বুধবার , ১৪ আগস্ট ২০২৪ | ৫ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

আগুনে পুড়ে কেশরহাট পৌরসভার ক্ষতি ৮ কোটি ১০ লক্ষ টাকা

Paris
আগস্ট ১৪, ২০২৪ ৬:০৫ অপরাহ্ণ

মোহনপুর প্রতিনিধি :
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌরসভার আগুনে পোড়া ভবন পরিদর্শন করেছেন পৌর কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বিএনপি,জামায়েত এর  নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকালে স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে পোড়া ভবনটি পরিদর্শন করেন তারা। এসময় পুড়ে যাওয়া বিভিন্ন কক্ষ, আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ও ফাইল পত্রের প্রাথমিক ধারনা পাওয়া যায়। ধারনা করা হয় অন্তত ৮ কোটি ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে ভবনটির। এর আগে গত ৪ আগস্ট রবিবার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহিংসতায় পৌর ভবনে ভাংচুর ও আগুন দেয় আন্দোলনকারিরা।ভবনটি পুড়ে সমস্ত নথিপত্র নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পরিদর্শনে আসা স্থানীয় জামায়াতের নেতাকর্মীরা।
কেশরহাট পৌর ভবন পরিদর্শনে দেখা যায়, দ্বিতল ভবনের নিচতলায় ১৫টি রুমের প্রত্যেকটা কক্ষের আসবাবপত্র ও ফাইল পত্র পুড়ে যায়। গ্যারেজে রাখা ট্রাকসহ কয়েকটি গাড়ি পুড়ে যায়। দ্বিতীয় তলায় মেয়রের রুমসহ অন্তত ১০টি রুমের আসবাবপত্র ও ফাইল পত্র পুড়ে যায়।
তবে পৌর সহকারী প্রকৌশলী, উপ সহকারী প্রকৌশলী, হিসাব রক্ষক ও প্রধান সহকারীর রুমের আসবাবপত্র ও ফাইলপত্র রক্ষিত রয়েছে। পুরো ভবনের মধ্যে মাত্র ৫টি রুম ধ্বংসের হাত থেকে বেচে যায়। তবে এই ৫টি রুমে থাকা কম্পিউটার ও প্রিন্টার নষ্ট হয়ে যায়। নষ্ট হয় জানালা ও দরজা। এছাড়াও ভবনের বাইরে রাখা ময়লা বহনের কয়েকটি নতুন গাড়িও পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
কেশরহাট পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী ও নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার জাহাঙ্গীর আলম পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের পুড়ে যাওয়া ভবনের বিষয়ে ব্রিফ করেন এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। তিনি বলেন, এটি রাষ্ট্রীয় সম্পদ।
এই সম্পদ পুড়ে যাওয়ায় পৌর সভার সকল জনগণ রাষ্ট্রীয় সেবা বঞ্চিত রয়েছে। তাছাড়া পৌর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বাইরে খোলা আকাশের নিচে বসে অফিস করছে। তাই অতি দ্রুত এর সমাধান হওয়া জরুরি বলে জানিয়েছেন তিনি।
পরিদর্শনে আশা উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আব্দুল আউয়াল জানান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষুব্ধ জনতার দেয়া আগুনে পুড়ে যায় পুরো পৌর ভবন। এ কারণে পৌরসভার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
পোড়া ভবনটি পরিদর্শনে আসেন, কেশরহাট বাজার বনিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব সাদ-আক্কাস, সেক্রেটারি শরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ওসমান আলী, পৌর প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, কাউন্সিলর বাবুল আক্তার, হাফিজুর রহমান বকুল, হাফিজুর রহমান, আসলাম হোসেন, একরামুল হোসেন, মহিলা সংরক্ষিত কাউন্সিলর ঝর্না বেগম, হালিমা বেগম, পৌর ক্যাশিয়ার উজ্জ্বল হোসেন, প্রধান অফিস সহকারী মজিবুর রহমান, পৌর কর্মচারী আশরাফুলসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর