সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ডেমোর্ক্যাট সিনেটররা ইলন মাস্কের রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং তার শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে কথিত সম্পর্ক নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
তারা অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড এবং প্রতিরক্ষা বিভাগের ইন্সপেক্টর জেনারেল রবার্ট স্টর্চকে চিঠি পাঠিয়ে মাস্কের সরকারী কন্ট্রাক্টর এবং নিরাপত্তা ক্লিয়ারেন্সধারী হিসেবে নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
আইনপ্রণেতারা চাচ্ছেন, পেন্টাগন এবং বিচার বিভাগ যেন তদন্ত করে দেখে মাস্কের এই সম্পর্ক যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে কিনা। বিশেষ করে যখন তার সঙ্গে বড় বড় সরকারি চুক্তি রয়েছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সাল থেকে পুতিনের সাথে মাস্কের বেশ কয়েকবার উচ্চপর্যায়ের আলোচনা হয়েছে। যদিও ক্রেমলিন তা অস্বীকার করেছে।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মাস্ক তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এবং তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
সিনেটর রিড ও শাহিন মাস্কের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কারণ, তার বিরুদ্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের উপপ্রধান সের্গেই কিরিয়েনকোর সাথে কথিত যোগাযোগের অভিযোগ রয়েছে।
সিনেটররা উল্লেখ করেছেন, রাশিয়ার মহাকাশ প্রকল্প মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। তারা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, মাস্কের টপ সিক্রেট ক্লিয়ারেন্স রয়েছে। ফলে বিদেশি সরকারদের সাথে যোগাযোগের তথ্য যথাযথভাবে তিনি জানাচ্ছেন না।
স্পেসএক্সের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা এবং গোয়েন্দা কার্যক্রমের গভীর সম্পর্ক থাকায় এ বিষয়টি আরও গুরুত্ব পাচ্ছে। মাস্কের বিভিন্ন কূটনৈতিক আলোচনায় জড়িত থাকা, যেমন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সাথে কথোপকথন এবং আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলে-এর সাথে ফ্লোরিডায় বৈঠক- উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে।
সম্প্রতি নিউইয়র্কে ইরানের জাতিসংঘ দূতাবাসে মাস্কের উপস্থিতি নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যদিও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ ধরনের বৈঠক অস্বীকার করেছেন।
এ তদন্তের আহ্বান মাস্কের বৈদেশিক সংযোগ নিয়ে ক্রমবর্ধমান সন্দেহের ইঙ্গিত দেয়।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন