শনিবার , ১৭ আগস্ট ২০২৪ | ৪ঠা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

৫ আগস্টের পর সড়কে বিলাসবহুল গাড়ি চলাচল কমেছে’

Paris
আগস্ট ১৭, ২০২৪ ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সড়কে বিলাসবহুল গাড়ি চলাচল কমেছে— এটি বণিক বার্তা পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয়েছে, গত পাঁচই অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ঢাকা ছাড়াও বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সড়কে বিলাসবহুল গাড়ি চলাচল কমেছে।

গাড়ি ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, যারা এসব গাড়ি চালাতেন, তাদের একটা বড় অংশ সরকার পরিবর্তনের পর আত্মগোপনে চলে গেছেন। অনেকে গ্রেফতারও হয়েছেন। আর, এর প্রভাব পড়েছে রাস্তায় বিলাসবহুল গাড়ি চলাচলে।

বর্তমানে বিলাসবহুল গাড়ি সড়কে অনুপস্থিত থাকলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বাংলাদেশে মার্সিডিজ-বেঞ্জ, বিএমডব্লিউ, রেঞ্জ রোভার, অডির মতো দামি ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল গাড়ির সংখ্যা বাড়তে দেখা গেছে। এসেছে রোলস রয়েস, বেন্টলি, পোরশে, মাসেরাতির গাড়িও। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য বলছে, গত ছয় বছরে দুই হাজারের বেশি বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি হয়েছে।

জাপানি প্রাডো, হ্যারিয়ার, টয়োটা করোলা ক্রসের মতো গাড়ির বাজারও অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো সময় পার করেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে সব ধরনের জিপ শ্রেণীর (স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকল বা এসইউভি) গাড়ির চাহিদা দেশে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) গাড়ি নিবন্ধনের তথ্যেও দেখা যাচ্ছে, গত পাঁচ বছরে জিপ শ্রেণীর গাড়ি নিবন্ধনের হার বেড়েছে।

কিন্তু গত দুই সপ্তাহে এসব গাড়ির বড় একটি অংশ রাস্তা থেকে উধাও হয়ে গেছে।

গোপন বন্দিশালায় ৮৮ দিন চোখ বেঁধে নির্যাতন— এটি সমকাল পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এটি করার জন্য শেখ হাসিনার শাসনামলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে যাদেরকে তুলে নিয়ে গুম করা হয়েছিল, তাদের ছয়জনের সঙ্গে কথা বলেছে সমকাল। যাদের সাথে কথা হয়েছে, তাদের সবার বর্ণনায় মোটামুটি মিল রয়েছে।

তারা জানায়, গুম করে যে গোপন বন্দিশালায় নেওয়া হত, সেখান থেকে উড়োজাহাজ ওঠানামার শব্দ শোনা যেত। মাঝেমধ্যেই ভেসে আসত নির্যাতনের শিকার ব্যক্তির আর্তনাদ। সেই সময় উচ্চ শব্দে গান বাজানো হতো। কোনও বন্দিশালায় ছিল স্ট্যান্ড ফ্যান, আবার কোনোটিতে ছিল উচ্চ শব্দের ভেন্টিলেশন ফ্যান। কোনও বন্দিশালা থেকে আজানের ধ্বনি শোনা যেত, কোনোটি থেকে শোনা যেত না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ছাড়া অন্য পাঁচজন জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় পেটানো হতো। দেওয়া হতো ক্রসফায়ারের হুমকি। তুলে নেওয়ার সময় মাইক্রোবাসে উঠিয়ে চোখ ও হাত বাঁধা হয়। ছেড়ে দেওয়ার সময় বলা হয়, জীবনে কখনও যেন সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ না খোলে। মুখ খুললে আবার গুম করা হবে।

ফিরে আসা তিনজন জানিয়েছেন, শৌচাগার ব্যবহারের সময় ছাড়া সারাদিন চোখ বেঁধে রাখা হতো। পাওয়া যেত আজানের ধ্বনি। সেই ধ্বনি শুনে তারা দিনরাত সম্পর্কে ধারণা করতে পারতেন এবং দিন গুনে রাখতেন। অন্য তিনজন জানিয়েছেন, বন্দিশালার ছোট্ট ঘরে থাকার সময় চোখ খোলা রাখা হতো। শৌচাগারে নেওয়ার সময় চোখ বাঁধত। আজানের ধ্বনি শুনতে পেতেন না।

এসব বক্তব্য থেকে ধারণা করা যায়, একাধিক গোপন বন্দিশালা ছিল আওয়ামী লীগ শাসনামলে। ছয়জনই বলেছেন, তৎকালীন সরকারের আদেশে পুলিশ, র‌্যাব বা অন্য কোনো বাহিনী তাদের গুম করেছিল।

বিক্ষোভে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী— দৈনিক প্রথম আলোর এই প্রধান শিরোনামে বলা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিক্ষোভ ও বিক্ষোভের পর সংঘাত দমনের ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘অপ্রয়োজনীয়’ ও ‘মাত্রাতিরিক্ত’ বলপ্রয়োগের গুরুতর ও বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ রয়েছে বলে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ এবং সহিংসতার ঘটনার ক্ষেত্রে নির্বিচার বল প্রয়োগ করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেডের পাশাপাশি পাখি শিকারে ব্যবহৃত অস্ত্র, বুলেটসহ নানা রকম প্রাণঘাতী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছেন।

‘বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিক্ষোভ ও অস্থিরতা বিষয়ে প্রাথমিক বিশ্লেষণ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। গণমাধ্যম এবং আন্দোলনে যুক্তদের দেওয়া তথ্য উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৬ জুলাই থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত বিক্ষোভ এবং পরবর্তী সহিংসতায় অন্তত ৬৫০ জন বাংলাদেশি প্রাণ দিয়েছেন।এই খবরটি আজ দেশের প্রায় সব পত্রিকার প্রধান শিরোনাম।

শপথ নিলেন নতুন চার উপদেষ্টা আটজনের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন— কালের কণ্ঠ পত্রিকার দ্বিতীয় প্রধান শিরোনাম এটি। এখানে বলা হয়েছে, অন্তর্র্বতী সরকারের শপথ নেওয়া নতুন চার উপদেষ্টার মধ্যে দপ্তর বণ্টন করা হয়েছে এবং বর্তমান আট উপদেষ্টার দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হয়েছে।

নতুন উপদেষ্টাদের মধ্যে ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদকে পরিকল্পনা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে দেওয়া হয়েছে তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। সেগুলো হলো বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়। লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন। দপ্তর পরিবর্তন করে তাকে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এটি আজ দেশের অনেক পত্রিকার প্রথম পাতার খবর।

‘আয়নাঘর’ নিয়ে সমালোচিত জিয়াউল ৮ দিনের রিমান্ডে— দেশ রূপান্তর পত্রিকার প্রথম পাতার খবর এটি। এখানে বলা হয়েছে, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক ও সম্প্রতি সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে নিউ মার্কেট থানার একটি হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আট দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিব রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন। এদিন বিকেলে আলোচিত সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে আদালতে হাজির করে নিউ মার্কেট থানা পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হত্যা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আট দিন রিমান্ড মঞ্জুর করে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ। এরপর তাকে নেওয়া হয় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) মিন্টো রোডের কার্যালয়ে, সেখান থেকে আদালতে।

সেনাবাহিনীর পাশাপাাশি র‌্যাব, এনএসআই এবং টেলিযোগাযোগ নজরদারির জাতীয় সংস্থা এনটিএমসিতে দায়িত্ব পালন করা জিয়াউল আহসান কর্মজীবনের বিগত এক দশকের বেশি সময়ে গুম, খুন ও ব্যক্তিগত ফোনকলে আড়িপাতাসহ বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি সমালোচিত হয়েছেন। গুম হওয়া ব্যক্তিদের আটকে রাখার স্থান হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ‘আয়নাঘরের’ কুশীলব বলা হয় সাবেক এই সেনা কর্মকর্তাকে।সূত্র: বিবিসি বাংলা

সর্বশেষ - জাতীয়