মঙ্গলবার , ২২ অক্টোবর ২০২৪ | ৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ভারত-চীন সীমান্তে টহলদারি নিয়ে চুক্তি, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলছে?

Paris
অক্টোবর ২২, ২০২৪ ৯:১৪ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

‘দ্য লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল’ (প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা) বরাবর সেনাবাহিনীর টহল দেওয়ার বিষয়ে একটা সমঝোতায় পৌঁছেছে ভারত ও চীন। রাশিয়ায় আয়োজিত ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রওনা হওয়ার ঠিক আগে আগেই সোমবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘোষণা করে।

তবে এই ঘোষণা ঘিরে বিশেষজ্ঞদের ভিন্ন মতামত রয়েছে। ভারত এবং চীনের সম্পর্ককে কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করেছেন এমন বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, অতীতেও সে দেশের (চীনের) সঙ্গে এমন সমঝোতা হয়েছে। কিন্তু তার পরেও চীনের তরফে আগ্রাসন দেখা গিয়েছে।

এদিকে, ভারতের পক্ষ থেকে ‘দ্য লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল’ (এলএসি) সম্পর্কিত এই সমঝোতার বিষয়ে এখনও বিস্তারিতভাবে কিছু জানানো হয়নি। চীনের তরফেও কিন্তু কোনওরকম বিবৃতি আসেনি।

তবে বিশেষজ্ঞদের অনেকেই এই সমঝোতাকে দুই দেশের সম্পর্ককে স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবে বিবেচনা করছেন।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিসরি সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারত ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক ও সামরিক পর্যায়ের আলোচনার পরিণতি এই ‘ডিসএনগেজমেন্ট’ সঙ্ক্রান্ত সমঝোতা। এক্ষেত্রে ‘ডিসএঙ্গেজমেন্ট’-এর অর্থ হলো মুখোমুখি অবস্থান থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় মোতায়েন সেনাবাহিনীর পিছিয়ে যাওয়া।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর সোমবার বেসরকারি নিউজ চ্যানেল এনডিটিভির এক অনুষ্ঠানে বলেন, “২০২০ সালে ভারতীয় সেনারা চীন লাগোয়া যে সীমান্ত অঞ্চলে টলহ দিত, সেখানে আবার টহল দিতে পারবে।”

তিনি বলেন, “উত্তেজনা কমানোর বিষয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে আলোচনা শেষ হয়েছে। আজ দুই পক্ষ পারস্পরিক সমঝোতায় পৌঁছেছে। আগামী সময়ে এই বিষয়ে আরও তথ্য জানা যাবে।”

এই সমঝোতার প্রভাব সম্পর্কে তিনি বলেন, “এলএসি নিয়ে ২০২০ সালের আগের পরিস্থিতি পুনরায় বহাল হবে। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা তবে এর সম্পূর্ণ প্রভাব এখনই মূল্যায়ন করলে তাড়াহুড়ো করা হয়ে যাবে। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।”

বিশেষজ্ঞদের মতামত
ভারত-চীন বিশেষজ্ঞ এবং কলিঙ্গ ইনস্টিটিউটের ইন্দো-প্যাসিফিক স্টাডিজের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক চিন্তামণি মহাপাত্র বলেছেন, “এটা একটা ইতিবাচক সূচনা। কারণ গত কয়েক মাসে কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে যে আলোচনা হয়েছে তার ফলেই (দুই দেশের মধ্যে) উত্তেজনা হ্রাস সংক্রান্ত সমঝোতা হয়েছে।”

“তবে একটা চুক্তি দুই দেশের মধ্যে সব ধরনের উত্তেজনার অবসান ঘটাতে সক্ষম হবে এমনটা নয়। তবে একে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রথম ধাপ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।”

সমঝোতার বিষয়ে ব্যাখ্যা করেছেন অধ্যাপক মহাপাত্র। তার কথায়, “এই সমঝোতা ডিসএনগেজমেন্ট সংক্রান্ত। এটা কিছু এলাকায় ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবংকিছু অঞ্চলে এখনও বাকি আছে। গত মাসে ভারতীয় সেনাপ্রধানও বলেছিলেন যে, সহজ সমস্যাগুলোর সমাধান হয়ে গিয়েছে এবং আগামী সময়ে কঠিন বিষয়গুলির সমাধান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”

কিছু বিশেষজ্ঞ আবার এলএসি সম্পর্কিত সাম্প্রতিক ঘোষণাকে ‘সতর্কতার’ সঙ্গে পর্যবেক্ষণের কথা বলেছেন।

ব্রুকিংস ইনস্টিটিউটের সিনিয়র ফেলো তনভি মদন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটারে)-এ লিখেছেন, “২০১৭ সালের ডোকলাম সঙ্কটও ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের আগেই সমাধান হয়েছিল এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর চীন সফরের পথ প্রশস্ত হয়েছিল।”

তবে তক্ষশীলা ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর নীতিন পাই এই চুক্তির বিষয়ে ‘এখনই আশাবাদী’ না হওয়ার বার্তা দিয়েছেন।

এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “ভারত-চীন সীমান্তে শান্তি ফেরাতে কিছু সমঝোতা হয়েছে। তবে এখনই এই নিয়ে উদযাপন করবেন না। কারণ বেইজিংয়ের নীতিতে এমন কিছু দেখা যায়নি যা থেকে বলা যেতে পারে যে তাদের আগ্রাসী অবস্থানের পরিবর্তন হয়েছে।”

প্রসঙ্গত, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিসরির দেওয়া সোমবারের বিবৃতিতে শুধুমাত্র যে ‘ডিসএঙ্গেজমেন্ট’-এর বিষয়ে চুক্তির কথা বলা হয়েছে।

এলএসি-র যে সমস্ত অংশকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে সমস্যা দেখা গিয়েছিল সেই সমস্ত অঞ্চলে এই সমঝোতা কীভাবে প্রভাব ফেলবে তা স্পষ্ট নয়।

তবে দেপসাংয়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, অন্যান্য এলাকাতেও টহলদারি হবে।

অধ্যাপক চিন্তামণি মহাপাত্রের মতে সাম্প্রতিক এই চুক্তিতে অনেক বিষয়েই ঐকমত্যে পৌঁছেছে দুই দেশ।

তিনি বলেন, “এটা ভারত, চীন তথা প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য খুবই ইতিবাচক খবর।”

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের শেষবার কথা হয়েছিল ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত ব্রিকস বৈঠকের সময়।

সেই সময় বলা হয়েছিল, দুই দেশই পারস্পরিক সম্পর্কে উন্নতি চায়।

ভারত এবং চীনের মধ্যে ৩ হাজার ৪৮৮ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে এবং দুই দেশের স্বার্থেই সেখানে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করা (ডিসেনগেজমেন্ট) ও উত্তেজনা হ্রাসের প্রয়োজন।

এর আগে ২০২২ সালে জি-২০ দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদী এবং শি জিনপিং উপস্থিত হলেও তাদের মধ্যে কোনো দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়নি।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিশ্ব ভূ-রাজনীতিতে একাধিক পরিবর্তন এসেছে।

যদিও তাতে চীন ও পশ্চিমা দেশগুলোর সম্পর্ক ততটা মসৃণ হয়নি।

শিব নাদার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও চীন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জুবিন টি জেকব বিবিসি হিন্দিকে বলেছেন, “ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য এই উদ্যোগের পেছনে চীনের পরিস্থিতিও কিছুটা দায়ী। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক খুব খারাপ পর্যায়ে রয়েছে এবং আগামী মাসে আমেরিকায় নির্বাচন হতে চলেছে।”

“চীন এটা ধরেই নিয়েছে যে, আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট যিনিই নির্বাচিত হন না কেন, তাদের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনও পরিবর্তন আসবে না। ইউক্রেন যুদ্ধের সময় রাশিয়ার সঙ্গে সীমাহীন সহযোগিতার চুক্তিকে কেন্দ্র করেও চীন ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে সংঘাত বেড়েছে।”

এই প্রসঙ্গে আরও কিছু উল্লেখযোগ্য বিষয় তুলে ধরেছেন তিনি।

অধ্যাপক জেকবের মতে “চীন আন্তর্জাতিক স্তরে কিছু সমস্যার সঙ্গে লড়ছে একইসঙ্গে দেশের অভ্যন্তরের সমস্যার সঙ্গেও যুঝছে। কারণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধীর হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চীনের পররাষ্ট্রনীতিতে জরুরি ভিত্তিতে কিছু পরিবর্তন করা দরকার এবং কিছুটা নমনীয়তা দেখানও প্রয়োজন।”

“এমনটা নয় যে এই ঘোষণা হঠাৎ হয়েছে। এর আগেও কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের সময়কে এই সমঝোতার ঘোষণার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।”

একইসঙ্গে এই চুক্তি নিয়ে কিছু আশঙ্কার কথাও বলেছেন তিনি। তার কথায়, “চীন এই সমঝোতা বজায় রাখবে কি না সেটাও দেখার বিষয়। কারণ অতীতে এ জাতীয় অনেক চুক্তি হয়েছে এবং চীন তা ভেঙে দিয়েছে।”

বাণিজ্যে প্রভাব
পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে ২০২০ সালে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়েছিল এবং চীনা সেনাবাহিনীরও অনেকে নিহত হয়েছিলেন।

তবে এতে দুই দেশের বাণিজ্যে কিন্তু কোনও প্রভাব পড়েনি। ২০২৩ সালে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার ৬০০ কোটি ডলার, যা ২০২২ সালে ছিল ১৩ হাজার ৫৯৮ কোটি ডলার।

অধ্যাপক জেকবের মতে, “দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি হলে তার প্রভাব ব্যবসাতেও দেখা যাবে। চীনা বিনিয়োগে ভারত কিছুটা নমনীয়তা দেখাতে পারে। এই মুহূর্তে চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোতে ব্যাপক বিরোধিতা চলছে।”

ভারতের লাভের বিষয়েও ব্যাখ্যা করেছেন। তার কথায়, “ভারত যেমন আশা করেছিল তেমন বিনিয়োগ পশ্চিম থেকে আসছে না। বরং বিনিয়োগ আসছে চীন থেকে। যেমন, বৈদ্যুতিক যানবাহন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বা বিরল পৃথিবীর উপকরণ। ভারতের অত্যাবশ্যকীয় আমদানি আসবে চীন থেকে, পশ্চিম থেকে নয়।”

অধ্যাপক জেকব মনে করেন এর অর্থ এমনটা নয় যে, পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের কোনও পরিবর্তন হয়েছে। তার মতে, ভারত তার ‘স্বার্থ অনুযায়ী নীতি প্রণয়ন করছে’।

সমঝোতায় কী বলা হয়েছে?
ভারতের সাম্প্রতিক ঘোষণায় এই নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো না হলেও ‘দ্য প্রিন্ট’ ভারত এবং চীনের মধ্যে সমঝোতার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছে।

‘দ্য প্রিন্ট’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলে হয়েছে-“প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে যে শীতকালে এলএসি-তে এমনিতেও টহল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই সময়ে মোতায়েন সেনার সংখ্যাও কমানো হবে, যেমনটা গত চার বছর ধরে হয়ে আসছে।”

“সমঝোতা অনুযায়ী ২০২০ সালের আগে যেসব এলাকায় টহল দেওয়া হতো, সেই সমস্ত অঞ্চলে আবার টহল দেওয়া শুরু হবে। এর মধ্যে দেপসাং রয়েছে এবং এছাড়াও পেট্রলিং পয়েন্ট ১০ থেকে পেট্রলিং পয়েন্ট ১৩ পর্যন্ত অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সংঘর্ষ এড়াতে মাসে দু’বার টহল দেওয়া হবে এবং সেনা সংখ্যা ১৫ জনে বেঁধে দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।“

‘দ্য প্রিন্ট’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে-“টহল শুরুর আগে দুই পক্ষই পরস্পরকে জানানোর বিষয়ে রাজি হয়েছে। পারস্পরিক আস্থা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং প্রতি মাসে একবার কমান্ডিং অফিসার পর্যায়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।”

“দেপসাং নিয়ে মূল সমস্যার সমাধান হয়েছে। চীনা সেনারা আগের অবস্থানে ফিরে যাবে এবং ‘ওয়াই’ জংশনে ভারতীয় সেনাদের টহল দেওয়া থেকে আটকাবে না।”

“প্যাংগং সো, গালওয়ান, হট স্প্রিংস এবং গোগরা নদীর উত্তর তীরে যেখানে সেনাবাহিনী সরানোর কাজ শেষ হয়েছে, সেখানে ফের টহল দেওয়া শুরু করবে দু’পক্ষই।”

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে সোমবার ভারত-চীন সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমন বিষয়ক এই চুক্তির ঘোষণা করা হয়েছে।

২২-২৩ অক্টোবর রাশিয়ার কাজানে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংও সেখানে উপস্থিত থাকবেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তার সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

এই প্রসঙ্গে অধ্যাপক মহামাত্র বলছেন, “সমঝোতার বিষয়ে ঘোষণার পর দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হওয়ার বিষয়টা স্বাভাবিক বলেই মনে হচ্ছে। ব্রিকসের কারণেই এই চুক্তি ঘোষণা করা হয়েছে তেমনটা বলা যাবে না, কিন্তু এটা একটা কাকতালীয় ঘটনা।”

তিনি বলেন, “ব্রিকস এমন এক সংগঠন যা আরও বিস্তৃত হচ্ছে। এর দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হলো ভারত ও চীন এবং তাদের মধ্যে উত্তেজনা হ্রাস কিন্তু ব্রিকসের জন্য সুসংবাদ। ব্রিকসের বৃদ্ধিতেও এটা সহায়ক।”

“ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে ব্রিকসের প্রধান সদস্যদের মধ্যে ভাল বোঝাপড়া প্রয়োজন।”

 

সূত্র: বিবিসি বাংলা

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক