নিজস্ব প্রতিবেদক:
সড়ক ও জনপথ (সওজ) অপারেশন ডিভিশন (পশ্চিমাঞ্চল) রাজশাহীর নির্বাহী বৃক্ষপালনবিদ দপ্তরের মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার সড়ক-মহাসড়কে বনায়ন কর্মসূচির নামে প্রায় কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ নিয়ে কালের কণ্ঠ ও সিল্কসিটিনিউজে খবর প্রকাশের পর সওজ’র বৃক্ষপালন বিভাগের প্রধান বৃক্ষপালনবিদ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ৪ সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গত ১৭ নভেম্বর গঠিত ওই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে সওজ’র বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামানকে।
কমিটিতে আরও যাদের রাখা হয়েছে তাঁরা হলেন, সওজ’র প্রধান কার্যালয় ঢাকার তেজগাঁও’র পরিবেশ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, বগুড়ার উপবিভাগীয় প্রকৌশলী এবং খুলনা বৃক্ষপালন বিভাগের উপবিভাগীয় বৃক্ষপালনবিদকে।
চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে ওই কমিটির আহ্বায়ক সওজ’র বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বৃক্ষপালনের নামে কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় তদন্ত করতে চার সদস্যের একটি কমিটি ঢাকা থেকে করা হয়েছে। ওই কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আমি একটি চিঠি পেয়েছি। আমরা দ্রুত এটি নিয়ে কাজ শুরু করবো। তদন্তে যা পাওয়া যাবে, সেটিই তুলে ধরা হবে। কোনো অনিয়মকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।’
এদিকে সওজের একটি সূত্র জানায়, গত ৭ সেপ্টেম্বর কালের কণ্ঠ ও সিল্কসিটিনিউজে ‘বৃক্ষপালনের নামে কোটি টাকা লোপাট শিরোনামে খবর প্রকাশর পর ওই ঘটনার মূলহোতা সওজের বৃক্ষপালন বিভাগ পশ্চিমাঞ্চল, রাজশাহীর বৃক্ষপালনবিদ বিপ্লব কুন্ডুকে ঢাকায় বদলি করা হয়েছে। গত ২০ অক্টোবর তাঁকে বদলি করা হয়। তিনি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত। সড়কে বৃক্ষপালনের নামে অনিয়ম তুলে ধরে প্রতিবেদন দেওয়া কর্মকর্তা সওজ’র বগুড়া ও পাবনা অঞ্চলের বৃক্ষপালন শাখা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসানকেও এরই মধ্যে বদলি করা হয়েছে। তাঁকে গত ২০ অক্টোবর রংপুর, গাইবান্ধার সদর শাখায় বদলি করা হয়।
প্রসঙ্গত, সওজের বৃক্ষপালন বিভাগ পশ্চিমাঞ্চলের মাধ্যমে গত ২০২১-২৩ দুটি অর্থ বছরে বনজ, ফলজ, ঔষধি ও বাহারি জাতের চারা রোপনের নামে এসব টাকা লোপাট করা হয়েছে। তবে বাস্তবে ২৫ ভাগ গাছও রাস্তায় নাই। গাছের চারা রোপনের পর সেগুলো পরিচর্যার জন্য প্রতি কিলোমিটারে একজন করে মালি নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও সেটিও ঠিকাদার না করেই বিল উত্তোলন করেছেন।
স.আর