রবিবার , ২৭ অক্টোবর ২০২৪ | ১২ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

দেশ দানবের শাসন থেকে রক্ষা পেয়েছে : আবদুল আউয়াল মিন্টু

Paris
অক্টোবর ২৭, ২০২৪ ১০:৪৬ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

দেশে ১৬ বছর দানবের শাসন, ভোটাধিকার হরণ, লুটেরাদের রাজত্ব, পেশিশক্তির কাছে বাকশক্তির লাগাম টানা, কিশোর গ্যাংয়ের উত্থানসহ সর্বত্র ছিল অপশাসনের রাজত্ব। মানুষ কোথাও বিচার পায়নি বা বিচার পাওয়ার নালিশ পর্যন্ত করতে সাহস করেনি। এ যেন এক দানবের শাসন।

রোববার আদালতে হাজিরা দিতে ফেনীতে গিয়ে শনিবার রাতে এফবিসিসিআই সাবেক সভাপতি, ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভাইস চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

দাগনভূঞায় তার গ্রামের বাড়ি আজিজ ফাজিলপুরে পৈতৃক নিবাসে শনিবার রাতে বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন আব্দুল আউয়াল মিন্টু।

তিনি বলেন, ফেনীর দাগনভূঞায় আমার জন্মস্থানে এসেও আমি নিরাপদ ছিলাম না। বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতেও বাধাপ্রাপ্ত হয়েছি। আমারই অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজের পাশেই আমার গাড়িবহরে আক্রমণসহ ভাঙচুর করেছে। আমার প্রতিষ্ঠিত দাগনভূঞার মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিল করেছি। সেই প্রতিষ্ঠানে পর্যন্ত হামলা করে বন্ধ করে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দেশে ১৬ বছরের নৈরাজ্য থেকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দানবেরা পালিয়ে গিয়ে দেশকে দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। তাই এ স্বাধীনতা যুগ-যুগান্তর ধারাবাহিকভাবে ধরে রাখতে হবে। বিগত ১৬ বছরে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শরিক হতে গিয়ে ১ লাখ ৫২ হাজার মামলায় ৬২ লাখ রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছিল। আমিও সেই গায়েবি মামলার আসামি। আসামি হিসেবে আমাকে হাজিরা দিতে হচ্ছে।

আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, জুলাই-আগস্টে যারা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন আমরা তাদের স্মরণ করতে চাই। যারা গত ১৬ বছর ধরে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে মানুষের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন এবং মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করে গেছেন তাদের ভুলে গেলে চলবে না। এ সময়ের মধ্যে আন্দোলন করতে গিয়ে যারা শহিদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন, নানাভাবে নির্যাতিত হয়েছেন, তাদের ভুলে গেলে চলবে না। তাদের অবদানও স্মরণ করতে হবে। এ সরকারকে আমরা সমর্থন দিয়েছি, সমর্থন দিয়ে যাব। আমরা সরকারের কাছে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ চাই। যৌক্তিক সময় বলে দীর্ঘ সময়ক্ষেপণ ঠিক হবে না। টেকসই সংস্কার প্রয়োজন। টেকসই না হলে সংস্কার হবে মূল্যহীন।

এ সময় তিনি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, সংস্কার সেরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন দিয়ে দেন। জবাবদিহিতামূলক সরকার ফিরিয়ে আনুন।

 

সূত্র: যুগান্তর

সর্বশেষ - রাজনীতি