সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
ইসরাইলের বিরোধী দলের নেতা বেনি গ্যান্টজ বলেছেন, লেবাননের সঙ্গে কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলে তা এমনভাবে হওয়া উচিত, যেন চুক্তির পরও ইসরাইলি সেনাবাহিনী লেবাননের ভূখণ্ডে আক্রমণ করার স্বাধীনতা বজায় রাখতে পারে।
গ্যান্টজ সোমবার তার এক্স অ্যাকাউন্টে লেখেন, ‘লেবাননের সঙ্গে কোনো চুক্তির শর্ত- যেকোনো আইন লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ইসরাইলের পূর্ণ স্বাধীনতা’।
ইসরাইলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র লেবানন ও তেলআবিবের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পাদনের জন্য মধ্যস্থতা করছে। দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘর্ষের পর সম্প্রতি এই যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে।
ইসরাইলের পাবলিক ব্রডকাস্টার কেএএন জানিয়েছে, মার্কিন দূত আমোস হোচস্টাইন মঙ্গলবার বৈরুতে পৌঁছাবেন, লেবাননের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে প্রতিক্রিয়া জানার জন্য। এরপর বুধবার তিনি ইসরাইলে যাবেন।
ইসরাইল চায়, চুক্তিতে তার সেনাবাহিনীকে যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন হলে আক্রমণ করার অনুমতি দেওয়া হোক। কিন্তু এই শর্ত লেবানন সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে।
লেবাননের সংসদের স্পিকার নাবিহ বেরি গত সপ্তাহে নিশ্চিত করেন যে, বৈরুত একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পেয়েছে। তবে এই প্রস্তাবে ‘ইসরাইলি সেনাবাহিনীর লেবাননে চলাচলের কোনো স্বাধীনতার বিষয় অন্তর্ভুক্ত নেই’।
একই সঙ্গে নাবিহ বেরি ইসরাইলের ওই শর্তকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ এবং ‘অকল্পনীয়’ বলে অভিহিত করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘লেবাননের সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোনো আপস করা হবে না’।
এদিকে, ইসরাইল গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন চালিয়ে যাওয়ার পর, গত সেপ্টেম্বরে লেবাননে বিমান হামলা শুরু করে।
ইসরাইলের দাবি, হামলাগুলো মূলত হিজবুল্লাহর স্থাপনা ও অবস্থানকেই লক্ষ্যবস্তু করেছে।
তবে লেবাননের স্বাস্থ্য বিভাগের মতে, ইসরাইলি বাহিনী আক্রমণে এখন পর্যন্ত ৩,৪০০ জনেরও বেশি লেবানিজ নিহত এবং ১৪,৬০০ জনের বেশি আহত হয়েছে। এছাড়া ১০ লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ইসরাইল চলতি বছরের ১ অক্টোবর থেকে দক্ষিণ লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করে, যা চলমান সংঘাতকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
সূত্র: যুগান্তর