মঙ্গলবার , ২২ অক্টোবর ২০২৪ | ৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

রাজশাহীতে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে যুবককে ফ্যানে ঝুলিয়ে নির্যাতন

Paris
অক্টোবর ২২, ২০২৪ ১:৪৬ অপরাহ্ণ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীতে একটি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে তোফাইরুল ইসলাম রাহাত (২৫) নামের এক যুবককে এক সপ্তাহ ধরে নির্যাতন করা হয়েছে। চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে অচেতন করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে লোহার পাইপ দিয়ে তাঁকে বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। এতে রাহাতের ডান পা ভেঙে গেছে এবং দুই হাত, গোপনাঙ্গসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে।

জেলার পবা উপজেলার নওহাটা এলাকার সূর্যোদয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীর স্বজনদের অভিযোগ, আহত রাহাতকে উদ্ধার করতে গেলে তাঁর স্ত্রী, বোন এবং নিকটাত্মীয়দের আটকে রাখেন নিরাময় কেন্দ্রের মালিক এবং তাঁর কর্মচারীরা। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা করানো হয়। বর্তমানে তিনি বাড়িতে আছেন।

এ ঘটনায় রাহাতের স্ত্রী ফারাজানা আক্তার লাবণ্য গত শনিবার রাতে পবা থানায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন ওই নিরাময় কেন্দ্রের মালিক ফেরদৌস হাসান, ব্যবস্থাপক শুভ কুমার রনি ও ইমতিয়াজ আহমেদ ডালিম। তাঁদের মধ্যে পুলিশ রনি ও ডালিমকে গ্রেপ্তার করেছে। নিরাময় কেন্দ্র থেকে উদ্ধার করা হয়েছে নির্যাতনে ব্যবহৃত লোহার পাইপ এবং চেতনানাশক ইনজেকশনের সিরিঞ্জসহ অন্যান্য আলামত।

ফেরদৌস হাসান বলেন, ‘রাহাতের বোন আইনজীবী শিরিন সুলতানা মেঘলা আমাকে ব্ল্যাকমেল (প্রতারণা) করার চেষ্টা করছেন। তাঁর ভাই রাহাত নিরাময় কেন্দ্রে অন্য মাদকাসক্ত রোগীদের নিয়ে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছিলেন। তাই তাঁকে সামান্য মারধর করা হয়েছে।’

রাহাতের বোন আইনজীবী শিরিন সুলতানা মেঘলা বলেন, ‘আমরা রাজশাহী মহানগরীর ষষ্ঠীতলা এলাকায় বসবাস করি। আমাদের একটি প্লট রয়েছে। প্লটটিতে ডেভেলপার দিয়ে বহুতল ভবন করার কথাবার্তা চলছে। আমরা তিন ভাইবোন, বাবা নেই। আমার ভাই রাহাতও এ প্লটের অংশীদার। বহুতল ভবন নির্মাণ করা হলে রাহাত টাকা পাবে। বিষয়টি জানার পর থেকে নিরাময় কেন্দ্রের মালিক ফেরদৌস নানা অজুহাতে রাহাতকে টাকার জন্য চাপ দেওয়া শুরু করেন। রাহাত রাজি না হওয়ায় তাঁকে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। এমনকি আমাদেরও আটকে রেখে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘দুই আসামিকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মালিক ফেরদৌসকে গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।’

 

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর