রবিবার , ২৭ অক্টোবর ২০২৪ | ১২ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

অ্যালার্জির সমস্যা কমাতে কার্যকরী ১০ খাবার

Paris
অক্টোবর ২৭, ২০২৪ ১০:২৫ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পেতে কিছু খাবার সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। এগুলো ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে, প্রদাহ কমায় এবং শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে অ্যালার্জি থেকে সুরক্ষা দেয়। এখানে এমন কিছু খাদ্যের তালিকা দেওয়া হলো, যেগুলো নিয়মিত খেলে অ্যালার্জির সমস্যা কমতে পারে।

১. আদা
আদা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি হিসেবে কাজ করে, যা অ্যালার্জির কারণে সৃষ্ট প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।

নিয়মিত আদা চা পান করলে শ্বাসনালী পরিষ্কার থাকে এবং অ্যালার্জি উপশমে সহায়ক হয়।
২. হলুদ
হলুদে থাকা কারকিউমিন একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা অ্যালার্জির লক্ষণ কমাতে সহায়তা করে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় হলুদ ব্যবহার করলে অ্যালার্জির প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

৩. মৌরি
মৌরিতে থাকা কিছু উপাদান শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে এবং অ্যালার্জির কারণে সৃষ্ট অস্বস্তি দূর করতে কার্যকর।

মৌরি চিবিয়ে খেলে বা মৌরি চা পান করলে গলা এবং শ্বাসপ্রশ্বাস সহজ হয়।
৪. টকজাতীয় ফল (লেবু, কমলা)
লেবু, কমলা এবং অন্যান্য টকজাতীয় ফলে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে, যা ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে এবং অ্যালার্জির লক্ষণ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় টক ফল যুক্ত করলে অ্যালার্জি প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

৫. মধু
স্থানীয় মধুতে বিভিন্ন ফুলের পরাগকণা থাকে, যা নিয়মিত গ্রহণ করলে শরীর এসব উপাদানের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে অ্যালার্জির প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে।

তবে স্থানীয় মধু ব্যবহারই বেশি উপকারী।
৬. দই ও অন্যান্য প্রোবায়োটিক খাবার
দইয়ে প্রোবায়োটিক উপাদান থাকে, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তোলে। নিয়মিত দই খেলে অ্যালার্জির লক্ষণ কমানোর পাশাপাশি সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।

৭. পেঁয়াজ এবং রসুন
পেঁয়াজ এবং রসুনে থাকা কুয়ারসেটিন নামক একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট অ্যালার্জির বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং হাঁচি ও শ্বাসকষ্ট কমাতে সাহায্য করে।

৮. কুমড়ার বীজ
কুমড়ার বীজে থাকা ম্যাগনেসিয়াম শ্বাসনালীর পেশী শিথিল করতে সাহায্য করে, যা শ্বাসকষ্ট বা অ্যালার্জির সময় শ্বাস নিতে সহজ করে।

এছাড়া এতে থাকা অন্যান্য উপাদান ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তোলে।
৯. সবুজ পাতা ও সবজি (পালং শাক, ব্রকোলি)
সবুজ পাতার শাকে থাকা নানা পুষ্টিগুণ অ্যালার্জির সময় শরীরের শক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে। এগুলোতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরকে সুরক্ষা দেয় এবং অ্যালার্জির সময় প্রদাহ কমাতে ভূমিকা রাখে।

১০. ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার (চিয়া বীজ, স্যামন মাছ)
চিয়া বীজ, স্যামন মাছ, আখরোট ও অন্যান্য ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার অ্যালার্জির সময় প্রদাহ কমাতে ও শ্বাসযন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। ওমেগা-৩ ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।

 

সূত্র: কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - লাইফ স্টাইল