শনিবার , ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

বগুড়ার শেরপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

Paris
সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪ ৪:১০ অপরাহ্ণ

বগুড়া প্রতিনিধি :
বগুড়ার শেরপুরে একজন ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ সহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রতিকার চেয়ে বৃহস্পতিবার(১৯ সেপ্টেম্বর) উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের ৮ জন সদস্য ।

এ অভিযোগের তদন্তের জন্য তিন সদস্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। কমিটির সদস্যরা হলেন, উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ, শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল হাসান ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম। কমিটিকে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত রির্পোট জমাদানের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

অভিযুক্ত শেরপুর উপজেলার ১০নং শাহ-বন্দেগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ। তিনি স্থানীয় বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামীর রাজনীতির সাথে যুক্ত। গত ২০২২ সালের ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি জয় লাভ করেন। এরপর থেকেই স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির অভিযোগ করে আসছিলেন ইউপি সদস্যরা। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের সচিব(ইকবাল হোসেন দুলাল) আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ট হওয়ার কারনে তারা প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতে পারেননি। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থতির ফলশ্রুতিতে ৮ জন ইউপি সদস্য এই লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাব রেজিস্ট্রি অফিসে ভূমি হস্তান্তর বাবদ ১ শতাংশ রাজস্ব পেয়ে থাকে ইউনিয়ন পরিষদ। এই খাতে ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৮ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩২ লক্ষ ৭৯ হাজার ৮০০ টাকা, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২৯ লক্ষ ৮ হাজার টাকা আয় করেছে ইউনিয়ন পরিষদ। এছাড়াও ওই ৩ অর্থবছরে বসতবাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স ও ব্যবসা-বাণিজ্য ট্যাক্সসহ প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা আয় হয়েছে। কিন্তু এসব টাকা জনকল্যাণে ব্যয় না করে চেয়ারম্যান ও সচিব আত্মসাৎ করেছে। উপরন্তু গত ১৩ মাস ধরে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের সম্মানী ভাতা দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

অন্যতম অভিযোগকারি শাহবন্দেগী ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, “আমি নিজেও একজন জামাতে ইসলামের রুকন সদস্য। চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের লোকজনের সাথে গাঁটছড়া বেধ লুটপাট করেছেন। আমরা ইউপি সদস্যরা প্রতিবাদ করলে এমনকি প্রাণনাশের হুমকী পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে।”

এ বিষয়ে শাহ-বন্দেগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন,“ইউনিয়ন পরিষদের সকল টাকা বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় করা হয়েছে। আর অভিযোগকারীরাও এসব প্রকল্পের দায়িত্বে ছিলেন। তবে তাদের ১৩ মাসের সন্মানী ভাতা বাকি আছে। আমি সেগুলো পরিশোধের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছি। কিন্তু ব্যক্তি আক্রশের কারণে তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।”

অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন জিহাদী বলেন,“সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করার জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর