সোমবার , ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

সঙ্গীর কঠিন সময়ে যেভাবে সঙ্গ দেবেন

Paris
সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪ ৭:২৬ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

কর্মক্ষেত্র থেকে ব্যক্তিজীবন, নানা সময়ে এমন অনেক পরিস্থিতি আসে, যখন জীবনটা অনেক কঠিন মনে হয়। কী করবেন না করবেন কিছুই বুঝে ওঠা যায় না। কারো জীবনে অবসাদ বাসা বাঁধতে থাকে, কারো আবার উৎকণ্ঠা। এমন সময় প্রয়োজন হয় একটা ভরসার হাত।

বিপদের সময় একজন বিবাহিত মানুষ কিন্তু খোঁজেন তার জীবনসঙ্গীকেই। সেই সময়ে কিভাবে প্রিয় মানুষটির পাশে থাকবেন তা নিয়েই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
কথা শুনুন

সমস্যার কথা মন দিয়ে শুনতে হবে।

আচার-আচরণে বোঝাতেও হবে যে আপনি তার জন্য সমব্যথী, সহমর্মী। অন্য মানুষটির অনুভূতি আপনি বুঝতে পারছেন, সেটাই তাকে সাহস-ভরসা, দুটিই জোগাবে। সর্বোপরি মানুষটিকে বাড়তি সময় দেওয়া দরকার।

পাশে থাকা

‘ভয় নেই, আমি তো আছি।

সব সময় থাকব’ এই ভরসাটুকু যদি সঙ্গীকে দেওয়া যায় তাহলে তিনি মনে জোর পাবেন। সমস্যা নানা রকমের হয়। অফিসের সমস্যা হতে পারে, কেউ কিছু খারাপ কথা বললেন বা ক্রমাগত বলে চলেছেন, তা নিয়ে মানসিক চাপ তৈরি হতে পারে। কেন সমস্যা, সেই অনুযায়ী তার সমাধানের পথ খোঁজা প্রয়োজন। সমস্যার কারণ যদি স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত বিষয় হয়, তাহলে অন্য মানুষটির মনঃকষ্টের কারণ বুঝে কী করা যায় তা ভাবতে হবে।

আবার কারণ যদি বাহ্যিক হয় সে ক্ষেত্রে কিছু করতে পারেন কি না, তা দেখতে হবে। সমস্যার সম্ভাব্য সমাধানগুলো খুঁজে কোনটি উপযুক্ত, তা স্থির করা প্রয়োজন।
কথা বলতে উৎসাহ

অনেক সময় উদ্বেগ বা কঠিন পরিস্থিতিতে মানুষ নিজেকে গুটিয়ে নেন। সেই সময় তিনি যদি একা থাকতে চান, সেই সময়টা তাকে দিতে হবে। পাশাপাশি কষ্টে থাকা মানুষটি যাতে মন খুলে কথা বলতে পারেন সেই পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন।

মন ভালো করার চেষ্টা

কিছুটা সময় ঘুরে আসা যেতে পারে। কোনো রেস্তোরাঁয় গিয়ে খাওয়া যেতে পারে। কোনো বন্ধুর বাড়িতেও ঘুরে আসা যায়। মনের মধ্যে নিরন্তর চলতে থাকা নেতিবাচক ভাবনাগুলো এভাবে কিছুটা সময় অন্তত ভুলিয়ে দিতে পারেন কাছের অন্য মানুষটি। জীবন যে শুধু খারাপ নয়, অনেক ভালো লাগাও দৈনন্দিন জীবনে থাকে, সে বিষয়ে তাকে উৎসাহী করা যেতে পারে।

শখকে গুরুত্ব দেওয়া

মন খারাপের কারণ খুঁজে সেই মতো ব্যবস্থা নিতে হবে। মন ভালো রাখতে সেই মানুষটিকে তার শখ-শৌখিনতা নিয়েও উৎসাহ দেওয়া যেতে পারে। কেউ হয়তো গান গাইতে ভালবাসতেন, কারো শখ ছিল অন্য কিছু। যদি তাদের সেই পরিবেশলো আবার ফিরিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে উৎকণ্ঠা হোক বা মন খারাপ, কিছুটা হলেও কমতে পারে।

স্পর্শে সান্ত্বনা

প্রিয়জনের স্পর্শটুকু অনেক সময় কঠিন সময়ে বড় সান্ত্বনা হয়ে দাঁড়ায়। যে মানুষটি কোনো কারণে দুঃখে রয়েছেন, ভেঙে পড়েছেন বা কান্নাকাটি করছেন তার মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়া, হাতে হাত রাখা, বুকে জড়িয়ে ধরার মাধ্যমেও ভরসা দেওয়া যায়।

যেভাবে

তবে যদি প্রিয় মানুষটির কথাতেও, সাধ্যমতো ভরসা জোগানোর পরেও পরিস্থিতির বদল না হয়, অবসাদ ঘিরে ধরতে থাকে বা জীবন অর্থহীন মনে হতে শুরু করে, তাহলে কাউন্সেলিং করানো প্রয়োজন।

 

সূত্র: কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - লাইফ স্টাইল