রবিবার , ৩ নভেম্বর ২০২৪ | ২০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

৭ নভেম্বরের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধের হুমকি, বাংলাদেশকে আল্টিমেটাম আদানি’র

Paris
নভেম্বর ৩, ২০২৪ ৩:৩৩ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বকেয়া পরিশোধ না করা হলে ৭ নভেম্বরের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে বাংলাদেশকে জানিয়েছে আদানি পাওয়ার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সূত্রের বরাতে টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৩১ অক্টোবর বকেয়া পরিশোধের নির্ধারিত সময়সীমা পার হওয়ার পর বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭০ মিলিয়ন ডলারের ঋণপত্র খোলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিতে উল্লেখিত শর্ত পূরণ করেনি বিপিডিবি।

এর আগে, বকেয়া পরিশোধে বিলম্বের কারণে আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড গত ৩১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে তাদের বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। খাতসংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, ডলার সংকটের কারণে সময়মতো অর্থ পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ।

সূত্রের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গড্ডা প্ল্যান্ট বাংলাদেশের জন্য প্রতি ইউনিট ১০–১২ টাকা (ভারতীয় রুপি ৭–৮.৫০) হারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। এই মূল্য ইন্দোনেশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করা কয়লার দামের সঙ্গে ওঠানামা করে।

আদানি পাওয়ার সরাসরি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি, তবে সংস্থার সিনিয়র এক্সিকিউটিভরা এর আগে জানিয়েছেন, তাঁরা সমাধানের ব্যাপারে আশাবাদী। সময়মতো অর্থ প্রদানে বিলম্ব এবং এর স্পষ্ট সমাধানের অভাব তাদের কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে। কারণ তাদের নিজেদের ঋণদাতাদের পাওনা পরিশোধ করতে হবে।

এদিকে বাংলাদেশে সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্ত গড্ডা প্ল্যান্টের বাণিজ্যিক স্থিতিশীলতাকেও প্রভাবিত করবে। কারণ বাংলাদেশই তাদের একমাত্র বিদ্যুৎ ক্রেতা। এরই মধ্যে আদানি পাওয়ার তাদের দুটি ৮০০ মেগাওয়াট ইউনিটের মধ্যে একটি ইউনিট বন্ধ রাখছে। যেখান থেকে প্রতি মাসে ৯–১০ কোটি ডলারের বিল হিসাবে বার্ষিক আয় প্রায় ১১০ কোটি ডলার।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরপরই আদানি ভারতে অভ্যন্তরীণ বাজারে বিদ্যুৎ সরবরাহের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে শুরু করে। এর জন্য ভারত সরকারও এরই মধ্যে নীতিমালা পরিবর্তন করেছে।

সর্বশেষ - অর্থ ও বাণিজ্য