শুক্রবার , ১ নভেম্বর ২০২৪ | ১৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

সাফ জয়ের উচ্ছ্বাস, আনন্দে ভাসছে কলসিন্দুর স্কুল

Paris
নভেম্বর ১, ২০২৪ ৯:৩৯ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

ইতিহাস সৃষ্টিকারী বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বিজয়ী হওয়ায় আনন্দের জোয়ার বইছে ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে। কারণ, দ্বিতীয়বার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ দলে আছেন কলসিন্দুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক চার ও বর্তমান দুই শিক্ষার্থীসহ ছয় ফুটবলার।

এই ছয় ফুটবলার হলেন- শামছুন্নাহার সিনিয়র, শামছুন্নাহার জুনিয়র, তহুরা, সানজিদা, শিউলি আজিম ও মারিয়া মান্দা। টুর্নামেন্টে তহুরা ভুটানের বিপক্ষে তিন গোল ও ভারতের বিপক্ষে দুই গোল করেছেন। শামসুন্নাহার জুনিয়র ১ গোল দিয়েছেন। ফাইনাল খেলায় সানজিদা ছাড়া বাকি পাঁচ জন অংশ নিয়েছেন।

এই মেয়েদের বদৌলতেই প্রত্যন্ত অঞ্চলের কলসিন্দুর গ্রামটির নাম এখন সারা দেশের মানুষের মুখে মুখে। নিজেদের ঘরের মেয়েদের এমন অর্জনে উচ্ছ্বাসে ভাসছে কলসিন্দুর গ্রামসহ পুরো ধোবাউড়া উপজেলা। তাদের পরিবারেও চলছে আনন্দ উল্লাস।

জেলা সদর ময়মনসিংহ থেকে ৬৫ কিলোমিটার উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্যঘেঁষা ধোবাউড়া উপজেলার গ্রামটি উন্নয়ন ও শিক্ষাদীক্ষায় এখনও বেশ পিছিয়ে। মুসলমান, হিন্দুদের পাশাপাশি এ গ্রামে বসবাস করেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকজন। মেয়েদের খেলাকে ঘিরে গত বুধবার পুরো উপজেলায় বিকাল থেকে টেলিভিশন এবং মোবাইলের দিকে নজর ছিল সব বয়সী মানুষের। বাড়ি-ঘরের পাশাপাশি হাট-বাজার ও দোকানপাটে টিভির সামনে ছিল ভিড়। এই জয় প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের সবচেয়ে বড় পাওয়া বলছেন তারা।

সাফজয়ী ফুটবল দলের সদস্য সানজিদা আক্তারের বাবা লিয়াকত আলী জানান, দ্বিতীয়বারের মতো খেলায় নেপালকে হারিয়ে বাংলাদেশ জিতেছে। বাবা হিসেবে এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে।

একটা সময় মেয়ে খেলাধুলা করায় মানুষ বিরূপ মন্তব্য করলেও এখন সবার মুখে মুখে সানজিদার প্রশংসা; এমন কথা জানিয়ে গর্বিত এই বাবা আরও বলেন, মেয়ের জন্য আজ আমাদের মুখ উজ্জ্বল হয়েছে। এলাকার অনেক নারী ফুটবলার সানজিদাকে অনুকরণ করে। সব জায়গাতেই আমাদের মূল্যায়ন বেড়েছে। তা আগে বুঝতাম না।

তহুরার বাবা ফিরোজ মিয়া জানান, জয়ের খবর পেয়ে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। একইসঙ্গে মেয়ের অপেক্ষায় আছি। মেয়েরা জিতেছে, আমাদের এলাকার লোকজন একে অন্যকে মিষ্টিমুখ করাচ্ছে।

কলসিন্দুর নারী ফুটবল টিমের কোচ জুয়েল সরকার জানান, নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এই দলের ছয় জনই কলসিন্দুর গ্রামের। সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্দা, শিউলি আজিম, তহুরা খাতুন, শামসুন্নাহার সিনিয়র, শামসুন্নাহার জুনিয়র; তাদের অর্জনে আজ জাতি গর্বিত।

 

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

সর্বশেষ - খেলা