সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
রাজধানীর বুক চিরে হিমেল বাতাস ধরে রেখেছে হাতিরঝিল। এই হাতিরঝিলই একটা অংশ প্রসারিত হয়ে বেড়েছে গুলশানের দিকে। এর পাশ দিয়ে গড়ে ওঠা বিল্ডিংগুলোতে যারা থাকেন তাদের প্রশান্তি একটাই অশান্ত রাজধানীর বুকে শান্ত রাতটা। শুক্রবার গুলশানে রাতের শুরুটা সেরকমই ছিল। হঠাৎ শান্ত হাতিরঝিলের পাশে সুসজ্জিত হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে নেমে এলো এক ভয়াল ‘স্মৃতির রাত’।
বয়ে গেল ‘রক্তগঙ্গা’। রক্তপিপাসুদের হাতে প্রাণ হারালো ২০টি তাজা প্রাণ। হাসিমুখগুলো নিমিষেই অতীত হয়ে গেল। তাদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন স্বজনসহ দেশি-বিদেশিরা। স্মরণ করে ফেলে গেছে ফোটায় ফোটায় চোখের জল।
রোববার দুপুর থেকে দেশি-বিদেশিসহ স্বজনরা ফুল নিয়ে গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁর পাশের রাস্তায় আসেন। শ্রদ্ধা জানাতে হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয় এবং রোডের কাঁটাতারের ব্যারিকেড এলাকায় ফুল দেয়ার অনুমিত দেয়।
শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিচালক নূর খান, ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের মেয়ে সিমিন হোসেনের ক্লাসমেট এহেতাসাম হুদা, ট্রান্সকম গ্রুপের কর্মকর্তা আক্কু চৌধুরী, চিত্রশিল্পী মনিরুজ্জামানসহ আরো অনেকে। এসেছিলেন বিদেশিরাও। তবে তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে না চাওয়ায় পরিচয় যানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে তাদের অধিকাংশই জাপানি।
এদিকে সন্ধ্যাবেলা শহীদ মিনারেও নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন করে শোক প্রকাশ করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। সারাদেশে দুইদিনব্যাপি ঘোষণা করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় শোকও।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে রাজধানী গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় দেশি বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করে জঙ্গিরা। এরপর তিন বাংলাদেশিসহ ২০ জিম্মিকে হত্যা করে তারা। নিহতদের মদ্যে ১৭ জন বিদেশি নাগরিক। এদের মধ্যে জাপান সরকার ৭ নাগরিকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। ইতালির নাগরিক নিহত হয়েছেন ৯ জন। একজন ভারতীয় নাগরিক।
শুক্রবার রাতে অভিযান চালাতে গিয়ে মারা গেছেন পুলিশের দুই কর্মকর্তা। শনিবার সকালে অভিযানে মারা গেছে ৬ সন্ত্রাসী। গ্রেপ্তার হয়েছে একজন। অভিযানে একজন জাপানি, দুজন শ্রীলঙ্কানসহ ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
সূত্র: বাংলামেইল