডলার। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে একটি কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১১ কোটি ৯৯ লাখ ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৫৪ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৭১ লাখ ৭০ হাজার ডলার।
অক্টোবরে ৯টি ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে-কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক। আর বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে-হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯১ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। আগস্টে ২২২ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
এদিকে দেশে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় বাজারে ডলারের প্রবাহ বেড়েছে। এতে ডলার বাজার স্থিতিশীল হয়েছে। রিজার্ভ থেকে কোন ডলার না নিয়েও বৈদেশিক ঋণ শোধ করা হচ্ছে। এদিকে আমদানি ব্যয়ও বেড়েছে। এর পরও নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুুই হাজার কোটি ডলারের বেশি।