শুক্রবার , ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

একটি হুইল চেয়ার পেলে স্কুলে যেতে পারতাম

Paris
সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৪ ৫:০৮ অপরাহ্ণ

সাপাহার প্রতিনিধি:
নওগাঁর সাপাহার উপজেলার আদিবাসীপল্লি লক্ষীপুর দিঘীপাড়া গ্রামের জন্ম হতে প্রতিবন্ধী হয়ে পঙ্গুতজীবন যাপন করছে ৯ বছরের প্রতিবন্ধী এতিম শিশু রনি মুরমু।

প্রতিবন্ধী রনি’র নানী সনতি মুরমু (৬২) জানান- আমার মেয়ে মেনতা হেমরম (৩৫) যখন ৭ মাসের গর্ভবতী তখন সংসারে খুব অভাব, ঘরে খাবার নেই, ঔষধ নেই এই নিয়ে স্বামী স্ত্রী’র মধ্যে প্রায়ই গন্ডগোল হয়, এসময় আমার মেয়ে রাগ করে স্বামীর বাড়ি বিন্নাকুড়ি থেকে বের হয়ে অন্যত্র চলে যায়; এর পরে সন্তানের জন্মের¥ ২ বছর পরে প্রতিবন্ধী সন্তানকে নিয়ে আমার মেয়ে তার স্বামীর বাড়ি বিন্নাকুড়ি যায়, এসে দেখে তার স্বামী কার্ত্তিক মুরমু আর বেঁচে নেই, তাদের সাথে কথা বলতে চাইলে শশুড়বাড়ীর লোকজন ঐ বাড়ি থেকে তাদের বের করে দেয়।

তখন তাদের স্থান হয় আমার বাড়ি লক্ষীপুর দিঘীপাড়া গ্রামে , এর পরে আমার মেয়ে তার সন্তান রনিকে আমার বাড়িতে রেখে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে চলে যায়; পরে জানতে পারি সে ভারতে চলে গেছে। প্রতিবন্ধী কার্ডও করতে পারিনি বাবা মায়ের ভোটার আইডি কার্ড না থাকার কারনে; রনির বাবার বাড়িতে আইডি কার্ড নিতে গেলে তারা কার্ড না দিয়ে তাড়িয়ে দেয়; তার কার্ডটাও আর করা হলো না; এমনি জীবন আমাদের। তাই বাবা মা হারা প্রতিবন্ধী এতিম ছেলেটাকে নিয়ে ভিক্ষায় বের হইছি। রনি হাটতেও পারে না অনেক কষ্ট হয় আমার তাকে নিয়ে বেড়াতে। আমার স্বামীও বেঁচে নেই ২০ বছর আগে মারা গেছে,অভাবি সংসার।

প্রতিবন্ধী রনি’র চলার পথে সাহায্য করা পিসির ছেলে বর্ষন (১০) জানায়, রনি নিজে হাটা-চলা করতে না পাড়ার কারণে কাঠের বাতা দিয়ে ফ্রেম তৈরী করে ৩টি বিয়ারিং লাগিয়ে একটি গাড়ি তৈরী করেছি রনিকে ওখানে বসিয়ে পেছন থেকে আমি ঠেঁলা দিয়ে এখানে সেখানে ভিক্ষা করতে নিয়ে যাই। আর কমর হেলে বাড়ি থেকে বাজার প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা ঠেঁলে ওকে আনতে আমার খুব কষ্ট হয়,একটি হুইল চেয়ার হলে ভালো হয়।

প্রতিবন্ধী রনি মুরমু ভাঙ্গা ভাঙ্গা গলায় জানায়, আমি হাটতে পারি না তাই স্কুলেও যেতে পারি না, আমি পড়াশুনা করতে চাই; একটা হুইল চেয়ার পেলে আমি স্কুলে যেতে পারবো। সে আরও জানায় আমরা গরীব মানুষ অনেক কষ্ট করে চলি তাই সরকার ও সমাজের বৃত্তবান মানুষের কাছে রনির আবদার একটি হুইল চেয়ার ও প্রতিবন্ধী কার্ড। এগুলো পেলে আমি স্কুলে ঠিকমত যেতে পারবো।

এবিষয়ে শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টায় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন এর সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান- আমি একটা ট্রেনিংএ রাজশাহীতে আছি; সামনে সপ্তাহে ছেলেটিকে আমার অফিসে আসতে বলেন আমি সাধ্যমত চেষ্টা করবো।

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর