মঙ্গলবার , ৮ অক্টোবর ২০২৪ | ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ধর্ম আর রাষ্ট্র একাকার হতে পারে না : রুমিন ফারহানা

Paris
অক্টোবর ৮, ২০২৪ ১০:৩৯ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

নতুন প্রজন্মকে ধর্মকে ধর্মের জায়গায়, রাষ্ট্রকে রাষ্ট্রের জায়গায় রাখার অনুরোধ জানিয়ে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেন, ‘রাষ্ট্রের সঙ্গে ধর্ম, ধর্মের সঙ্গে রাষ্ট্র একাকার হতে পারে না। তাহলে ধর্মও রক্ষা হয় না, রাষ্ট্রও চলে না। রাষ্ট্র ধর্মকে তার নিজের প্রয়োজনে তার সব অপকর্মের সাফাই হিসেবে ব্যবহার করে।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সংবিধান : ক্ষমতার না জনতার’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘যখন যে সরকার ছিল সে তার দলের স্বার্থে, দলকে ক্ষমতার রাখার স্বার্থে, ক্ষমতাকে দীর্ঘায়ু করতে সংবিধান সংশোধন করেছে। চতুর্থ সংশোধনী রাষ্ট্রের পুরো কাঠামো ভেঙে দিয়েছে। এই সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার এসেছে। বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতা পুরোপুরি নির্বাহী বিভাগের হাতে দিয়ে সেপারেশন অব পাওয়ারকে মুছে ফেলা হয়েছে।

বিচার বিভাগ যদি স্বাধীন না হয় তখন সেই রাষ্ট্রটা আর রাষ্ট্র থাকে না।
রুমিন ফারহানা বলেন, ২২ অনুচ্ছেদে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা বলছি আবার একই সঙ্গে ১১৬ অনুচ্ছেদ রাখছি যেটা দিয়ে নিম্ন আদালতের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় রাষ্ট্রপতির কাছে। এখন প্রশ্ন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা কতটুকু। ৪৮-এর (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিকে সব কিছু করতে হবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শক্রমে।

বাংলাদেশে কারা রাষ্ট্রপতি হন? তাদের কি এতটুকু ক্ষমতা আছে প্রধানমন্ত্রীর বাহিরে গিয়ে একটা হাঁচি দেওয়ার। এ জন্য আগে আওয়াজ তোলেন বাংলাদেশে আর কোনো দলীয় রাষ্ট্রপতি চান কি না।’

তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ৮(ক)-তে বলা হচ্ছে সমাজতন্ত্রের কথা। সমাজতন্ত্র তো দূরে থাক, আমরা কি ন্যূনতম একটা কল্যাণরাষ্ট্র তৈরি করতে পেরেছি। যদি আমাদের রাষ্ট্র কল্যাণরাষ্ট্র হতো তাহলে তো স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক সুরক্ষা এসব খাতে আমরা জিডিপির ২০ শতাংশ বরাদ্দ দিতাম, কিন্তু না আমরা দিচ্ছি কত? প্রতিবছর বাজেট আলোচনায় আমরা দেখি জিডিপির মাত্র ১ বা ২ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।

যেখানে আমরা একটা কল্যাণরাষ্ট্র তৈরি করতে পারিনি সেখানে কি করে আমরা সমাজতন্ত্রের কথা বলি। সুতরাং এই গঠনতন্ত্র আপনারা রাখবেন কি না, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সংবিধানের ষষ্ঠ অনুচ্ছেদে বলা হচ্ছে আমরা জাতি হিসেবে বাঙালি, বাংলাদেশে কি চাকমা, মারমাসহ নানা জাতি নেই, তাদের আলাদা ভাষা, সংস্কৃতি নেই? আছে কিন্তু আমাদের এই সংবিধানটি সেটাকে ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ১৯৭১ সালে যে সুযোগটা তৈরি করেছিলাম তা ১৯৭৩ সালে এসেই শেষ করে ফেলেছি। জাতীয় নির্বাচনে কারচুপি করে। আমরা ১৯৯০ সালেও একটা সুযোগ তৈরি করেছিলাম তা-ও ধরে রাখতে পারিনি, আমরা ২০২৪ সালে এসে আরেকটা সুযোগ পেয়েছি, এই সুযোগটা আমরা কাজে লাগাব না বেহাত করব তা নির্ভর করছে এই প্রজন্মের ওপর।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইজার মুহাম্মদ শাওলীনের সঞ্চালনায় আরো আলোচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শরমীন্দ নিলোর্মী এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম।

 

সূত্র: কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - রাজনীতি