সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
নাসার আর্টেমিস মিশনে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণের জন্য নয়টি সম্ভাব্য স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। এই মিশনের লক্ষ্য চাঁদে প্রথমবারের মতো মানুষকে অবতরণ করানো, যা প্রায় ৫০ বছর পর হতে যাচ্ছে। নাসা জানিয়েছে, চূড়ান্ত অবতরণ অঞ্চল নির্ধারণের আগে এই স্থানগুলোতে বৈজ্ঞানিক ও প্রকৌশলগত দিক থেকে বিশদ বিশ্লেষণ করা হবে। ভবিষ্যতের মিশনের জন্য নাসা অন্যান্য এলাকা নিয়েও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রস্তাবিত অবতরণ স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে: ক্যাবিয়াস বি এর শীর্ষ, হাওয়ার্থ, মালাপার্ট ম্যাসিফ, মন্স মাউটন মালভূমি, মন্স মাউটন, নোবাইল রিম ১ ও ২, ডি গার্লাচে রিম ২, এবং স্লেটার প্লেইন।
নাসার মতে, এসব স্থানে অবতরণের মাধ্যমে চন্দ্রের প্রাচীন ভূ-ভাগ, শীতল ছায়াযুক্ত অঞ্চল এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কিছু স্থানে চিরকাল অন্ধকার বিরাজমান, যা হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন পানি সংরক্ষণের সম্ভাব্য স্থান।
আর্টেমিস মিশন নিয়ে নাসার মুন টু মার্স প্রোগ্রাম অফিসের সহকারী ডেপুটি অ্যাসোসিয়েট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর লাকিশা হকিন্স বলেন, আর্টেমিস মিশন চাঁদে মানুষকে ফিরিয়ে আনবে এবং অজানা অঞ্চলে নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার করতে সাহায্য করবে।
নাসার আর্টেমিস লুনার সায়েন্স প্রধান সারা নোবেল বলেন, চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চল সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং এতে চাঁদের প্রাচীন ভূখণ্ড ও শীতল, ছায়াযুক্ত অংশগুলির অ্যাক্সেস রয়েছে। সেখানে হয়তো পানি ও অন্যান্য যৌগ রয়েছে।
এই স্থানগুলো নির্ধারণ করতে বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের একটি বহুমুখী দল নাসার লুনার রিকনেসেন্স অর্বিটার থেকে প্রাপ্ত তথ্যসহ ব্যাপক চন্দ্র গবেষণা কাজে লাগিয়েছে। বিজ্ঞানসম্ভাবনা, উৎক্ষেপণ সময়কাল, ভূ-প্রকৃতি, পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ এবং আলোর অবস্থান বিবেচনায় নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নাসার চিফ এক্সপ্লোরেশন সায়েন্টিস্ট জ্যাকব ব্লিচার বলেছেন, আর্টেমিস হবে প্রথম মিশন যেখানে মহাকাশচারীরা চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে অবতরণ করবে। চূড়ান্ত অবতরণ স্থান নির্ধারণের জন্য মিশনের উৎক্ষেপণ সময়সূচি এবং চন্দ্রপৃষ্ঠের পরিস্থিতির ভিত্তিতে আরও পরিকল্পনা করা হবে।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন