সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
ভারতে ‘এক দেশ, এক ভোট’ (ওয়ান নেশন ওয়ান ভোট) ব্যবস্থাকে বাস্তবায়িত করার পথে একধাপ অগ্রসর হলো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার। সাবেক রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সুপারিশ মেনে নিয়ে বুধবার ‘এক দেশ, এক ভোট’ প্রস্তাব পাশ করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। একই সঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন করার উদ্দেশ্যে এই ব্যবস্থা।
বিরোধী রাজনৈতিক দলের তীব্র সমালোচনা সত্ত্বেও ‘এক দেশ, এক ভোট’ কার্যকর করার পক্ষে বহুদিন ধরেই কথা বলে আসছিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। তাদের যুক্তি, বিভিন্ন স্তরের ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ায় খরচ ও প্রশাসনিক জটিলতা কমিয়ে গোটা দেশে ভোট সম্পন্ন করতেই এই সিদ্ধান্ত। আবার বিরোধীদের অভিযোগ এই পদক্ষেপ ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামো বিরোধী।
এরই মাঝে বুধবার কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে জানান, বিভিন্ন মঞ্চে আলোচনার পরেই ‘এক দেশ, এক ভোট’ সংক্রান্ত কোবিন্দ কমিটির সুপারিশ অনুমোদনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
প্রস্তাবিত এই নির্বাচনি ব্যবস্থার বিপক্ষে সরব হয়েছে বিরোধীরা। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেন, “মনোযোগ সরানোর জন্য এটা বিজেপির একটা কৌশল।”
তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বুধবার মোদী মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেন, “এক দেশ, এক ভোট আসলে বিজেপির আরও একটা গণতন্ত্রবিরোধী গিমিক।”
এদিকে সব ঠিক থাকলে সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনেই পেশ হতে পারে ‘এক দেশ এক ভোট’ বিল। যদিও তার জন্য সংবিধানে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী করতে হবে। এর পাশাপাশি সংসদের দুই কক্ষে এই বিল পাশ করানোর পথ কতটা সহজ হবে সে নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
সমাজতত্ত্ববিদ এবং রাজনৈতিক ভাষ্যকার আশিস নন্দী এই প্রস্তাবের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “আমি মনে করি এতে সময় এবং উদ্যম নষ্ট করা ছাড়া আর কিছুই হবে না। সংবিধান সংশোধন করার ক্ষমতা বর্তমান সরকারের নেই।”
অন্যদিকে, ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিল পাশ নিয়ে সন্দিহান রাজনৈতিক বিশ্লেষক আরতি জেরতও।
তার কথায়, “এইবার কিন্তু একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় আসেনি বিজেপি সরকার। তাই লোকসভায় এই বিল পাশ করানো সহজ হবে না। আর যদি তা হয়েও যায় তাহলেও রাজ্যসভায় পাশ করা নিয়ে সংশয় আছে।”
প্রসঙ্গত, প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একের পর এক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার। তা সে নোট বন্দি, ‘৩৭০ ধারা বিলোপ’করার মতো সিদ্ধান্ত হোক বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ), ভারতীয় ন্যায় সংহিতা কার্যকর করা হোক।
তৃতীয় দফায় এনডিএ-র জোটসঙ্গীদের সাথে ক্ষমতায় এসেও সেই ধারায় ছেদ পড়ল না। অগাস্ট মাসে ওয়াকফ সংশোধনী বিল লোকসভায় পেশ করার সঙ্গে সঙ্গে বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল।
প্রস্তাবিত ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে বিরোধীদের অনড় অবস্থানের জেরে তা আলোচনার জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটিতে (জেপিসি) পাঠাতে বাধ্য হয় সরকারপক্ষ। এইবার সরকারের নজর ‘এক দেশ, এক ভোট’কে বাস্তবায়ন করার দিকে।
‘এক দেশ, এক ভোট’
মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত প্রস্তাব অনুযায়ী, দুই দফায় ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে। প্রথম দফায় লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন হবে। তার ১০০ দিনের মধ্যেই সম্পন্ন হবে পুরসভা ও পঞ্চায়েত ভোট। একটাই ভোটার তালিকা হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, ঐক্যমত্য গড়তে সচেষ্ট সরকার। সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিল প্রস্তুত করা হবে। আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই ব্যবস্থা কার্যকর করার জন্য ‘রূপায়ন কমিটি’ গঠন করা হবে।
মি. বৈষ্ণব বলেছেন, “এক দেশ, এক ভোটের জন্য গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সুপারিশ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা গ্রহণ করেছে। ১৯৫১ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর ১৯৯৯ সালে ল কমিশনও তাদের রিপোর্টে সুপারিশ করেছিল দেশে একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার, যাতে দেশের উন্নয়নের কাজ অব্যাহত থাকে।”
এই প্রস্তাবনার পিছনে যুক্তি হিসাবে তিনি বলেছেন, “নির্বাচনের কারণে খুব বেশি খরচ হয়, আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়- যা হওয়ার কথা নয়। আজকের যুব, সমাজ আজকের ভারত, যারা চান যে উন্নয়ন দ্রুত হোক, তারা যাতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার দ্বারা বাধাগ্রস্ত না হন সেই কারণে এই এক দেশ, এক ভোট।”
মার্চ মাসে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে গিয়ে একসঙ্গে লোকসভা এবং সমস্ত বিধানসভার নির্বাচন করানোর সুপারিশ করে আট খণ্ডে বিভক্ত ১৮ হাজার পাতার একটা রিপোর্ট জমা দিয়েছিল রমানাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটি। ৪৭টি রাজনৈতিক দল এই বিষয়ে কমিটির কাছে তাদের মতামত জানিয়েছে। ‘এক দেশ, এক ভোট’ প্রস্তাবের সমর্থন করেছে ৩২টি দল আর তার বিপক্ষে মত দিয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূলসহ ১৫টি দল।
২০২৯ সালে বাস্তবায়ন হবে?
সুপারিশ কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, লোকসভার অধিবেশনের প্রথম দিনকে ‘অ্যাপয়েন্টেড ডেট’ বলে ঘোষণা করতে হবে। ঠিক পাঁচ বছর পর ওই লোকসভার মেয়াদ পূর্ণ হলে লোকসভা এবং রাজ্যের সমস্ত বিধানসভায় নির্বাচন করাতে হবে।
সেই দিক থেকে দেখতে গেলে ২০২৪ সালে নতুন সরকারের ক্ষমতায় আসার পর লোকসভা অধিবেশনের প্রথম দিনকে যদি অ্যাপয়েন্টেড ডেট বলে ধরা হয় তাহলে ২০২৯ সালে ভারতে একযোগে ভোট হওয়ার কথা।
যদিও সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি মি. বৈষ্ণব। তিনি জানিয়েছেন, এই সরকারের আমলেই এই নীতির বাস্তবায়ন করতে সচেষ্ট তারা। বিল পাশ করার পর আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলে ‘অ্যাপয়েন্টেড ডেট’ ঘোষণা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। ‘এক দেশ, এক ভোট’ নীতি কার্যকর হলে তিন বছরের মাথায় রাজ্যে নির্বাচিত সরকারকে ভেঙে দিতে হবে অথবা বর্তমান বিধানসভার মেয়াদ ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাড়াতে হবে। শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয় একাধিক রাজ্যে একই ছবি দেখা যাবে। কোথাও বিধানসভার মেয়াদ বাড়াতে হবে বা কোথাও কমাতে হবে।
সরকারের কী যুক্তি?
কেন্দ্রের দাবি ভারতে বিভিন্ন স্তরের নির্বাচনি প্রক্রিয়ার জন্য যে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হয় তা কমানোই সরকারের উদ্দেশ্য। ‘এক দেশ, এক ভোট’ নীতি কার্যকর হলে নির্বাচনের খরচ কমবে। সময়েরও সাশ্রয় হবে কারণ প্রশাসনিক কাজ বারবার বিঘ্নিত হয় ভোট কেন্দ্র করে।
অভিন্ন ভোটার তালিকা তৈরি হওয়ায় সুবিধা হবে বলে মনে করছে তারা। পাশাপাশি ভোটের আদর্শ আচরণবিধির জন্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ বারে বারে বাধা পাবে না।
কেন্দ্র সরকারের দাবি, নীতি আয়োগ, আইন কমিশন, নির্বাচন কমিশনও নীতিগতভাবে ‘এক দেশ এক ভোটের’ পক্ষে।
সমস্যা কোথায়?
‘এক দেশ, এক ভোট’ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা হলো সংবিধান সংশোধন। এর পাশাপাশি বিধানসভা ও লোকসভার মেয়াদকে একই সময়ের মধ্যে বাঁধার কাজ সহজ নয়।
‘এক দেশ, এক ভোট’ কার্যকর হওয়ার পর কেন্দ্রে বা কোনও রাজ্যে পাঁচ বছরের আগেই নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আনলে, সেই সরকার পড়ে গেলে কী হবে, সেটাও ভাবনার বিষয়।
সংসদে ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতি হলে এবং অনাস্থা প্রস্তাবের ক্ষেত্রে, আলাদাভাবে নির্বাচনের আয়োজন করা যেতে পারে বলে সুপারিশ করেছে ‘এক দেশ, এক ভোট’-এর জন্য গঠিত কমিটি। কিন্তু সেক্ষেত্রে ওই প্রস্তাবের মূল উদ্দেশ্যই সফল হচ্ছে না।
অন্যদিকে, লোকসভা ভোটের আবহে নিজেদের দলের পক্ষে নির্বাচনি ফলাফলকে রাখতে বিজেপি এই প্রস্তাব দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিরোধী দলগুলো। দুটো ভোট একসঙ্গে হলে একই দলের প্রার্থীকেই বেছে নেওয়ার প্রবণতা দেখা যায় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞদের অনেকেই। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রে আর রাজ্যে একই দলের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
তা ছাড়া এজন্য বিপুল সংখ্যক ভোটকর্মী প্রয়োজন। লোকসভা ও বিধানসভা ভোট একসময় হলে এত সংখ্যক কর্মীকে নিযুক্ত করা এবং সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হতে দেওয়ার ক্ষেত্রে বাস্তব সমস্যা হতে পারে।
বিরোধীরা কী বলছে?
‘এক দেশ, এক ভোট’-এর বিরোধিতা করে সরব হয়েছে একাধিক রাজনৈতিক দল। কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেছেন, “এটা একেবারে অবাস্তব। গণতন্ত্রে ‘এক দেশ, এক ভোট’ চলতে পারে না। যদি গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হয়, তাহলে যখন প্রয়োজন তখন নির্বাচন করতে হবে।”
সিপিআই নেতা ডি রাজাও একই মত পোষণ করেন। তার কথায়, “অনেক বিশেষজ্ঞই উল্লেখ করেছেন যে বর্তমান সংবিধানের আওতায় এই প্রস্তাব কার্যকর করা সম্ভব নয়। সংসদের বৈঠক হলে আমাদের অবশ্যই এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হবে। তারপরেও যদি চাপিয়ে দেওয়া হয় তাহলে এর ফলাফল সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে।”
একই সঙ্গে আম আদমি পার্টিও ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, এটি সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী।
আম আদমি পার্টির নেতা সঞ্জয় সিং বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, “দুর্নীতির সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে বিজেপি। এখন এর মাধ্যমে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। যাতে পাঁচ বছরের জন্য তাদের কেউ প্রশ্ন না করতে পারে।”
বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ আরতি জেরত বলেন, “এক দেশ, এক ভোট প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার পরিপন্থী। কারণ লোকসভা ও বিধানসভা ভোট একসঙ্গে করিয়ে জাতীয় এবং রাজ্যস্তরের রাজনীতিকে এক করে দিতে চাইছে তারা।”
একইসঙ্গে এর বাস্তবায়ন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
তার কথায়, “এতগুলো রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে নির্বাচরি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা একটা বিশাল কাজ। লোকসভা ভোট একাধিক ফেজে করার কারণ রয়েছে। এখন এই সমস্তটা যদি একসঙ্গে হয়, তাহলে কীভাবে হবে, কীভাবে ভোট গণনা হবে আর ফলাফল ঘোষণাই বা কবে হবে তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন থেকে যায়।”
জিন্দল স্কুল অফ গভর্নমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক পলিসির অর্থনীতির অধ্যাপক ড. দেবজিৎ ঝা বলেছেন, “এতে কোনও সন্দেহ নেই যে নির্বাচনি প্রক্রিয়া সংক্রান্ত খরচ কমবে। শুধু তাই নয়, রাজনৈতিকদলগুলোর নির্বাচনি প্রচারের খরচও কমবে। এই খরচ চালানোর জন্য রাজনৈতিক অনুদানের উপর নির্ভর করতে হয়, যেমনটা ইলেক্টোরাল বন্ডের ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি।”
“কিছু প্রতিশ্রুতির বদলে এই অনুদান তারা পায়। সেই প্রতিশ্রুতি তাদের পূরণও করতে হয়। একবার ভোট হলে এই পুরো প্রক্রিয়াটায় লাগাম টানা যাবে। আর রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনি প্রচারের জন্য খরচও কম হবে।”
আঞ্চলিক দলগুলোর আশঙ্কার কথাও বলেছেন তিনি। তার কথায়, “এই ব্যবস্থাপনায় জাতীয় ইস্যুগুলোর প্রাধান্য পাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। উল্টোটাও হতে পারে তবে তার সম্ভাবনা কম।”
“আঞ্চলিক দলে আরও একটা চিন্তার কারণ হলো জাতীয় দলগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রচারে খরচ না করতে পারা। সেটাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।”
তবে এই প্রস্তাবিত নির্বাচনি ব্যবস্থায় কে সুবিধা পাবে সে নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
এই বিষয়ে মিজ জেরত বলেন, “কিছুদিন আগে হলেও এই ভাবনাটা আসত যে লোকসভা এবং বিধানসভা ভোট একসঙ্গে হলে বিজেপির লাভ হবে। কিন্তু ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কিন্তু বিজেপির অবস্থান বদলেছে। তারা আর একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এইবারের ভোটে বিভিন্ন রাজ্যে ফলাফল ভিন্ন হয়েছে। কাজেই বলা যেতে পারে জাতীয় ইস্যুর থেকে রাজ্যভিত্তিক ইস্যু বেশি প্রাধান্য পেয়েছে।”
“সে কথা মাথায় রেখে ‘এক দেশ, এক ভোট’ প্রস্তাব থেকে কে সুবিধা পাবে বলা মুশকিল। এটা অনেকটা জুয়া খেলার মতো।”
‘এক দেশ,এক ভোট’-এর সুবিধা যে ক্ষমতায় থাকা যে কোনও রাজনৈতিক দল পেতে পারে বলে মনে করেন মি. ঝা। তার মতে, “এটা ভুল চিন্তা যে বিজেপিই শুধুমাত্র লাভবান হবে এর থেকে। এরপর যারা ক্ষমতায় আসবে, এই ব্যবস্থা চালু হলে এর সুবিধা সেই দল পাবে।”
সূত্র: বিবিসি বাংলা