সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) দীর্ঘদিন ধরে সংঘর্ষ চলছে। আরএসএফের বিদ্রোহী নেতা মোহাম্মদ হামদান দাগালো (হেমেদতি নামেও পরিচিত) মিশরের বিরুদ্ধে তার বাহিনীর ওপর বিমান হামলার অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মিশর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোমা ব্যবহার করে তার বাহিনীর ওপর হামলা চালাচ্ছে।
বুধবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, আমেরিকানদের সম্মতি না থাকলে এই বোমাগুলো সুদানে আসতো না।
হেমেদতি আরও দাবি করেছেন, মিশর সুদানের সেনাবাহিনী (এসএএফ)-কে ড্রোন এবং প্রশিক্ষণ সরবরাহ করেছে। মিশর ছয়টি দেশের মধ্যে একটি যারা সুদানের সংঘাতে হস্তক্ষেপ করছে। এর মধ্যে ইরানও রয়েছে।
সুদানের সেনাবাহিনী সাম্প্রতিক সময়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সেনাপ্রধান আব্দেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং দাগালোর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা উত্তেজনা থেকে শুরু হওয়া এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত ১ কোটিরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এর মধ্যে ৮১ লাখ মানুষ সুদানের ভেতরে এবং প্রায় ২ লাখ মানুষ দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
হেমেদতির অভিযোগের পর মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছে। মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, মিশর এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরএসএফ নেতার বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে।
মিশর এই সংঘাতের মধ্যস্থতা প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরবের সঙ্গে কাজ করছে এবং এ বছরের শুরুতে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আলোচনার আয়োজন করে।
সম্প্রতি সুদানের সেনাবাহিনী খার্তুম এবং দক্ষিণ-পূর্ব সেন্নার রাজ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। হেমেদতি দাবি করেন, মিশরের কথিত বিমান হামলার ফলে তার বাহিনী কৌশলগত জেবেল মোইয়া অঞ্চল থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। এছাড়াও তিনি দাবি করেছেন, সুদানে তাইগেরীয়, ইরেত্রিয়ান, আজারবাইজানী এবং ইউক্রেনীয় ভাড়াটে সৈন্যদের উপস্থিতি রয়েছে।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন