মঙ্গলবার , ২২ অক্টোবর ২০২৪ | ৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

নতুন নেতার নাম গোপন রাখবে হামাস?

Paris
অক্টোবর ২২, ২০২৪ ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ
নতুন নেতার নাম গোপন রাখবে হামাস?

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস তাদের নতুন নেতার নাম গোপন রাখবে। হামাসের দুই কর্মকর্তা বিবিসিকে এই তথ্য জানিয়েছেন। ইসরায়েলের হামলায় হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর নিরাপত্তার স্বার্থে নতুন নেতার নাম-পরিচয় জানানো হবে না।

হামাসের ওই দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গোষ্ঠীর নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের উত্তরসূরি বেছে নেওয়ার জন্য আলোচনা শুরু হবে।

এর আগে, ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে সিনওয়ারের মৃত্যু হয় এবং গত বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, সিনওয়ারের ডেপুটি এবং গাজার বাইরে গ্রুপের সবচেয়ে সিনিয়র কর্মকর্তা খলিল আল-হাইয়া একজন শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত আছেন। আল-হাইয়া কাতারে অবস্থান করছেন। বর্তমানে তিনি হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় হামাস প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

 

সোমবার হামাসের একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, নিরাপত্তার কারণে হামাস তাদের নতুন নেতার পরিচয় গোপন রাখতে পারে। ২০০৩ সালে হামাস প্রধান শেখ আহমেদ ইয়াসিনকে ইসরায়েল এবং তার উত্তরসূরি ড. আবদেল আজিজ আল-রান্টিসি হত্যার পর হামাস একই কাজ করেছিল।

হামাস আগামী বছরের মার্চে নতুন নেতা নির্বাচন করবে, তবে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি দ্বারা সকল কার্যক্রম পরিচালিত করবে। খলিল আল-হাইয়া, খালেদ মেশাল, জাহের জাবারিন, শুরা কাউন্সিলের প্রধান মুহাম্মাদ দারবিশ এবং পঞ্চম এক ব্যক্তিকে নিয়ে কমিটি গঠিত হবে।

পঞ্চম ব্যক্তির পরিচয় অপ্রকাশিত রয়েছে।

কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, খলিল আল-হাইয়া গাজা-সম্পর্কিত বিষয়ে তার সরাসরি তত্ত্বাবধান ছাড়াও বেশিরভাগ রাজনৈতিক এবং বৈদেশিক বিষয়ের জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এ ছাড়া কার্যকরভাবে তিনি হামাসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান।

কর্মকর্তারা আরো বলেছেন, গত সপ্তাহে ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল তাতে হামাস বিস্মিত হয়েছিল। কারণ তাকে যখন হত্যা করা হয় তখন তিনি অনেক বেশি নিরাপদ অবস্থানে ছিলেন।

 

তেহরানে সাবেক নেতা ইসমাইল হানিয়াহকে হত্যার মাত্র দুই মাস পর সিনওয়ারের মৃত্যু হলো। ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে গত বছর ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে ঢুকে হামাস যোদ্ধাদের নজিরবিহীন হামলার ঘটনার হোতা বলে মনে করা হত।

হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, সিনওয়ারকে হত্যা করা সত্ত্বেও যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির জন্য আন্দোলনের শর্ত পরিবর্তন হয়নি। হামাস গাজা থেকে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, শত্রুতার অবসান, মানবিক সাহায্য হস্তান্তর এবং যুদ্ধ-বিধ্বস্ত অঞ্চলের পুনর্গঠনের দাবি অব্যাহত রেখেছে। যে শর্তগুলো ইসরায়েল স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং জোর দিয়ে হামাসকে আত্মসমর্পণ করার কথা জানিয়েছে।

সূত্র: কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক