বৃহস্পতিবার , ১ আগস্ট ২০২৪ | ৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

শোকাবহ আগস্ট শুরু

Paris
আগস্ট ১, ২০২৪ ১২:০২ অপরাহ্ণ

 

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

সদ্য স্বাধীন দেশ। নানা সমস্যা ও চক্রান্ত মোকাবিলা করে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি যখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ঠিক তখনই পরাজিত শত্রুদের দোসররা হানে চূড়ান্ত আঘাত। হত্যা করা হয় যিনি দেশটি স্বাধীন করেছিলেন- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বাংলাদেশের ‘পাকিস্তানে ফেরা’ নিশ্চিত করতে তারা নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকারও। ফলে ঘাতকদের বুলেট থেকে রেহাই পায়নি মায়ের কাছে যেতে চেয়ে ক্রন্দনরত ছোট্ট শিশু শেখ রাসেলও। হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুর স্বজনদেরও। তবে বিদেশ ভ্রমণে থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে ঘটেছিল এ নারকীয় তাণ্ডব। বছর ঘুরে আবারও এসেছে শোকাবহ আগস্ট মাস। মানব সভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম ঘটনাবহুল এ মাসকে আওয়ামী লীগসহ পুরো জাতি পালন করে শোকের মাস হিসেবে। ১ আগস্টের প্রথম প্রহর থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদা, শ্রদ্ধা, শোক ও ভালোবাসায় বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণ করে।

১৫ আগস্টের নিষ্ঠুরতম এই হত্যাকাণ্ডে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসের, জাতির জনকের বড় ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, দ্বিতীয় ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, শিশুপুত্র শেখ রাসেল, নবপরিণীতা পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, ভাগনে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক ও জাতির জনকের ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছোট মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, ছোট ছেলে আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত আবদুল্লাহ বাবু, ভাইয়ের ছেলে শহীদ সেরনিয়াবাত, আবদুল নঈম খান রিন্টু, বঙ্গবন্ধুর প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদ ও কর্তব্যরত অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিহত হন।

১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট শুধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি ঘাতকচক্র, এ হত্যার বিচার বন্ধ করতে ঘৃণ্য ইনডেমনিটি আইনও জারি করেছিল তখন ক্ষমতা দখলকারী তাদের সমর্থকরা। এর পর দীর্ঘ ২১ বছর জাতি বিচারহীনতার কলঙ্কের বোঝা বহন করতে বাধ্য হয়। ১৯৯৬ সালে জাতির পিতার বড় মেয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হলে এ হত্যাকা- বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে নিয়মতান্ত্রিক বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২০১০ সালে কয়েক ঘাতকের ফাঁসির রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেন শেখ হাসিনা। তবে আরও কয়েক ঘাতক এখনও বিদেশে পলাতক। তাদের ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে।

 

 

সর্বশেষ - জাতীয়