নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর দুর্গাপুরে হত্যার উদ্দেশ্যে এক যুবককে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় দুইনারীসহ তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে। উপজেলার মাড়িয়া দক্ষিণ পাড়া গ্রামে সোমবার সকালে এই ঘটনা ঘটে। এবিষয়ে দুর্গাপুর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আহতরা হলো, মাড়িয়া দক্ষিনপাড়া মৃত কেরামত সরকারের পুত্র শফিকুল ইসলাম (৪৫), শফিকুল ইসলামের স্ত্রী আয়েশা বেগম (৪২) ও শফিকুল ইসলামের বড়বোন কমেলা বেগম (৫৮)।
এবিষয়ে গতকাল সোমবার গুরুতর আহত শফিকুল ইসলামের স্ত্রী আয়েশা বেগম বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,, আজ সোমবার সকালে দক্ষিণপাড়ায় গ্রাম্য পশু ডাক্তার নাহিদের বাড়ীর উঠানে একই গ্রামে তাহের উদ্দিনের জমি মাপজোকের জন্য ভূমি সার্ভেয়ারকে ডাকা হয়। এসময় জমির মালিক শফিকুল ইসলামকে ডেকে নেয় তাহের উদ্দিন।
গ্রাম্য পশু ডাক্তার নাহিদের বাড়ির উঠানে ভূমি সার্ভেয়ারসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিরা জমির মালিকগণ জমির কাগজপত্র দেখতে থাকেন। এসময় একই গ্রামের মৃত আঃ রশিদের পুত্র আলাউদ্দিন, কালিমুদ্দিন, বেল্লাল আঃ রশিদের নাতি রকি, সোহান এবং আজাদ, মনিসহ ৮ থেকে ১০ জন হাসুয়া লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শফিকুল ইসলামের ওপরে অতর্কিত হামলা চালায়া। তারা শফিকুলের মাথায় হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে এবং লোহার রড দিয়ে মেরে হাত ও পা ভেঙ্গে দিয়ে গুরুতর আহত করে।
এসময় স্বামীকে বাঁচাতে শফিকুল ইসলামের স্ত্রী আয়েশা বেগম (৪৩) ও শফিকুল ইসলামের বড় বোন কমেলা বেগম (৬০) এগিয়ে গেলে তাদেরকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে এলাকাবাসী ৯৯৯ মাধ্যমে কল করে। দুর্গাপুর থানা বিষয়টি জানাতে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর আহতদের উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত শফিকুল ইসলামের স্ত্রী আয়েশা বেগম বলেন, আমার স্বামী একজন নিরীহ ব্যাক্তি। সে দিনজুরের কাজ করে সংসার চালায়। আমার স্বামীর সাথে কারো জমিজমা বিষয়ে কোন দ্বন্দ ফ্যাসাত নেই। অন্য কোনো কারণে প্রতিবেশী মৃত আঃ রশিদের পুত্র, নাতি সহ এলাকার কয়েজজন ব্যাক্তি আমার স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে হাসুয়া দিয়ে মাথায় কুপিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে। আমি এবিষয়ে থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছি। আমি আমার স্বামীকে মারধোরের বিচার চাই।
এবিষয়ে দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দূরুল হোদা বলেন, আমি জরুরী কাজে রাজশাহী শহরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ছিলাম, এবিষয়ে অভিযোগ পেলে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।