রবিবার , ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদ্রাসার আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরতের জন্য মানববন্ধন

Paris
সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪ ৮:১৪ অপরাহ্ণ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার খালে আলেমপুর দারুল সুন্নাত আলেম মাদ্রাসা ও বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের গভর্ণিং কমিটির সাবেক সভাপতি আওয়ামীলীগ নেতা কায়সার আহমেদ কচির নানা অনিয়ম-দূর্নীতির বিরুদ্ধে এবং ৩০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটকের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। পরে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ প্রদাণ করা হয়।

এ সময় মানববন্ধনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (গোমস্তাপুর-নাচোল-ভোলাহাট) আসনের সাবেক সাংসদ আমিনুল ইসলামের ব্যক্তিগত সহকারী ও বিগত সরকারের আমলে থাকা গভর্ণিং কমিটির সভাপতি কায়সার আহমেদ কচির দূর্নীতি ও অপকর্মের বিষয় তুলে ধরে বক্তারা বলেন, একটি ইসলামিক প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন খাতের টাকা আত্মসাৎ করে নিজের ব্যক্তিগত কাজে ব্যয় করেছেন কচি। এছাড়া ফ্যাসিবাদ সরকারের দাপট ও এমপি আমিনুলের ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে মাদ্রাসার উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য আসা বিশাল পরিমান অর্থ লোপাট করা সহ মাদ্রাসা ও কলেজে শিক্ষক নিয়োগ বানিজ্য করেছেন কায়সার। বিগত ১৫ বছরে ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসার উন্নয়নতো দূরের কথা নিজের উন্নয়নে ব্যস্ত ছিলেন তিনি।

বক্তারা আরও বলেন, সভাপতি কায়সার আহমেদ কচি অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগে মোট ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার নিয়োগ বানিজ্য করেছেন। এর মধ্যে অধ্যক্ষ নিয়োগে ১০ লক্ষ টাকা এবং উপাধ্যক্ষ নিয়োগে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আদায় করেছেন তিনি। যদিও অন্যান্য পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ টাকার লেনদেন হলেও তার আপন ভাইকে নিয়োগে কোন টাকাই নেয়া হয়নি। এদিকে নিয়োগ বানিজ্য থেকে প্রাপ্ত আয়ের মধ্যে ৬ লক্ষ টাকা বোর্ড খরচ ও ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা উপজেলা আওয়ামীলীগকে প্রদানের কথা বলে আত্মসাৎ করেছেন সাবেক সভাপতি কায়সার আহমেদ। যা খালে আলেমপুর দারুল সুন্নাত আলেম মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. বাদরুদ্দোজা স্বাক্ষরিত আয়-ব্যয় হিসাবে পাওয়া যায়। আর তাই এসব অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সুবিচার এবং তার হেফাজতে থাকা মাদ্রাসার সমুদয় অর্থ ফেরতসহ আইনের মাধ্যমে কঠোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মো. আব্দুল আলীমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, গোহালবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের খালে আলমপুর ওয়ার্ডের মেম্বার মো. আব্দুর রাকিব, গ্রামবাসী রহমতুল্লাহ, বিলুপ্ত কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান, নূর আলম, সাবেক ইউপি সদস্য ঈমানুর রহমান প্রমুখ।

ঘন্টাব্যাপি চলা মানববন্ধন শেষে মাদ্রাসা গেট থেকে একটি বিশাল মিছিল বের হয়ে এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ প্রদাণ করেন এলাকাবাসী।

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর