নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাবি কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. আমান উল্লাহ খান বলেন, যারা একাত্তরের ইতিহাস জানে না, তাদের চোখ রাঙানিতে আমরা ভয় পাওয়ার মতো মানুষ না। যারা কোনদিন বাংলাদেশের সংবিধান পড় দেখেনি, তাদের কাছ থেকে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের জ্ঞান নিতে হবে না। বাইক শোডাউন দিয়ে আমাদের আন্দোলন থেকে সরাতে পারবে না।
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে মঙ্গলবার (০৯ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে
টানা পঞ্চম দিনের মতো আয়োজিত সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশ পালনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় এ সমন্বয়ক আরও বলেন, যারা দেশ ও রাষ্ট্রের উন্নয়ন করতে গেলে সংবিধানে জনগণকে যে অধিকার দেওয়া হয়েছে সে সম্পর্কে নূন্যতম ধারণা নেই তাদের কাছ থেকে আমাদের জ্ঞান নেওয়ার কিছু নেই। ২০১৮ সালে আমাদের শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবি করেছিলাম। নির্বাহী বিভাগ ও বিচারের দ্বন্দ্বের বলি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা।
আমাদের কাছে মনে হয় হাইকোর্টের রায়ের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। কোটা বাতিলের যে কথা তিনি সংসদে বলেছিলেন, সেই কথা চার বছর পর কিভাবে হাইকোর্টের রায়ে বাতিল হয়ে যায়। আমরা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে কাজ করে তার সিদ্ধান্তকে আবারও বাস্তবায়ন করবো।
এসময় রাজশাহী মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাফা রাবি শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাথে একাত্মতা পোষণ করেন। এসময় তিনি বলেন, আমি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে ছুটে এসেছি আপনাদের আন্দোলনে যোগ দিতে। আমাদের সকল শিক্ষার্থীদের একত্রিত প্রচেষ্টায় সম্ভব এ আন্দোলন বাস্তবায়ন করা। রাবির সাথে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা সবসময় থাকবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, বাংলাদেশে বিভিন্ন জায়গায় কোটা সংস্কার আন্দোলন বন্ধ থাকলেও রাবিতে সংক্ষিপ্ত আকারে কোটা সংস্কার আন্দোলন করেন রাবি শিক্ষার্থীরা। আগামীকাল রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও শহরের অন্যন্যা স্কুল এবং কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করবেন বলে এসময় ঘোষণা দেন তারা।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী এ বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।