বৃহস্পতিবার , ৩ অক্টোবর ২০২৪ | ২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ট্রাম্প-কমলার মধ্যে লড়াই হবে ‘হাড্ডাহাড্ডি’

Paris
অক্টোবর ৩, ২০২৪ ৯:৪৫ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

কে হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট? ২৪৮ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো নারী (কমলা হ্যারিস) বসতে যাচ্ছেন ক্ষমতার মসনদে, নাকি আবারও বিতর্কিত ডোনাল্ড ট্রাম্পই হতে যাচ্ছেন হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা? নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ৩১ দিন। জরিপের পারদ যেমন প্রতিনিয়ত ওঠানামা করছে, তেমনই দোদুল্যমান প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের ভোটাররাও। এক জরিপে কমলা হ্যারিস এগিয়ে থাকে, তো পরের জরিপে একটু বেশি ব্যবধানে এগিয়ে ট্রাম্প। তবে সাধারণ ভোটাররা বলছেন, দুই প্রার্থীর মধ্যে এবার ‘হাড্ডাহাড্ডি’ লড়াই হবে।

নির্বাচনকে ঘিরে অন্যান্য কমিউনিটির মতো বাংলাদেশি-আমেরিকানরাও দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। দুই দলের নির্বাচনী শিবিরে বাংলাদেশিদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। নির্বাচনী প্রচারাভিযানেও অংশ নিচ্ছেন তারা।

বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে মুসলিম ও অভিবাসী ভোটাররা বরাবরই ট্রাম্পের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

আর সেই সুযোগ কাজে লাগাতে চান কমলা হ্যারিস। মুসলিম ভোটার টানতে বুধবার কমলার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ফিল গর্ডান আমেরিকান মুসলিম ও আরব নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন। বৈঠকে উঠে আসা মুসলিম নেতাদের দাবিগুলো নিয়ে কমলা হ্যারিসের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ওই উপদেষ্টা। ২০২০ সালে নির্বাচনে মুসলিম ভোটগুলোর অধিকাংশই পেয়েছিলেন ডেমোর্ক্যাট প্রার্থী বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

সেই ভোটগুলোই ধরে রাখতে চাইছেন কমলা। তবে গাজায় ইসরায়েলের হামলার ঘটনা সমর্থন করার পর থেকে বাইডেন প্রশাসনের ওপর বিশ্বাসের জায়গায় চিড় ধরেছে মুসলিম নেতাদের। আর এই ঘটনা কমলার জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে।

নির্বাচনের আগে বিতর্ক অনুষ্ঠান আর জরিপের ওপর সব সময় আস্থা রাখে মার্কিনরা। বেশির ভাগ সময় দুই প্রার্থীর বিতর্ক অনুষ্ঠানই হয়ে ওঠে নির্বাচনের টার্নিং পয়েন্ট।

বিতর্কে হেরে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে সরে যেতে হয়েছে নির্বাচনী লড়াই থেকে। এর পর থেকে বদলে যায় মার্কিন নির্বাচনের পটভূমি। কারণ ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায় ‘নারী প্রার্থী’। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে কোনো নারী প্রার্থী কখনো জয়লাভ করতে পারেননি। মার্কিন রাজনীতির অত্যন্ত প্রভাবশালী রাজনীতিবীদ হিসেবে পরিচিত হিলারি ক্লিনটনকেও হারতে হয়েছিল হঠাৎ উড়ে এসে জুড়ে বসা আনকোরা প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে।
গত ২৭ জুন বর্বতমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রিপাবলিকান দলের মনোনীত প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে প্রথম বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বিতর্কে ট্রাম্প জয়ী হন। সেদিন শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ বাইডেন বেশির ভাগ বিষয়ে পেরে ওঠেননি আক্রমণাত্মক ট্রাম্পের সঙ্গে। বিতর্কে পরাজয় জো বাইডেনের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যায়। নিজের দল ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকেই তাকে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। অবশেষে ২১ জুলাই ৮১ বছর বয়স্ক প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে তার রানিং মেট ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানান।

২০১৬ সালে সাবেক ফার্স্ট লেডি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন পপুলার ভোট বেশি পেয়েও ইলেকটোরাল ভোট কম পেয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হেরে যান। ট্রাম্প পেয়েছিলেন ৩০৪ ইলেকটোরাল ভোট, আর হিলারি পান ২২৭টি। অথচ হিলারি ক্লিনটন পপুলার ভোট বেশি পেয়েছিলেন ট্রাম্পের চেয়ে। ২০২০ সালে জো বাইডেন পপুলার ভোট ও ইলেকটোরাল ভোট—দুটিতেই ট্রাম্পের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিলেন। ৭৪টি ইলেকটোরাল ভোট বেশি পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন জো বাইডেন।

পাঁচটি দোদ্যুল্যমান অঙ্গরাজ্যে চোখ দুই প্রার্থীর
এদিকে সংখ্যালঘু আর দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যে ভোটারদের মন জয় করার জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন কমলা হ্যারিস। নির্বাচনী জরিপেও তার প্রভাব পড়েছে। সর্বশেষ এক জরিপে দেখা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত মিশিগান ও পেনসিলভানিয়ায় ট্রাম্পের চেয়ে ব্যবধান বাড়িয়েছেন কমলা হ্যারিস। তবে অ্যারিজোনা, জর্জিয়া ও নর্থ ক্যারোলাইনায় এখনো হতাশা কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি।

অন্যদিকে অ্যারিজোনা, মিশিগান ও উইসকনসিনে ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যবধান বাড়াতে না পারায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ডেমোর্ক্যাট শিবিরে। এ তিনটি অঙ্গরাজ্যে যথাক্রমে ১৯, ১৫ ও ১০টি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে। জর্জিয়া ও নর্থ ক্যারোলাইনায় ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্য ১৬টি করে। মূলত এই পাঁচটি অঙ্গরাজ্যই যেকোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর মূল চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

কমলা হ্যারিসকে হোয়াইট হাউসে যেতে হলে ‘ডেমোর্ক্যাট অঙ্গরাজ্য’ ছাড়াও পেনসিলভানিয়া, উইসকনসিন ও মিশিগানে জিততেই হবে। আর তা না হলে মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে পরিচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পই আবারও হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা হবেন। তবে কে জিতবেন এই নির্বাচনে সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ৫ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত।

 

সূত্র: কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক