সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
রিজার্ভ চুরির ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ এবং মানি ট্রান্সফার কোম্পানী সুইফটের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের মামলা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া আট কোটি ১০ লাখ ডলার উদ্ধারে মামলা না করে বরং তাদের সাহায্য চাওয়া হবে। গতকাল আন্তর্জাতিক একটি সংবাদ মাধ্যমে এমন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, এ ধরনের সিদ্ধান্তের পেছনে কি কারণ রয়েছে সে বিষয়ে কোন ব্যাখ্যা দেননি তিনি। ফেডারেল রিজার্ভ এবং সুইটের ভুলের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক ও এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত সংস্থা।
আর সে কারণেই ওই দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করারও প্রস্তুতি নিচ্ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র যখন এমন বক্তব্য দিলেন সে সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল রিজার্ভ ও সুইফটের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় পর্যবেক্ষণমূলক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভুয়া আবেদনগুলো ছিল ভুলে ভরা। ভুল ছিল আবেদনের কাঠামোয়, ভুল ছিল বানানে। বোধশক্তিরও অভাব ছিল হ্যাকারদের। এমনকি ব্যক্তির নামে লাখ লাখ ডলার পর্যন্ত হস্তান্তরের আবেদন করা হয়, যা সাধারণ চর্চার পরিপন্থী।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিউইয়র্ক ফেড বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে ছিল ১৪০ কোটি ডলার, আর সাইবার ডাকাতেরা প্রায় ১০০ কোটি ডলার হস্তান্তরের আবেদন জানায়। ডলার হস্তান্তরের আবেদন জানাতে যেসব কারণ উল্লেখ করা হয়, তার অনেকগুলোই ছিল অদ্ভুত। পরামর্শ ফি হিসেবে চাওয়া হয়েছে দুই কোটি ডলার। তিন কোটি ডলার চাওয়া হয়েছে ইনএলিজাবল এক্সপেন্স বাবদ। তাই ফেডের তদন্ত কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এ গণমাধ্যমটি।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্ক ফেডে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। এর মধ্যে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার স্থানান্তর করা হয় ফিলিপাইনে। আর দুই কোটি ডলার স্থানান্তর হয় শ্রীলঙ্কায়। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কায় যাওয়া রিজার্ভের দুই কোটি ডলার ফেরত পাওয়া গেছে। আর ফিলিপাইনে যাওয়া অর্থ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।