সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেত ও পুলিশ জানিয়েছে, ইরানের গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষে তথ্য সংগ্রহের জন্য কাজ করা একটি গুপ্তচর চক্রকে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২১ অক্টোবর) এই ঘোষণা দেওয়া হয়। তেহরানের পক্ষ থেকে ইসরায়েলিদের গুপ্তচরবৃত্তির জন্য নিয়োগের প্রচেষ্টা ঠেকানোর অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
শিন বেত ও পুলিশের যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে, ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চল, বিশেষ করে বন্দরনগরী হাইফা থেকে সাত জন ইসরায়েলিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তে জানা গেছে, তারা ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটি, জ্বালানি অবকাঠামো এবং বন্দর সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করছিল।
ইসরায়েলি পুলিশ এই নিরাপত্তা লঙ্ঘনকে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুতর বলে বর্ণনা করেছে।
শিন বেতের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, গুপ্তচর চক্রের সদস্যদের কার্যকলাপ রাষ্ট্রের নিরাপত্তার ক্ষতি করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি।
গোপন চুক্তির অংশ হিসেবে ইরানের গোয়েন্দা সংস্থার দুই এজেন্ট এই সন্দেহভাজনদের ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটির ওপর কয়েকশ’ তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে জানানো হয়েছে। লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে ছিল উত্তরের হাদেরা শহরের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিমান ও নৌবাহিনী সম্পর্কিত সামরিক ঘাঁটি, ইসরায়েলের আয়রন ডোম বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও বন্দরগুলো।
গুপ্তচর চক্রটি কয়েক লাখ ডলারের বিনিময়ে কাজ করছিল। এই অর্থের একটি অংশ ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে লেনদেন করা হয়েছিল।
পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজনরা অর্থের লোভে এই কাজে লিপ্ত হয়ে ইসরায়েল ও দেশটির নাগরিকদের ক্ষতি করেছে।
ইসরায়েলের প্রসিকিউটর অফিস আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা ইরানের হয়ে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার সন্দেহে একজন ইসরায়েলি নাগরিককে গ্রেফতার করেছিল।
ইরানের ইসরায়েলের শক্তিশালী গোয়েন্দা কার্যক্রমের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। জুলাই মাসে তেহরানের রাষ্ট্রীয় অতিথিশালায় ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়াহর হত্যা করা হয়েছিল। এটি ইসরায়েলি গুপ্তচরদের কাজ বলে ধারণা করা হয়। যদিও এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেনি ইসরায়েল।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন