সোমবার , ২৮ অক্টোবর ২০২৪ | ১২ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

‘রাষ্ট্রপতিকে সরানোর পেছনে ষড়যন্ত্র দেখছে বিএনপি’

Paris
অক্টোবর ২৮, ২০২৪ ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘রাষ্ট্রপতিকে সরানোর পেছনে ষড়যন্ত্র দেখছে বিএনপি’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দীনকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি যে বিএনপিতে আটকে গেছে তা পুরোপুরি স্পষ্ট।

রাষ্ট্রপতির অপসারণ প্রশ্নে গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, অন্তর্র্বতী সরকার এবং জামায়াতে ইসলামী যেখানে একই সরলরেখায় দাঁড়িয়েছে।সেখানে বিএনপি কেন বেঁকে বসলো এমন প্রশ্ন দেশের মানুষের মনে।

সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরির কথা খোলামেলা বললেও ভেতরে ভেতরে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে দলটি।আদতে এই শঙ্কা থেকে রাষ্টপতির পক্ষে দলটির কঠোর অবস্থান। এ পরিস্থিতিতে যে কোন ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা ও দৃঢ় অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।

নীতি নির্ধারক নেতাদের প্রশ্ন সংবিধানের কোন প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা হবে? কি উদ্দেশ্য সরানো হবে? এই অপসারণ দেশ ও জনগণের জন্য ইতিবাচক নাকি নেতিবাচক হবে?

রাষ্ট্রপতিকে সরানোর উদ্যোগের সঙ্গে শুধু কি ছাত্ররা জড়িত নাকি পর্দার আড়ালে অন্য কেউ নির্বাচন প্রলম্বিত করতে অন্য খেলা খেলছে? এসব বিষয়ে আরো পর্যালোচনা করবেন বিএনপির নেতারা।

এইসঙ্গে সমমনা দলগুলোর মতামত নেয়া হবে।

প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘সাংবিধানিক সংকট চায় না বিএনপিসহ বিভিন্ন দল’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের প্রশ্নে অন্যতম প্রধান দল বিএনপি আরও একবার শক্তভাবে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে।

রোববার দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে হঠকারী কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।১২-দলীয় জোটও বিএনপির বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করেছে। এ মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে এবং নির্বাচন বিলম্বিত হবে বলে দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

তারাও রাষ্ট্রপতির পদে শূন্যতা এনে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির পক্ষে নয়।এমন প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের দাবিতে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়ায় রোববার ১২-দলীয় জোট ও গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে ছিল এসব রাজনৈতিক দল।

রাষ্ট্রপতির অপসারণের প্রশ্নে রাজনৈতিক ঐকমত্য না হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা সমাবেশসহ আন্দোলনের কর্মসূচি নেবেন বলেও তাদের জানিয়েছেন।

আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম, ‘পুঁজি যাচ্ছে, ক্ষোভ বাড়ছে’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত আড়াই মাসে ১৭ শতাংশ সূচক পতনের সঙ্গে পুঁজিবাজারের মূলধন কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ। আর এর খেসারত দিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। লাগাতার দরপতনে পুঁজি হারিয়ে দিশেহারা তারা।

বলা হচ্ছে দীর্ঘদিনের অনিয়মের বলি দেশের পুঁজিবাজার। কিন্তু নিয়ন্ত্রক ও কর্তৃপক্ষের তরফে পর্যাপ্ত বা দৃশ্যমান উদ্যোগ না দেখে ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে।

অন্যদিকে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মূল্যস্ফীতি অনেকটা কমে এসেছে। সামগ্রিক অর্থনীতি ধীরে ধীরে স্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছে। এসবের সঙ্গে পুঁজিবাজারও দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশ্বাস দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ।

গত ১৫ বছরে পুঁজিবাজারে চরম পর্যায়ের কারসাজি, ভালো কোম্পানির অভাব, খারাপ কোম্পানির তালিকাভুক্তি, সরকারসংশ্লিষ্টদের সুবিধা প্রদান, অপরাধের শাস্তি না হওয়ার মতো নানা অনিয়ম ছিল প্রাত্যহিক ঘটনা।

এসবের মধ্যে দরপতন ঠেকাতে কৃত্রিম পদ্ধতি হিসেবে আরোপ করা হয়েছিল ফ্লোর প্রাইস। এর মাধ্যমে পুঁজিবাজারের প্রকৃতি বিকৃত করা হয়।

তবে চলতি বছরের ই জানুয়ারি নির্বাচনের পর ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এরপরই বড় পতনের মুখে পড়ে দেশের পুঁজিবাজার। বিষয়টি সবাই মেনেও নেন বাজার সংশোধনের অংশ হিসেবে।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সরকার পতনের পর ব্যাংকিং খাত স্থিতিশীল হবে বলে প্রাথমিক আশা থাকলেও পরিস্থিতির খুব কমই উন্নতি হয়েছে।

এই খাতের মূল চ্যালেঞ্জগুলো সমাধানে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সামান্য। এ কারণে ব্যাংকিং খাত এখনও আস্থার সঙ্কটে ভুগছে।

বছরের পর বছর ধরে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার জালে আটকে আছে।

অনেক ব্যাঙ্ক এখনও আমানতকারীদের দাবি মেটাতে অক্ষম, পাবলিক আস্থার ক্রমাগত ক্ষয়ের সম্মুখীন হচ্ছে যার ফলে আতঙ্কিত তহবিল উত্তোলন হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর স্বীকার করেছেন যে প্রায় ১০টি ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হওয়ার মুখে রয়েছে – যা গ্রাহকদের আতঙ্ককে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। সবাই টাকা উত্তোলন করতে ভিড় করছে।

দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘নিজের শক্তি বোঝাচ্ছে বিএনপি’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সরকার পতনের পর নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিএনপি বড় দল হিসেবে নিজের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি জানান দিচ্ছে।

বিএনপিকে বাদ দিয়ে বড় কোনো সিদ্ধান্তে আসা যায় না। নির্বাচন ও সংস্কারের প্রশ্নেও দলটি তার প্রত্যাশা স্পষ্ট করেছে।যদিও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন পর্যন্ত কতদিনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া হবে বা কীভাবে নির্বাচন হবে, সেরকম কোনো রোডম্যাপ দেয়নি।

সংস্কার প্রক্রিয়া কী হবে সেটাও খোলাসা করেনি। ফলে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এসব নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।

ছাত্রনেতারা ও অন্তর্র্বতী সরকার এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে পিছিয়ে দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা বলেন।

অবশ্য ওইদিন রাতে ছাত্র আন্দোলনের আরেকটি দাবি মেনে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে সরকার। সরকারের এ সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করেছেন বিএনপি নেতারা।

দলটির শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, সাংবিধানিক সংকট, রাষ্ট্রীয় সংকট, রাজনৈতিক সংকট তৈরির পেছনে কী শক্তি আছে, সেটা আগে পর্যালোচনা করা দরকার।

এর আগে সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে তারা কিছু করতে নারাজ। বরং রাষ্ট্রপতি ইস্যুর চেয়ে তারা জরুরি মনে করছেন নির্বাচন অনুষ্ঠান। অর্থাৎ, নির্বাচনের তারিখ ও রোডম্যাপ ঘোষণা।সূত্র: বিবিসি বাংলা

সর্বশেষ - রাজনীতি