মঙ্গলবার , ৮ অক্টোবর ২০২৪ | ২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়নে ব্যয় বাড়ছে ৩৫ কোটি টাকা

Paris
অক্টোবর ৮, ২০২৪ ১২:৫৮ অপরাহ্ণ

 

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে আরও বেশি উৎপাদনশীল করে তুলতে আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছিল পাঁচ বছর মেয়াদে। প্রকল্পটির মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে চলে এলেও শেষ হয়নি কাজ। এ কারণে আরও এক বছর প্রকল্পটির মেয়াদে বাড়ানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে। পাশাপাশি প্রকল্পে কিছু সংযোজন থাকায় এর ব্যয়ও বাড়ছে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানিয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পটির দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে কমিশনে। সে অনুযায়ী রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়নে ব্যয় বাড়ছে ৩৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। সেই সঙ্গে মেয়াদ বাড়ছে এক বছর। প্রকল্পটির ছয় বছরে ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় ১২৯ কোটি ৫১ লাখ ৭১ হাজার টাকা, বাস্তব অগ্রগতি ৭৮ শতাংশ।

সংশোধনী প্রস্তাবটি নিয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) জাহাঙ্গীর আলম।

সূত্র জানায়, প্রকল্পটির মূল অনুমোদিত ব্যয় ছিল ১৪৭ কোটি টাকা। প্রথম সংশোধনীতে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬৮ কোটি ২০ লাখ টাকায়। দ্বিতীয় সংশোধনীতে আরও ৩৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়াবে ২০৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকায়।

কৃষি মন্ত্রণালয়েরর পরিকল্পনা অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুল হক পাটওয়ারী বলেন, প্রকল্পে কিছু কাজের স্কোপ বাড়ছে। এ কারণে ব্যয়ও বাড়ছে। আশা করছি, এবার এক বছর মেয়াদ বাড়ালে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

প্রকল্পের মূল মেয়াদ ছিল পাঁচ বছর। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় তা সাত বছরে গড়াচ্ছে। উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রকল্পটি ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু কাজ শেষ না হওয়ায় প্রথম দফায় এক বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। দ্বিতীয় দফায় এক বছর বাড়িয়ে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের জন্য প্রস্তাব করা হয় পরিকল্পনা কমিশনে।

পরিকল্পনা কমিশনের বিশ্লেষণ

প্রস্তাবিত সংশোধিত প্রস্তাবে গার্ডেন টিলার ২০০টি, ব্যাটারি চালিত হ্যান্ড স্প্রেয়ার এক হাজার ৩৪০টি, কর্ন সেলার ২৬৮টি ও পাওয়ার স্পেয়ার ৩৩৫টি বৃদ্ধি কেনার কথা বলা হয়েছে। এসব যন্ত্রপাতি বাবদ অতিরিক্ত প্রায় চার কোটি ৭৫ লাখ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত আরডিপিপিতে নতুনভাবে ৫০টি পলিনেট হাউজ আধুনিকায়ন, ২১টি আধুনিক পলিনেট হাউজ নির্মাণ, দুটি ভার্টিকেল কৃষি স্ট্রাকচার নির্মাণ, ১০টি ফল বাগানে সৌরচালিত প্রিসিশন সেচ প্রযুক্তি নির্মাণ, ৭৫টি সোলার সেচ প্রযুক্তি নির্মাণ, ২৫টি সোলার সেচ প্রযুক্তি নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন প্রস্তাবিত এসব নির্মাণ ও স্থাপনা বাবদ মোট ১৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া পলিনেট হাউজ ও আধুনিক পলিনেট হাউজ নির্মাণ অঙ্গ দুটি পৃথকভাবে প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রকল্পের আওতায় কৃষি যন্ত্রপাতি খাতে নতুনভাবে ৫০টি সয়েল এনপিকে মেজারিং মিটারিং কেনা এবং পাঁচটি ফল ও সবজি চিপস তৈরির মেশিন কেনা বাবদ প্রায় এক কোটি ১৩ লাখ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এ সব যন্ত্রপাতি কেনার যৌক্তিকতা নিয়ে সভায় আলোচনা করা হয়েছে। এ ছাড়া কৃষি বিপণন অধিদফতর কৃষক পর্যায়ে পেয়াজ ও রসুন সংরক্ষণ পদ্ধতি আধুনিকায়ন এবং বিপণন কার্যক্রম উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৬ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৯০০টি পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণ ঘর নির্মাণের সংস্থান রয়েছে।

এদিকে সম্প্রতি ডিএই প্রস্তাবিত আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে ফরিদপুর অঞ্চলে কৃষি উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের পিইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৬০০টি পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার নির্মাণের প্রস্তাব রয়েছে।

প্রস্তাবিত আরডিপিপিতে প্রদর্শনী খাতের ৩০০টি বারি উদ্ভাবিত আঙ্গ ও মিশ্র ফসল চাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ খাতে ৩০ লাখ টাকা, ৩০০টি নিরাপদ উচ্চমূল্য ফসল উৎপাদন প্রযুক্তি সম্প্রসারণ খাতে ৪৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা, ২০০টি মাচা পদ্ধতিতে কালো তরমুজ চাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ খাতে ২৯ লাখ ৯৫ হাজার টাকা, ১০০টি ডোবা ও পুকুর পাড় বা নদীর চরে ফসল চাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ খাতে ১৫ লাখ টাকা, ২০০টি ভার্মি কম্পোষ্ট তৈরি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ খাতে ৫০ লাখ টাকা, ৩০০টি বারি উদ্ভাবিত মালচিং প্রয়োগের মাধ্যমে ফসল চাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ খাতে ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে।

এ ছাড়া ১৩৪টি ব্রি উদ্ভাবিত পিভিসি পাইপ ও চেকভাল্ব দ্বারা পানি সেচ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ খাতে ৪৬ লাখ ১০ হাজার টাকা, ১০০টি গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ খাতে ২০ লাখ টাকা, ১০০টি গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ খাতে ২০ লাখ টাকা ও আটটি ব্লক আকারে উফশী ধান চাষ খাতে ৬০ লাখ টাকাসহ এক হাজার ৯৪২টি প্রদর্শনী খাতে মোট তিন কোটি ৭৭ লাখ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে সভায় আলোচনাও করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত আরডিপিপিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের রাজশাহী ও বগুড়া আঞ্চলিক অফিস ভবন বাবদ অনুমোদিত ব্যয় চার কোটি ৭২ লাখ টাকা বাড়িয়ে ১৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া মূল অনুমোদিত ডিপিপিতে ৬৮টি মোটরসাইকেল কেনার সংস্থান রাখা হয়েছে।রয়েছে। প্রকল্পের চার বছর অতিক্রম হওয়ার পরও ৪৭টি মোটরসাইকেল না কেনার কারণ নিয়েও সভায় আলোচনা করা হয়েছে।

সূত্র: সারাবাংলা ডটনেট

সর্বশেষ - কৃষি