সোমবার , ২০ মার্চ ২০১৭ | ১৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

রাজশাহীতে বৃষ্টিতেই বিদ্যুৎ বিপর্যয়: ব্যাপক ভোগান্তি

Paris
মার্চ ২০, ২০১৭ ১১:৩০ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীতে সন্ধ্যা থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। আর সেইসঙ্গে আসা যাওয়া করছে বিদ্যুত। সোমবার সন্ধ্যার সময় থেকে গোটা নগরী প্রায় ঘন্টা খানেক বিদ্যুতহীন হয়ে পড়ে। পরে রাত আটটার দিকে কিছু কিছু জায়গায় বিদ্যুতের দেখা মিললেও কিছুক্ষণ পরেই আবার উধাও হয়ে যায়। এতে করে গোটা নগরজীবনে নেমে আসে ব্যাপক ভোগান্তি। মানুষ ছুটতে থাকেন মুদিখানার দোকানের দিকে আর মমবাতির থোঁজে।
বিদ্যুত না থাকায় নগরীর দোকানপাটগুলোও মূহুর্তেই বন্ধ হয়ে যায়। নেমে আসে চারিদিকে অন্ধকার।
সেইসঙ্গে বৃষ্টির কারণে বিদ্যুতের এমন বিপর্যয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যপাক ক্ষোভ দেখা দেয়।
তবে এ নিয়ে কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া না গেলেও সামাজিক গণমাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। রাত ১০টার দিকে বৃষ্টি থেমে গেলেও বিদু্যত পরিস্থিত স্বাভাবিক হতে লাগে আরো ঘন্টা খানেক। রাত ১১টার দিক থেকে বিদ্যুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকে।
এদিকে বিদ্যুতহীন নগরবাসির ভোগান্তি নিয়ে ফেসবুকে একেকজন নানাভাবে প্রতিবাদ জানাতে থাকে। এর মধ্যে অন্ধকারে মশার অত্যাচার বেড়ে যাওয়ায় সেই ক্ষোভ আরো বেড়ে যায় কয়েকগুন।জামান সরকার নামের একজন তার ফেসবুকে কমেন্ট করেন’ অন্ধকার রাজত্বে বসে মশার কামড়ে শারীরিক ব্যায়াম করছি।

 

আমান উল্লাহ লিখেছেন, বিদ্যুত সুধু আসে যায়, আবহাওয়া খারাপ থাকায় অন্ধকারে বসে আছি ঘরে, মাঝে মধ্যে মশা গালে চুমা দিয়ে যাচ্ছে।

 

অন্যদিকে বিদ্যুতের কারণে আগামি ৩ এপ্রিল থেকে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষার্থীরাও পড়েন দুর্ভোগে। এখন প্রতিটা মূহুর্ত তাদের জন্য অনেকটা মূল্যবান হলেও বিদ্যুত না থাকায় সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পড়ার টেবিলে বসতে পারেননি পরীক্ষার্থীরা। এ নিয়েও পরীক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়।

  • জানতে চাইলে নগরীর দরিখরবোনা এলাকার বাসিন্দা উম্মে হাবিবা ক্ষোভ প্রকাশ করে সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, এই কেমন কথা যে বৃষ্টির কারণে গোটা নগরী অন্ধকার হয়ে পড়বে। আমরা পরীক্ষার প্রস্তুতিও নিতে পারবো না। এটি মেনে নেওয়া যায়নি। বিদ্যুতের বিভাগের কর্মকর্তাদের গাফলতির কারণেই এমন বিপর্যয় হয়েছে বলেও দাবি করেন ওই পরীক্ষার্থী।

আরেক পরীক্ষার্থী আবু হোসাইন সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, ‘বিদ্যুত না থাকার কারণে সোমবার সন্ধ্যার পরে আর পড়ার টেবিলে বসতেই পারিনি।’

 

  • তবে বিদ্যুতের এই বিপর্যয় সম্পর্কে জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী নার্গিস খাতুন সিল্কসিটি নিউজকে বলেন,  বৃষ্টির কারণে লাইনে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তবে রাত ১১টার পর থেকে ধিরে ধিরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকে। সাড়ে ১১টার মধ্যে পরিস্থিতি একেবারে স্বাভাবিক হয়ে গেছে।

 

অপরদিকে রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শহীদুল ইসলাম সিল্কসিটি নিউজকে জানান, সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত থেমে থেমে রাজশাহীতে ১৩ দশিমক তিন মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

স/আর

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর