শনিবার , ১২ অক্টোবর ২০২৪ | ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

যে কারণে আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি বহাল রাখতে পারে বাংলাদেশ

Paris
অক্টোবর ১২, ২০২৪ ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

ভারতের আদানি পাওয়ারের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি বহাল রাখতে পারে বাংলাদেশ। চড়া মূল্যে ক্রয় করা হলেও আইনি জটিলতা ও বিদ্যুৎ সরবরাহের উদ্বেগ থেকেই চুক্তিটি বহাল থাকার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

শুক্রবার সংবাদসংস্থা রয়টার্স প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, আদানি প্রকল্পটি বাংলাদেশের বিদ্যুতের চাহিদার প্রায় এক-দশমাংশ পূরণ করে।
অন্যদিকে চুক্তিতে কোনও ধরনের জালিয়াতি হয়েছে কি না সেই সম্পর্কে শক্তিশালী প্রমাণ ছাড়া আন্তর্জাতিক আদালতে আইনি চ্যালেঞ্জ ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই চাইলেই সরাসরি চুক্তিটি বাতিল করা সহজ হবে না। বরং একমাত্র সম্ভাব্য বিষয় হচ্ছে, পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে মূল্য কমিয়ে আনা।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সর্বশেষ অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী আদানি বাংলাদেশে দেওয়া প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য প্রায় ১২ টাকা করে নেয়, যা ভারতের অন্যান্য বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিলের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেশি এবং ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর বিলের ৬৩ শতাংশ বেশি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের নতুন সরকার আগের চুক্তিগুলো বিশেষ করে বিশেষ আইনের অধীনে যেসব চুক্তি হয়েছে তার স্বচ্ছতা ও ত্রুটিগুলো শনাক্ত করতে এবং এতে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা হয়েছে কি না তা যাচাই করতে একটি প্যানেল তৈরি করেছে। সেখানে আদানির সঙ্গে ২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত ২৫ বছরের জন্য বিদ্যুৎ কেনার চুক্তিটিও পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, “কমিটি বর্তমানে বিষয়টি পর্যালোচনা করছে, তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করা সময়োচিত হবে না।”

একই বিষয়ে আদানি পাওয়ারের একজন মুখপাত্র বলেন, “চুক্তি পর্যালোচনার বিষয়ে আদানির কাছে কোনও তথ্য নেই। তবে বাংলাদেশের বকেয়া বেড়ে যাওয়া এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের কার্যক্রমকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। এর মধ্যেও বিদ্যুৎ সরবরাহ চালিয়ে যাচ্ছি। পাওনা আদায়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে সংলাপ অব্যাহত রয়েছে।”

 

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

সর্বশেষ - অর্থ ও বাণিজ্য