শনিবার , ১৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

রিজার্ভ, ব্যাংক ও মূল্যস্ফীতি – একশো দিনে কী করেছে অন্তর্বর্তী সরকার?

Paris
নভেম্বর ১৬, ২০২৪ ৯:৪৮ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষের কাছে হতাশা ও উদ্বেগের নাম অর্থনীতি। সেই হতাশা ও উদ্বেগ থেকে জন্ম নেয়া ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখা গিয়েছিল জুলাই-অগাস্টের সরকার পতন আন্দোলনে।

একদিকে, ব্যাংকসহ আর্থিকখাতে হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি, অর্থ পাচার ও রিজার্ভের পতন নিয়ে দেশের গণমাধ্যমগুলোতে একের পর এক শিরোনাম হয়েছে।

অন্যদিকে, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে মধ্য ও নিম্নবিত্তের মানুষের জীবনযাত্রা দিনে দিনে কঠিন হয়ে উঠেছে।

এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দায়িত্ব নেয়া অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে উত্তরাধিকার সূত্রেই বর্তায় অর্থনীতির সংকট।

দায়িত্ব নেয়ার অল্পদিনের মধ্যে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়।

যেগুলোর কোনো কোনোটির ফলাফল ইতোমধ্যেই দৃশ্যমান হচ্ছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদদের অনেকে। আবার, কোনো উদ্যোগকে তেমন কার্যকর নয় মন্তব্য করে সেগুলোর কিছু কারণও বিশ্লেষণ করছেন তারা।

সরকার গঠনের পাঁচ দিনের মাথায় বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর হিসেবে আহসান এইচ মনসুরকে নিয়োগ দেয়া হয়।

অর্থনীতি ও বাণিজ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট ইনভেস্টোপিডিয়া অনুযায়ী, কোনো দেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। তারা মুদ্রানীতির নির্ধারণের মধ্য দিয়ে সেটি করে থাকে।

গত ২৮শে অগাস্ট সরকার একটি শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠন করে দেয়। দেশের অর্থনীতির প্রকৃত চিত্র জানতে এই কমিটি করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

১১ ই সেপ্টেম্বর ব্যাংকখাত সংস্কারে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়।

উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া আর্থিক, পুঁজিবাজার ও ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন খাতের সংকট নিরসনে অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে, বলেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

বাংলাদেশের অর্থনীতির আলোচিত তিনটি বিষয় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, ব্যাংক খাত এবং মূল্যস্ফীতি।

গত একশো দিনে এসব খাতে কী পরিবর্তন এসেছে?

রিজার্ভ ও রেমিট্যান্স
বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রিজার্ভ ছিল ২০২১ সালের অগাস্টে, ৪৮ বিলিয়ন ডলার। কোভিড মহামারি পরবর্তী সময়ে আমদানি ব্যয় ব্যাপকভাবে বেড়ে গেলে রিজার্ভ কমতে শুরু করে। এর সঙ্গে নানান উপায়ে অর্থ পাচারকেও বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ হ্রাসের কারণ বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।

রিজার্ভ ক্রমশ নিম্নমূখী হতে থাকলে পরিস্থিতি সংকটময় হয়ে ওঠার আশঙ্কা তৈরি হয়।

২০২৩ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের দেয়া তথ্য থেকে দেখা গেছে, প্রায় প্রতি মাসেই রিজার্ভের পরিমাণ আগের মাসের তুলনায় কমেছে। দেশটির রিজার্ভের অন্যতম প্রধান উৎস রেমিট্যান্স।

ওই বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের প্রবাসী আয় ছিল ১৩৩ কোটি ডলার।

তবে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে প্রায় ২৪০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলেন, জুলাই মাসের পর থেকে ফরমাল চ্যানেলে (প্রাতিষ্ঠানিক পথে) রেমিট্যান্স ফ্লো বেড়েছে।

“আগে যেখানে মাসে দেড়শো বা ১৭০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসতো, খুব ভালো হলে ২০০ কোটি ডলার হতো, এখন সেখানে প্রতি মাসে দুশো কোটির ওপরেই থাকছে,” বলছিলেন মি. হোসেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব থেকে দেখা যাচ্ছে, প্রতি মাসে এই অংক ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।

জুলাইয়ে ছিল ১৯১ কোটি ডলার, অগাস্টে ২২২ কোটি আর সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ছাড়িয়েছে।

“অফিশিয়াল চ্যানেলে মুদ্রা পাঠানোর ক্ষেত্রে যে রেট প্রদান করা হয়, সেটাকে বাজারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ রাখতে পারলে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর উর্ধ্বগতি বজায় থাকবে,” বলছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কে মুজেরী।

বাংলাদেশে ব্যাংকের রিজার্ভ স্থিতিশীল অবস্থায় আছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, “রিজার্ভ খুব একটা বেড়েছে তা নয়। তবে কমে নাই।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, আইএমএফ নির্ধারিত বিপিএম সিক্স পদ্ধতিতে অগাস্ট রিজার্ভ ছিল প্রায় দুই হাজার ৪৭ কোটি ডলার এবং সেপ্টেম্বরে এক হাজার ৯৮৬ কোটি ডলার ।

অক্টোবরে বৈদেশিক মুদ্রার এই মজুদের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় এক হাজার ৯৮৪ কোটি ডলার। পরিসংখ্যানে কিছুটা কম দেখালেও এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ বেশ কিছু ঋণ ও বকেয়া পাওনা পরিশোধ করে।

গভর্নর আহসান এইচ মনসুর স্থানীয় গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে জানান, ওই পাওনা পরিশোধ করতে “রিজার্ভে হাত দিতে হয়নি”।

এই সময়ে রপ্তানি বাবদ প্রাপ্ত অর্থ দ্রুতই দেশে নিয়ে আসার প্রবণতাও বেড়েছে বলে জানান অর্থনীতিবিদরা।

জাহিদ হোসেন মনে করেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের সময়কালে যে উদ্যোগ থেকে সবচেয়ে বেশি ফলাফল দেখা যাচ্ছে সেটা বৈদেশিক মুদ্রা বাজার ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে।”

অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কে. মুজেরীও বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বাজারের সঙ্গে অনেকটাই সঙ্গতিপূর্ণ করা সম্ভব হয়েছে।

এর ফলে ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতন ঠেকানো গেছে বলে মনে করেন তারা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ১৪ই নভেম্বরের হালনাগাদ তথ্য বলছে আন্তঃব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রতি মার্কিন ডলারের বিনিময় মূল্য ছিল ১২০ টাকা।

তবে ‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতি তুলে দিয়ে পুরোপুরি বাজারের ওপর ছেড়ে দিলে ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরো কমে আসতে পারে বলে মনে করেন জাহিদ হোসেন।

ব্যাংক খাত
বাংলাদেশের ব্যাংক খাত এমন অবস্থায় রয়েছে যেখানে ব্যাংকগুলো ‘সবল ব্যাংক’ এবং ‘দুর্বল ব্যাংক’ এই দুই ধারায় শ্রেণিভুক্ত।

অনাদায়ী ঋণ ও খেলাপি ঋণের কারণে এ খাত ক্রমশ ‘বিপর্যস্ত’ হয়ে পড়ে।

গত কয়েক মাসে ১১টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে নতুন পর্ষদ গঠন করে দেয়া হয়েছে।

তারল্য সংকটের কারণে ১১ই অগাস্ট ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের সীমা বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

পরে সাতই সেপ্টেম্বর থেকে সেই সীমা তুলে নেয়া হয়।

এখনো তারল্য সংকটে ভুগছে কিছু ব্যাংক। গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে পারছে না তারা।

২৪শে সেপ্টেম্বর বেসরকারি খাতের নয়টি ব্যাংকের চলতি হিসেব প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাতে দেখা যায় ব্যাংকগুলোতে ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ১৬৭ টাকা।

সম্প্রতি সাতটি দুর্বল ব্যাংককে সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অতিরিক্ত কোনো টাকা না ছাপিয়ে, সবল ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ হিসেবে এই টাকা দেয়া হয়েছে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে।

তবে, সামগ্রিকভাবে এই উদ্যোগের সুফল নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কে. মুজেরী।

“এইভাবে শুধু ঋণ দিয়ে সাময়িকভাবে পারফর্ম করানো সম্ভব। কিন্তু এটা কোনো দীর্ঘমেয়াদি সমাধান দেবে না। কারণ, দুর্বলতার কারণ দূরীভূত হচ্ছে না,” বিবিসি বাংলাকে বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ।

অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন “রক্তক্ষরণটাকে বন্ধ করা হয়েছে। ডায়াগনোসিস এখনো পুরোপুরি হয়নি।”

ব্যাংকিং খাতের পুনর্গঠন প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি, বলেন তিনি।

মি. হোসেন সরকার গঠিত শ্বেতপত্র কমিটির একজন সদস্য। একই সাথে ব্যাংকখাত সংস্কারে গঠিত টাস্কফোর্সেও সদস্য হিসেবে রয়েছেন।

তিনি জানান, ব্যাংকখাতের এই অবস্থা কী করে হলো তার বিশ্লেষণ থাকবে তাদের প্রকাশিত শ্বেতপত্রে।

দুর্বল ব্যাংকগুলোতে ডিসেম্বর বা জানুয়ারি মাস নাগাদ অডিট শুরু হওয়ার কথা।

“অডিটর বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে,” যোগ করেন জাহিদ হোসেন।

শ্বেতপত্র কমিটি, অর্থনীতি পুনঃকৌশলীকরণ কমিটি এবং অন্যান্য কমিটি সম্পর্কে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এসব খাতে সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে, অন্যথায় সংকট নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।

মূল্যস্ফীতি
বাংলাদেশের মানুষকে কয়েক বছর ধরে মূল্যস্ফীতি বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ে নাজেহাল হতে হচ্ছে। খরচ সামলাতে গিয়ে অসন্তোষ তীব্র হয়েছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের।

গণঅভ্যুত্থানে সরকার বদলালেও এই একটি জায়গায় কোনো বদল আসেনি বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী, অক্টোবর মাসে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক আট সাত শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যেখানে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ছয় ছয় শতাংশ।

সেপ্টেম্বরে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল নয় দশমিক নয় দুই।

সংকোচন মুদ্রানীতি গ্রহণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক একাধিকবার নীতি সুদ হার বাড়িয়েছে। আমদানির ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হয়েছে। পেঁয়াজ, ডিমের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার ও হ্রাস করেছে সরকার।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এই উদ্যোগগুলোর কোনো ফলাফল দেখা যাচ্ছে না, বলে জানাচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা।

বরং হিতে বিপরীত হয় এমন উদ্যোগও নেয়া হচ্ছে বলে অভিমত জাহিদ হোসেনের।

“বাজারে গিয়ে ডান্ডাবাজি করা, এই ওষুধটা রোগের চেয়েও ভয়ংকর। একটা দাম বেধে দিলাম, বাজারে গিয়ে সেই দামে না পেলে জরিমানা করলাম, ধমকাধমকি করলাম… এই মডেল কখনো কাজ করে না। মার্কেট পুলিশিং নেভার ওয়ার্কস্,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।

তিনি আরো যোগ করেন, “আগের সব সরকারই লোক দেখানোর জন্য ‘মার্কেট পুলিশিং’ করেছে। এই সরকারও সেটা করছে।”

বাজার তদারকির সময় খুচরা পর্যায়ের বিক্রেতাদের জরিমানা করা হয়।

“বিক্রেতারা পরে ভোক্তার কাছ থেকেই সেই জরিমানা বাবদ খরচের অর্থ তুলে নেয়,” বলেন মুস্তফা কে. মুজেরী।

আরেকজন অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, “মার্কেট মনিটরিং বলতে যা করতে হবে তা হলো বড় বড় পাইকারি বাজারগুলোতে কে কোন দরে, কত পরিমাণ বিক্রি করছে, গুদামে কত আছে, আমদানি কত হলো, উৎপাদন কেমন হয়েছে এই তথ্যগুলো জনসমক্ষে নিয়মিতভাবে তুলে ধরা।”

বাসসকে গত ১৫ই নভেম্বর দেয়া সাক্ষাৎকারে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, চাঁদাবাজি, বাজারে কাঠামোগত কিছু সমস্যা থাকায় এক-দুই মাসে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।

মি. আহমেদ এতোদিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

মূল্যস্ফীতি সংক্রান্ত বিবিএসের তথ্য যেদিন প্রকাশিত হয় সেদিন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর গণমাধ্যমকে বলেন, আগে মূল্যস্ফীতির হিসাব কমিয়ে দেখানো হতো। বর্তমানে মূল্যস্ফীতির প্রকৃত হিসাব দেওয়া হচ্ছে।

গত ১১ই নভেম্বর একটি অর্থনৈতিক সম্মেলনে গভর্নর বলেন, মুদ্রানীতির সুফল পেতে অন্তত এক বছর লাগবে।

“মাত্র চার মাস পার করেছি, মূল্যস্ফীতি কমাতে আরো আট মাস সময় দিতে হবে,” যোগ করেন তিনি।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেনও বলছেন, সংকোচনমূলক মুদ্রানীতিতে ফল আসতে সময় লাগে।

এমন বাস্তবতায় বাজারটা ঠিকমত কাজ না করলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ আরো কঠিন হয়ে যাবে, বলে মনে করেন তিনি।

সূত্র: বিবিসি বাংলা