সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
নোমান আলির বয়স ৩৮ হওয়ায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সুযোগ পাবেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কা জেগেছিল। তবে ১৫ মাস পর সুযোগ পেয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। বিধ্বংসী বোলিংয়ে ইংল্যান্ডকে মাটিতে নামিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার।
নোমানকে অবশ্য যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন আরেক স্পিনার সাজিদ খান।
তিন টেস্টের সিরিজে শেষ দুই টেস্টে দুজনে মিলে ইংল্যান্ডকে ধসিয়ে দিয়েছেন। ৪০ উইকেটের মধ্যে ৩৯ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে সিরিজেও জয় এনে দিয়েছেন তারা। দুই টেস্ট মিলে ২০ উইকেট নেন নোমান। সেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের এবার স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি।
স্পিনের মায়াজালে ইংল্যান্ডকে বেঁধে ফেলা নোমান অক্টোবর মাসের মাসসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন। ৩৮ বছর বয়সে এমন স্বীকৃতি পাওয়ায় রেকর্ডও গড়েছেন তিনি। সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে আইসিসির মাসসেরা হয়েছেন। এতদিন এই কীর্তি ছিল বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের।
২০২৩ সালে মার্চ মাসের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হওয়ার সময় সাবেক এক নাম্বার অলরাউন্ডারের বয়স হয়েছিল ৩৬ বছর।
পাকিস্তানের পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে এই পুরস্কার জিতলেন নোমান। তার আগেই এই পুরস্কার জিতেছেন বাবর আজম, আসিফ আলী, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ফখর জামান। পুরস্কার জিততে পেছনে ফেলেছেন নিউজিল্যান্ডের বাঁহাতি স্পিনার মিচেল স্যান্টনার ও দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসো রাবাদাকে।
অন্যদিকে মেয়েদের মাসসেরা হয়েছেন অ্যামিলিয়া কার।
নিউজিল্যান্ডের এই অলরাউন্ডারের হওয়াটা এক রকম নিশ্চিতই ছিল। বলা যায়, শুধু আনুষ্ঠানিকতা বাকি ছিল। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সেই প্রথমবারের মতো কিউই মেয়েরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে। বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার পথে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। সঙ্গে ব্যাট হাতে অবদান রেখেছেন ১৩৫ রান করে। লড়াইয়ে পেছনে ফেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার লরা ভলভার্ট ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডিয়ান্ড্রা ডটিন। এর আগেও ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মাসসেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি জুটেছিল তার কপালে।
সূত্র: কালের কণ্ঠ