শনিবার , ৩১ আগস্ট ২০২৪ | ১লা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ক্ষমতার সঙ্গে নয়, জনতার সঙ্গে সংস্কৃতির মেলবন্ধন গড়তে হবে

Paris
আগস্ট ৩১, ২০২৪ ১০:৫২ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

কোনো কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থার স্বার্থে সংস্কৃতিচর্চা পরিচালিত হবে না। থাকবে না কোনো বিভাজন। ক্ষমতার সঙ্গে নয়, জনতার সঙ্গে সংস্কৃতির মেলবন্ধন গড়তে হবে। তাই দল-মতের ঊর্ধ্বে সংস্কৃতিচর্চা হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক।
প্রতিটি স্কুল-কলেজে বাধ্যতামূলকভাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে যুক্ত হয়ে স্কুল-কলেজের পাঠ্যসূচিতে শিল্প-সংস্কৃতিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সংস্কৃতিচর্চাকে গতিশীল করতে দ্রুত শিল্পকলা একাডেমি খুলে দিতে হবে। দেশের শিল্প-সংস্কৃতিচর্চাকে গতিশীল করার লক্ষে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব সুপারিশ করেন অভিনয়শিল্পী, কণ্ঠশিল্পী, কবি-সাহিত্যিক, প্রকাশক, শিল্প-সমালোচক, সাংবাদিকসহ সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষেরা।
শনিবার (৩১ আগস্ট) জাতীয় জাদুঘরের প্রযত্ন পর্ষদ কক্ষে অনুষ্ঠিত সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রত্যাশা শীর্ষক এই সভায় সভাপতিত্ব করেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।বিভিন্ন সুপারিশ ও প্রস্তাবনা গুরুত্ব দিয়ে পর্যালোচনা করা হবে উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন, এই সভার মাধ্যমে শিল্প-সংস্কৃতি বিষয়ে আমার জানার পরিধি বৃদ্ধি পেল। এখানে যেসব সুপারিশ উঠে এসেছে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সেগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হবে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীন শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমির মতো প্রতিষ্ঠানগুলোতে সৎ ও উপযুক্ত মানুষদের দায়িত্ব দেওয়া হবে।

এসব জায়গায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হবে। সততার সঙ্গে কাজ করলে অন্তর্ভুক্তিমূলক সংস্কৃতিচর্চার পরিবেশ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে। মঞ্চনাটক, গান-নাচসহ শিল্পাঙ্গনের সকল ক্ষেত্রে মানুষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সকল সমস্যা দূর করার চেষ্টা করা হবে। অন্যদিকে সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যার পক্ষে যেসব সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বিবৃতি দিয়েছেন তাদের বর্জন করা হবে।সভায় কবি ও সাংবাদিক সাজ্জাদ শরিফ বলেন, ক্ষমতার সঙ্গে নয়, জনতার সঙ্গে সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটাতে হবে।
পাশাপাশি আদিবাসীদের অধিকার সংরক্ষণের মাধ্যমে তাদের সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে হবে।অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধন বলেন, শিল্প-সংস্কৃতিকে ধর্ম ও রাজনীতির বাইরে রাখতে হবে। পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসীদের সংস্কৃতি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।আদর্শ প্রকাশনীর প্রকাশক মাহবুব রহমান বলেন, বেহাত হওয়া সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার করতে হবে। আবার শুধুমাত্র আওয়ামী লীগকে সমর্থন করার কারণে যেন সংস্কৃতি অঙ্গনের যোগ্য লোককে সরানো না হয়।

সাংস্কৃতিক সংগঠক আরিফ নূর বলেন, সংস্কৃতিকে ব্র্যাকেটবন্দী না করে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে শিল্পের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। শিল্পীদের পক্ষ থেকে আমরা কথা বলার স্বাধীনতা চাই। শিল্পীদের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

জনপ্রিয় উপস্থাপক আব্দুন নূর তুষারের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন নির্মাতা কামরান আহমাদ সাইমন ও আশফাক নিপুণ, মঞ্চশিল্পী দীপক সুমন, গীতিকার, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী লতিফুল ইসলাম শিবলী, কবি ও সম্পাদক সাখাওয়াত টিপু, সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ, নির্মাতা মুহাম্মদ কাইয়ুম, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সহ-সভাপতি জামশেদ আনোয়ার তপন, সাংস্কৃতিক সংগঠন চারণের সংগঠক সীমা দত্ত প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমেদ।

 

সূত্র: কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - জাতীয়