শুক্রবার , ১ নভেম্বর ২০২৪ | ১৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ইসরাইলি হামলায় প্রাণ গেল এক পরিবারের ১১৭ সদস্যের

Paris
নভেম্বর ১, ২০২৪ ১০:১৫ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

উত্তর গাজার বেইত লাহিয়া প্রকল্প ভবনে বর্বর ইসরাইলি বাহিনীর সাম্প্রতিক হামলায় একই পরিবারের ১১৭ জন সদস্য নিহত হন। যাদেরকে সমাহিত করতে পারেন বেঁচে থাকা সদস্যরা।

কোনোরকম পূর্ব সতর্কবার্তা ছাড়াই চালানো এই হামলাটি সম্পর্কে আল-মায়াদিনের সঙ্গে কথা বলেন তারা।

শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরিবারটির বেঁচে থাকা সদস্যরা জানান, হামলার সময় ভবনটিতে প্রায় ২৫০ জন বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন।

তাদের মতে, প্রিয়জনদের দেহের ওপর দিয়েই পথ চলতে বাধ্য হয়েছিলেন তারা এবং পরিবারের ১১৭ জন সদস্যকে সমাহিত করতে হয়েছে।

উত্তর গাজায় ইসরাইলি বাহিনী আল-গান্দুর পরিবারকে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন আল-মায়াদিনের প্রতিনিধি।

অন্যদিকে মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ, আল-নুসেইরাত শরণার্থী শিবির ও আল-জাওয়াইদে এলাকায় চালানো বিমান হামলায় ৪৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও বহু আহত হন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

এছাড়া, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পূর্ব আল-কারারা এলাকায়ও ইসরাইলি বাহিনীর গোলাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।

বেইত লাহিয়াকে ‘বিপর্যস্ত এলাকা’ ঘোষণা

গাজার উত্তরাঞ্চলের বেইত লাহিয়া শহরকে বুধবার ‘বিপর্যস্ত এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করেছে স্থানীয় পৌরসভা। শহরটিতে খাবার, পানি, হাসপাতাল, চিকিৎসক, মৌলিক সেবা, এমনকি যোগাযোগের উপায় পর্যন্ত নেই।

ইসরাইলি অবরোধ শেষ করার জন্য এবং মেডিকেল সামগ্রী, খাদ্য, জ্বালানি, সিভিল ডিফেন্স সরঞ্জাম এবং অ্যাম্বুলেন্সের জন্য একটি নিরাপদ করিডোর তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।

এদিকে আল-মায়াদিনের প্রতিনিধির তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক কয়েক ঘণ্টায় গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে চালানো গণহত্যায় ১৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। অবরুদ্ধ জাবালিয়া এলাকায় ইসরাইলি বাহিনীর ব্যাপক গোলাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও শোচনীয় করে তুলেছে।

এ নিয়ে গাজার সামগ্রিক পরিস্থিতি ক্রমাগত আরও বিপর্যয়কর হয়ে উঠছে এবং বেঁচে থাকা মানুষদের সামনে এখন একমাত্র চ্যালেঞ্জ— নিরাপত্তা ও জীবন রক্ষা।

 

সূত্র: যুগান্তর

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক