রবিবার , ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৭শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

কূটনৈতিক নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে জার্মানিকে চাপ দিচ্ছে তালেবান

Paris
সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ ১০:০৪ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর সম্প্রতি প্রথমবারের মতো ২৮ আফগানকে তাদের দেশে ফেরত পাঠিয়েছে জার্মানি। অন্যদিকে জার্মানিতে থাকা কাবুলের ক‚টনৈতিক মিশনের ওপর আরো নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে তালেবান। বার্লিন দৃশ্যত বিষয়টি গ্রহণ করেছে। জুলাইয়ের শেষ দিকে তালেবান জানায়, তারা ইউরোপের মাত্র পাঁচটি আফগান কূটনৈতিক  মিশনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে।

এগুলো হচ্ছে, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, বুলগেরিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রে থাকা দ‚তাবাস এবং জার্মানির মিউনিখে থাকা কনসুলেট।
তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ ডিডব্লিউকে বলেন, ‘এই কূটনৈতিক  মিশনগুলো আফগানিস্তানের নির্দেশ অনুসরণ করে এবং বিদেশে দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। তাদের কাজের প্রতি আমাদের আস্থা আছে এবং এই কার্যক্রমগুলো স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হয়। তারা দায়বদ্ধ এবং আমাদের আদেশ পালন করে।’

মিউনিখের কনসুলেট ছাড়াও জার্মানির বার্লিনে আফগান দ‚তাবাস ও বন শহরে আরেকটি কনসুলেট আছে। তালেবানের ঘোষণার কারণে এখনদূতাবাস ও বনের কনসুলেট থেকে ইস্যু করা ভিসা ও পাসপোর্ট আর আফগানিস্তানে স্বীকৃত হবে না।

তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর ইউরোপের বেশির ভাগ আফগান দ‚তাবাস তালেবানের সঙ্গে দূরত্ব  বজায় রেখে চলেছে। তারা আফগানিস্তান থেকে অর্থ সহায়তা নেয় না।

তবে কনস্যুলার সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বিনিময়ে পাওয়া অর্থ দিয়ে মিশনগুলো চলছে।
জার্মানিতে শুধু মিউনিখ কনসুলেটকে তালেবান স্বীকৃতি দেওয়ায় জার্মানিতে বাস করা প্রায় চার লাখ ২০ হাজার আফগানকে কনসুলেট সেবা নিতে সেখানে যোগাযোগ করতে হচ্ছে। কাবুলের ‘ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে’ উদ্দেশ করে ‘আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি’ পাঠানোর মাধ্যমে মিউনিখে কনস্যুলার সেবা দেওয়ার বিষয়টি গ্রহণ করার কথা জানিয়েছে বার্লিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

হালে-ভিটেনব্যার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক ভিনফ্রেড ক্লুট ডিডব্লিউকে বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের কারণে তালেবানের সিদ্ধান্ত নিয়ে বার্লিনের কিছু করার নেই।

বরং আফগানদের তাদের দেশে ফেরত পাঠাতে যে ভিসা ও পাসপোর্টের প্রয়োজন সেটা পাওয়ার জন্য জার্মানিতে অন্তত একটি কনস্যুলার সেবা দেওয়ার স্থান থাকা প্রয়োজন ছিল। মিউনিখে সেটা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি। বার্লিন শুধু একটি বিষয়ে কাবুলের বিরোধিতা করেছে। সেটি হচ্ছে, মিউনিখ কনসুলেটে জার্মানি ছাড়াও ইউরোপের অন্যান্য দেশের আফগানদের সেবা গ্রহণের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল তালেবান। তবে বার্লিন বলেছে, এটি ১৯৬১ সালের ভিয়েনা কনভেনশনের পরিপন্থী হবে। এ ছাড়া আফগানিস্তানের ডি-ফ্যাক্টো সরকারের সঙ্গে ‘টেকনিক্যাল ডিসকাশন’ চলার কথাও জানিয়েছে বার্লিন। এসংক্রান্ত একটি কাগজ ডিডব্লিউর কাছে আছে।

তালেবানের সঙ্গে এমন আলোচনা চলার কথা শুনে প্রবাসী আফগানরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। নারী অধিকার কর্মী ও আফগানিস্তানের শরণার্থী বিষয়ক সাবেক উপমন্ত্রী আলেমা আলেমা বলছেন, আফগান নাগরিকদের ফেরানোর বিনিময়ে তালেবান জার্মানিতে একটি দ‚তাবাস প্রতিষ্ঠা করতে চাইতে পারে। সেখানে তালেবান নিজেদের মানুষজন পাঠাতে পারে।

জার্মানি যখন আরো বেশিসংখ্যক অভিযুক্ত আফগানদের দেশে ফেরত পাঠাতে চাইছে তখন এই বিষয়টি বার্লিনের ওপর আরো চাপ তৈরি করতে পারে। তবে বার্লিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ডিডব্লিউকে জানিয়েছে, সম্পর্কের স্বাভাবিকীকরণের প‚র্বশর্ত হলো আন্তর্জাতিক আইন, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের বাধ্যবাধকতা সমুন্নত রাখা। আফগানিস্তান এখনো সেই প‚র্বশর্তগুলো প‚রণ করেনি।

 

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

সর্বশেষ - জাতীয়