বুধবার , ২৩ অক্টোবর ২০২৪ | ৮ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

মডেল মসজিদের কেয়ারটেকারের পদত্যাগের দাবি

Paris
অক্টোবর ২৩, ২০২৪ ১১:১৬ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ইসলামিক ফাউন্ডেশন পবার কেয়ারটেকার রুহুল আমিন নূরীর পদত্যাগের দাবিতে মানববনন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে নওহাটা পৌর মডেল মসজিদের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন পবা, রাজশাহীর শিক্ষকবৃন্দের আয়োজনে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সমন্বয়কারী হাফেজ মাওলানা আবু বাক্কার সিদ্দিকসহ হাফেজ মাওলানা মুখলেসুর রহমান, হাফেজ মাওলানা সাইফুদ্দিন, এইচ এম আল আমিন, মাওলানা আরিফুর রহমান, মাওলানা মাসুদুর রহমান, হাফেজ মাওলানা মাহবুব ইসলাম, হাফেজ মাওলানা মামুনুর রশিদ, হাফেজ মাওলানা রাকিবুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা জুনাইদ জিয়া ও হাফেজ মাওলানা খাইরুল ইসলামসহ অন্যান্য শিক্ষকরা।

মানববন্ধনে শিক্ষকরা বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন পবার মডেল কেয়ারটেকার রুহুল আমিন (নূরী) একজন স্বেচ্ছাচারী ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগগুলো তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন তারা। তারা বলেন, নূরী প্রতি মাসে প্রতিটি কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা দাবি করে, এই টাকা দিতে কেউ অস্বীকৃতি জানালে তাকে হেনস্তা করার উদ্দেশ্যে বারবার শোকজ দেয়, তার দাবি করা টাকা বিষয়ে সদ্য সাবেক ফিল্ড সুপারভাইজার মুসলেমউদ্দীন কে জানালে তিনি বলতেন, ” নূরীর সাথে সম্পর্ক করে চললে তোমাদেরই ভালো হবে, যেটা চায় ( টাকা ) সেটা দিলেই তো আর সমস্যা করবে না।

তারা আরো বলেন, শিক্ষকদের বেতন হলে নূরী বায়া সোনালী ব্যাংকের নিচে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। শিক্ষকরা টাকা নিয়ে বের হলে তাদের থেকে কমপক্ষে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা চাঁদা আদায় করেন। শুধু তাইনয় গত জাতীয় এবং উপজেলা নির্বাচনে সকল শিক্ষকদেও মোবাইলে কল করে জরুরি এবং কড়া নির্দেশ দিয়ে মডেল মসজিদে ডাকে এবং সেই প্রোগ্রামে নির্বাচনী প্রার্থীদের হয়ে ভোট করার জন্য নির্দেশ দেন। কেউ নির্দেশনা না মানলে জেলের ভাত খাওয়ানোর ভয় দেখান তিনি। নির্দেশ না মানলে নারী-পুরুষ সকল শিক্ষকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।

তারা বলেন, স্কুলে মাদুর নূরী নিয়ে গেছে। এছাড়াও প্রতি মাসিক সমন্বয় সভায় প্রত্যেকের নিকট হতে অফিস খরচের নাম করে ৫০-২০০ করে টাকা পর্যন্ত নেন। পত্রিকার টাকাও সে পুরো টাকা পরিশোধ করেন না তিনি। তারা আরো বলেন, নূরী এখন পর্যন্ত সে ১৭ এর অধিক বিয়ে করেছেন । বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোন ডকুমেন্টস ছাড়া বিয়ে করে এবং তালাক দেন । পবা মডেল মসজিদের ইমাম হিসেবে নিয়োগ পেতে বর্তমান দায়িত্বে থাকা ইমাম সাহেবকে চক্রান্ত করে তাড়িয়ে দিতে এলাকার কিছু পাতিনেতাদের লেলিয়ে দিয়ে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে ।

এমনকি ইমামের বিপক্ষে অভিযোগপত্রে তাদের থেকে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেন। শুধু এই অভিযাগ গুলোই নয় তিনি পাঁচ বছর হলো এখানে চাকরী করছেন। তিনি এই থেকে মাত্র ১৫ হাজার মতো বেতন পান। কিন্তু নওহাটায় তিনি প্রায় কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন। বর্তমানে নওহাটায় তার ২ জায়গায় জমি কেনা আছে এবং হাবিব কম্পিউটার সেন্টার,নওহাটা কলেজ মোড় ও রংধনু বস্ত্রালয় নামে,হক মার্কেট,নওহাটা বাজারে ২টি দোকান চলমান রয়েছে। নূরী শিক্ষকদের থেকে প্রতি মাসে উঠানো টাকা এবং অন্য অবৈধ আয় দিয়ে এটা করেছেন বলে তারা অভিযোগ করেন। তারা বলেন, নূরীর বিরুদ্ধে আরো শত অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগগুলো তদন্ত করে পবা ইসলামিক ফাউন্ডেশন অফিসকে কলুষিত মুক্ত করতে এবং সার্বিক পরিবেশ সুশৃঙ্খল রাখার স্বার্থে যতদ্রুত সম্ভব মডেল কেয়ারটেকারকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানান তারা।

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর