শনিবার , ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

‘উপযুক্ত সময়ে’ জামিনের অপেক্ষায় সাবেক মন্ত্রী-এমপিরা

Paris
সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪ ১২:০৬ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের শীর্ষ অনেক নেতা ও দলীয় মন্ত্রী, সংসদ সদস্য (এমপি) গাঢাকা দিয়েছেন। অনেকে পালানোর চেষ্টা করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন। একাধিক হত্যা মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। তাঁদের আইনি সহযোগিতায় পাশে নেই আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী আইনজীবীরা।

তাঁরাও আদালতে আসছেন না। জানা গেছে, আইনজীবীরা অনুকূল সময়ের অপেক্ষায় রয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও ঢাকা আইনজীবী সমিতির ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে আইনজীবীদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন।

আওয়ামী লীগকে ব্যবহার করে তাঁরা ফায়দা লুটেছেন। অথচ দলের দুর্দিনে আইনি লড়াইয়ে দলটির প্রভাবশালী আইনজীবীরা আদালতে আসছেন না। তবে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের দাবি, তাঁরা সব কিছু পর্যবেক্ষণ করছেন। নিজেরা আদালতে গিয়ে শুনানিতে অংশ না নিলেও জুনিয়র আইনজীবীদের নানা পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।

শিগগিরই তাঁরা গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের আইনি সেবা দিতে উদ্যোগ নেবেন। এ জন্য তাঁরা আদালতে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিও জানিয়েছেন।

সরকার পতনের পর এ পর্যন্ত সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমান, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, সাবেক বাণিজমন্ত্রী টিপু মুনশি, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সোবহান গোলাপ, সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, সাবেক সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ সেলিম,

সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ, সাবেক সংসদ সদস্য শাহ আলম, সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম, সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সাবেক বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, শেখ হাসিনার সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, সাবেক কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প-বাণিজ্য বিষয়ক কমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, আওয়ামী লীগের শরিক দল বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন এবং জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

হাজি সেলিমের আইনজীবী প্রাণ গোপাল নাথ বলেন, ‘তাঁর জামিন নিয়ে এখন তাড়াহুড়া করছি না। পরিস্থিতি অনুযায়ী আস্তে-ধীরে এগোচ্ছি।

পাঁচটি মামলায় তাঁকে আসামি করা হলেও গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে না। হত্যা মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জামিন দেওয়ার এখতিয়ার নেই। এ জন্য আমরা নকল তুলে জামিনের বিষয়ে উচ্চ আদালতে যাব।’
আনিসুলের আইনজীবী গোলাম রাব্বানী শরীফ বলেন, ‘আপাতত জামিনের বিষয়ে আমাদের কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই। বর্তমানে তিনি রিমান্ডে রয়েছেন। আরো ১০ দিনের রিমান্ড পেন্ডিং রয়েছে। উনি নির্দেশনা দিলে আমরা জামিনের বিষয়ে পদক্ষেপ নেব।’

 

সূত্র: কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - আইন আদালত