বুধবার , ১০ জুলাই ২০২৪ | ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

রাজশাহী বিসিএসআইআর গবেষণাগারে দুর্নীতির ভূত

Paris
জুলাই ১০, ২০২৪ ১১:১৫ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

গাছ কেটে ফেলা নিয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ফেব্রুয়ারিতে বিসিএসআইআরের রাজশাহী গবেষণাগারের পরিচালকের দপ্তরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দেন এক সাইন্টেফিক অফিসার ও গাড়িচালক। তাদের অভিযোগ থেকে বেরিয়ে আসে অবৈধভাবে গবেষণাগারের খয়ের বাগানের গাছ ও হিসাব শাখার সামনের বিশাল কড়ই গাছ বিক্রির তথ্য।

আর সেই সূত্রে বেরিয়ে আসে কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে গবেষণাগারের অর্ধকোটি টাকার তাজা ৩৩টি গাছকে মরা ও ঝরেপড়া দেখিয়ে নামমাত্র ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেওয়ার চাঞ্চল্যকর তথ্য।

বিসিএসআইআর (বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণাগার) সূত্র জানায়, সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানে গাছ কাটার প্রয়োজন হলে তার দাম নির্ধারণের দায়িত্ব বন বিভাগের। কিন্তু রাজশাহী গবেষণাগারের গাছ কাটার আগে বন বিভাগের মতামত নেওয়া হয়নি।

জানা যায়, গত বছরের ১৬ আগস্ট মরা ও ঝড়ে ভেঙে পড়া ৩৩টি শিমুল, কৃষ্ণচূড়া, কড়ই, বাবলা, কাঁঠাল, খয়ের, নীম, মেহগনি ও আম গাছ কাটার দরপত্র আহ্বান করে বিসিএসআইআর। কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে গত ২৩ আগস্ট সাবা ট্রেডিং করপোরেশন মাত্র ৮০ হাজার ১৫০ টাকায় কাজটি পায়।

আবাসিক এলাকায় অনধিকার চর্চা ও উচ্ছৃঙ্খল আচরণের জন্য ড্রাইভার হাফিজের বিরুদ্ধে ১১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী গবেষণাগারের পরিচালকের দপ্তরে অভিযোগ দেন সাইন্টেফিক অফিসার মো. আরিফুল ইসলাম। আর গবেষণাগারের খয়ের (পান খাওয়ার উপাদান) বাগানের গাছ ও হিসাব শাখার সামনের বিশাল কড়ই গাছ অবৈধভাবে বিক্রির তথ্য বেরিয়ে আসে ১২ ফেব্রুয়ারি গবেষণাগারের পরিচালকের দপ্তরে দাখিল করা ড্রাইভার হাফিজের অভিযোগ থেকে।

সূত্র আরও জানায়, রাজশাহী গবেষণাগারের বিভিন্ন সেক্টরের কয়েক কর্মকর্তা বর্তমানে দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার দুর্গ গড়ে তুলেছেন। ভুট্টা, সরিষা ও আখ চাষে অতিরিক্ত খরচ দেখিয়ে তারা হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। প্রতি রাতে অফিসের ঠিকাদার সিন্ডিকেটের প্রধান শফিকুল ও ইকবাল বাহিনীর সঙ্গে আড্ডা দেন কর্মকর্তারা। নামমাত্র ভাড়া দিয়ে বছরের পর বছর গেস্ট হাউসে অবস্থান করছেন কয়েকজন কর্মকর্তা। তাদের জন্য রান্নাসহ অন্যান্য কাজের জন্য দৈনিক ভিত্তিক মজুর রাখা হয়েছে, যার বেতন দেওয়া হয় সরকারি কোষাগার থেকে। সরকারি বাসা বরাদ্দের নীতিমালা অনুসরণ না করে বাসা বরাদ্দ কমিটি ইচ্ছেমতো একক আসন বরাদ্দ দেওয়ায় কোটি কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছে বিসিএসআইআর।

সাবা ট্রেডিং করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী মো. ইকবাল হোসেন বলেন, কার্যাদেশ অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের নির্দিষ্ট করা মরা গাছই কাটা হয়েছে।

অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণাগারের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. মো. সেলিম খান বলেন, নিয়ম মেনেই মরা ও ঝড়ে পড়া গাছ কাটার কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। খয়ের বাগানের গাছ ও হিসাব শাখার সামনের বিশাল কড়ই গাছ অবৈধভাবে বিক্রির তথ্য ভুয়া।

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর