অনেক যুদ্ধ করে কোচ এনেছি, দলটা এবার ভালো করবে : কাজী সালাউদ্দিন

জেমি ডে’র চাকরি বহাল থাকতেই নাটকীয়ভাবে অস্কার ব্রুজোনকে জাতীয় দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর পেছনে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের ইচ্ছাটাই বেশি ছিল। জেমি ডে’র দল পরিচালনা তিনি পছন্দ করছিলেন না। তাই আনা হয় ব্রুজোনকে। আজ শুক্রবার সাফ ফুটবল উপলক্ষে জাতীয় দলের অনুশীলনের দ্বিতীয় দিনে মাঠে এসেছিলেন কাজী সালাউদ্দিন। তিনি অনুশীলন নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং সাফ ফুটবলে ভালো করার আশার বাণী শোনান।

আগামী ১ অক্টোবরে মালদ্বীপে শুরু হবে সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ত্রয়োদশ আসর। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলন দেখা শেষে সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ফুটবলের একসময়ের মহাতারকা কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘প্রস্তুতি প্রস্তুতির মতোই হচ্ছে। এমন প্রস্তুতিই আশা করেছিলাম। আসলে কোচের সঙ্গে ৩-৪টা মিটিং হয়েছে। তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তুমি কোন কৌশলে দলকে খেলাতে চাও। খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে আমার তো কিছু অভিজ্ঞতা আছে। ট্যাকটিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা যে বিষয়গুলো আলাপ করেছিলাম, তার আর আমার বিষয়গুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মিলে।’

অস্কার ব্রুজোনকে কোচ হিসেবে নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একটা টুর্নামেন্টের জন্য ব্রুজোনকে নেওয়া হয়েছে। কিংসের কাছ থেকে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য তাকে ধার নেওয়া হয়েছে। ব্রুজোনের একটা বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ, সেটা হচ্ছে সে এই দলটাকে নিজের ভাবে। যেদিন ওর সঙ্গে আমাদের এই দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে, সেদিন থেকেই সে কাজে নেমে পড়েছে। আমার মনে হয় না, এরপর আর এগুলো নিয়ে কোচের সঙ্গে আমার কোনো কথা হবে। চার দিন কথা হয়েছে, এখন সে দল নিয়ে আছে। অতীতে যেটা আমি অন্য কোচদের মধ্যে পাইনি, যারা দলকে নিজের ভাবে।’

২০০৩ সালের সাফ আসরে একমাত্র শিরোপাটি জিতেছিল বাংলাদেশ। আজ সালাউদ্দিন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভালো কিছু করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ‘আমি আশাবাদী দলটা এবার ভালো করবে। অনেক যুদ্ধ-টুদ্ধ করে এই কোচকে এনেছি। দ্বিতীয় কথা, স্বপ্ন তো স্বপ্নই। যখন হবে, তখন তো হবেই। আগে কি হয়েছিল, সেটা জানি না, রেজাল্ট যা হওয়ার, তাই হবে কিন্তু আমি মনে করি, কোচ বদল করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি মনে করেছি, এই পরিবর্তন দরকার ছিল। দলের অধিকাংশ খেলোয়াড়ই কিংসের। তারা কোচের কৌশল সম্পর্কে জানে। দলের বাকিরাও যথেষ্ট পরিণত।’

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ